সৌন্দর্য আর চ্যালেঞ্জের রুপিন পাস

ছোটবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। বন্ধুরা যখন পাড়ার গলিতে ক্রিকেট খেলত, তখন আমি মাঝে মধ্যে বাসার পাশের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ে চলে যেতাম। কোনো কোনো দিন অনেক দূরের পাহাড় ঘুরে রেললাইন ধরে ঠিক বাসায় চলে আসতাম। কলেজে পড়ার সময় চাচার বাসায় ঘুরতে যাওয়ার নাম করে প্রায়ই বান্দরবানে যাওয়া হতো। তখনো বান্দরবান ট্রেকিংয়ের জন্য অতটা জনপ্রিয় হয়নি। সে সময় বান্দরবান শহরের আশপাশের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে একাই ঘুরে বেড়াতাম। কখনো কখনো খাড়া ঝরনা বেয়ে উপরে উঠে যেতাম। পাহাড় আমার কাছে বাড়ির আঙিনার মতো মনে হয়। তাই যত অচেনা জায়গাই হোক, মনে হয় আমি ঠিক জানি এখানে কীভাবে চলতে হয়।

ছোটবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। বন্ধুরা যখন পাড়ার গলিতে ক্রিকেট খেলত, তখন আমি মাঝে মধ্যে বাসার পাশের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ে চলে যেতাম। কোনো কোনো দিন অনেক দূরের পাহাড় ঘুরে রেললাইন ধরে ঠিক বাসায় চলে আসতাম। কলেজে পড়ার সময় চাচার বাসায় ঘুরতে যাওয়ার নাম করে প্রায়ই বান্দরবানে যাওয়া হতো। তখনো বান্দরবান ট্রেকিংয়ের জন্য অতটা জনপ্রিয় হয়নি। সে সময় বান্দরবান শহরের আশপাশের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে একাই ঘুরে বেড়াতাম। কখনো কখনো খাড়া ঝরনা বেয়ে উপরে উঠে যেতাম। পাহাড় আমার কাছে বাড়ির আঙিনার মতো মনে হয়। তাই যত অচেনা জায়গাই হোক, মনে হয় আমি ঠিক জানি এখানে কীভাবে চলতে হয়।

উঁচু পর্বতে ট্রেকিংয়ের স্বপ্ন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সময়, অর্থ আর ভারতীয় ভিসা সব একসঙ্গে মেলানো আগে বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার হওয়ায় স্বপ্নটা পূরণ হতে সময় নিচ্ছিল। এর মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে ২০১৮ সালে সান্দাকফু যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও চাকরি পরিবর্তনের ঝামেলায় আর যাওয়া হয়নি। এবার মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, পর্বতে আমি যাচ্ছি। গন্তব্য ঠিক করলামরুপিন পাস এটা ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত।পাসবলতে মূলত প্রাচীন ব্যবসার রুট বোঝানো হয়। যেখান দিয়ে এক অঞ্চলের মানুষ বহু দূরের অন্য কোনো অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ব্যবসার জন্য যাওয়া-আসা করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উচ্চতায় (পাঁচ হাজার থেকে ১১ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) যারা থাকেন, তাদের কাছে ধরনের রাস্তা কিছুই না। কিন্তু সমতলে বসবাসকারী কারো জন্য এটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জিং কারণ আট বা নয় হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পর একজন পর্বতারোহী যেকোনো সময়অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস’- আক্রান্ত হতে পারেন। রুপিন পাসের সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় আমরা উঠেছি, তা ছিল ১৫ হাজার ৩৮০ ফুট। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে ধরনের পর্বতে ওঠা খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা না- হতে পারে। তার পরও চ্যালেঞ্জটাই এবার নিতে চাইলাম।


রুপিন পাসে যেতে আমাকে প্রথমে যেতে হয়েছে ভারতে উত্তরাখণ্ড প্রদেশের দেহরাদুন শহরে, ঢাকা-দিল্লি তারপর দিল্লি-দেহরাদুন ফ্লাইটে করে। ট্রেকিং ছিল মোট নয়দিনের। দলে ছিল মোট ১৭ জন, যাদের মধ্যে আমিই একমাত্র বাংলাদেশী। প্রথম দিন আমরা শুরু করলাম দেহরাদুন থেকে ভোরে গাড়িতে করে বেস ক্যাম্প ধাউলার ( হাজার ২৩০ ফুট উচ্চতা) উদ্দেশে রওনা হয়ে, প্রায় ১১ ঘণ্টার ধকল। দেহরাদুন শহর থেকে বের হয়ে ঘণ্টাখানেক যেতেই আমরা পাহাড়ি পথে চলে আসলাম। গাড়ি মিনিটও সোজা

আরও