এক খণ্ড বেলেপাথরে খোদাই করা জীবাশ্মে ব্যাঙাচিটির মাথার খুলি এবং মেরুদণ্ডের কিছু অংশ, চোখ এবং স্নায়ু অনেকটাই স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণার লেখক এবং বুয়েনস আইরেসের মাইমনিদেস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী মারিয়ানা চুলিভার বলেন, এটি কেবল সবচেয়ে পুরনো ব্যাঙাচিই নয়, বরং সবচেয়ে নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত ব্যাঙাচি।
গবেষকরা জানেন যে, প্রায় ২১৭ মিলিয়ন বা ২১ দশমিক ৭ কোটি বছর আগেও ব্যাঙের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু ঠিক কীভাবে এবং কোন সময় ব্যাঙাচি থেকে ব্যাঙ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা ছিল অস্পষ্ট। নতুন এই আবিষ্কার সেই সময়রেখাকে কিছুটা স্বচ্ছতা দান করতে পারে। প্রায় আধা ফুট (১৬ সেন্টিমিটার) লম্বা এই ব্যাঙাচি বিলুপ্ত প্রজাতির একটি দৈত্যাকার ব্যাঙের যুবক সংস্করণ।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই গবেষণার ফলাফল নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত না থাকা স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরির জীবাশ্মবিজ্ঞানী বেন ক্লিগম্যান বলেন, এই আবিষ্কার ব্যাঙাচি থেকে ব্যাঙ হয়ে ওঠার সময়সীমাকে আরো ছোট করে আনতে সাহায্য করবে।
আজকের ব্যাঙাচিদের সঙ্গে আশ্চর্যজনক সাদৃশ্য রয়েছে সন্ধান পাওয়া জীবাশ্মটির। এমনকি পানি থেকে খাদ্য কণা ছাঁকতে আধুনিক ব্যাঙাচিরা দেহকাঠামোর যে বিশেষ অঙ্গ ব্যবহার করে, সেটাও জীবাশ্মটিতে রয়েছে।
ক্লিগম্যান বলেন, এই কৌশল লাখ লাখ বছর ধরে এই উভচরদের টিকে থাকতে সহায়তা করেছে। আর এর ফলেই গণহারে বিলুপ্তির অনেকগুলো শঙ্কাকে অতিক্রম করেছে ব্যাঙাচি।