এক মাসের বেশি সময় ধরে নোয়াখালীতে পানিবন্দি ছিল ২০ লাখের বেশি মানুষ। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। এখনো প্রায় ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৭০ হাজার মানুষ। দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতার কারণে জেলায় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ৩৫০টি আধাপাকা ও ৮ হাজার ৫৩টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৮ হাজার ৩৬৪টি আধাপাকা ঘর এবং ১২ হাজার ৪৭টি কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাকা ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৭ হাজার ৮২৪টির। কৃষিজমি, প্রাণিসম্পদ ও বিদ্যুৎ খাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, পানি এখনো পুরোপুরি কমেনি। এক সপ্তাহ পর জেলার সব বিভাগের সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত যেটুকু খবর পাওয়া গেছে এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জেলা প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তালিকা আকারে পাঠানো হচ্ছে।