গুগলের নতুন সব সফটওয়্যার ডেভেলপে ২৫ শতাংশেরও বেশি কোড তৈরি করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। তবে এআই-নির্মিত এসব কোড পর্যালোচনা ও উন্নতি করতে এখনো প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। সম্প্রতি টেক জায়ান্ট গুগলের তৃতীয় প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এ কথা জানান কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই। খবর ইন্ডিয়া টুডে।
পিচাই জানান, এআই সফটওয়্যার উন্নয়নের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে। প্রযুক্তিটি কোডিংয়ের কাজ শুরু করায় প্রকৌশলীদেরও কাজের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এআই যেহেতু সহজ কাজগুলো পরিচালনা করেছে, তাই প্রকৌশলীরা জটিল সমস্যা সমাধান ও নতুন ধারণা তৈরিতে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে পারছেন। তবে পিচাই বলছেন, কর্মক্ষেত্র হিসেবে এন্ট্রি-লেভেল কোডিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে এআইয়ের এ অগ্রগতি। প্রযুক্তিটি কোডিংয়ের ক্ষেত্রে জনশক্তির সংখ্যা ও কাজের প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারে।
সুন্দর পিচাইয়ের ভাষ্য, এআইয়ের কারণে প্রকৌশলীদের চাকরি হারানোর উদ্বেগ নেই। কারণ তারা সাধারণ কোডিংয়ের বদলে আরো জটিল সমস্যা ও সৃজনশীল কাজের ওপর জোর দিচ্ছেন। বরং তাদের আরো কৌশলগত দিকগুলোয় মনোযোগ দিতে সাহায্য করছে এআই। কাজের ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা পরিবর্তিত হচ্ছে, যেখানে এআই-নির্মিত কোড তত্ত্বাবধান এবং উন্নত করা এখন প্রচলিত কোডিংয়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এআই কোডিংকে আরো কার্যকর করে তুললেও প্রবেশ স্তরের কোডিং চাকরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পিচাই। যেহেতু এআই বেশি পরিমাণে কোডিংয়ের কাজ নিয়ে নিচ্ছে, তাই জুনিয়র ডেভেলপারদের জন্য সুযোগ কমে যেতে পারে। এইআইয়ের সঙ্গে কাজ করতে তাদের দক্ষতা বাড়াতে বলেন তিনি।
ফলে একদিকে যেমন কোডারদের তাদের কর্মজীবনের পথ পুনর্বিবেচনা করতে হবে, অন্যদিকে এআইর সঙ্গে কাজ করতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এসব দক্ষতার মধ্যে থাকবে এআই সিস্টেম পরিচালনা করা, এআইর ফলাফল যাচাই করা ও এ প্রযুক্তির জটিল সমস্যা সমাধান করা। পিচাই বলছেন, সাধারণ কোডিং কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। তাই কোডাররা যারা এআই-সম্পর্কিত এবং কৌশলগত দক্ষতা শিখবেন তারা এআই দ্বারা প্রভাবিত চাকরির বাজারে সফল হওয়ার জন্য আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হবেন।