কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী পরাজয়ের পর দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে ডেমোক্র্যাটিক দলের। অভিযোগ করা হয়েছে, ভুল রানিং মেট বেছে নিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সাতটি সুইং রাজ্যের প্রতিটিতেই হেরে যাওয়ার পথে—যা শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের দৌড়ে তাকে পিছিয়ে দিয়েছে।
৬০ বছর বয়সী হ্যারিস নির্বাচনের রাতে সমর্থক উদ্দেশে কোনো বক্তব্য দেননি। এ সময় ফলে ডেমোক্র্যাট কর্মীরা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসেন। আবার অনেকেই তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মিনেসোটা রাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করছেন।
টিম ওয়ালজের বিকল্প হিসেবে পেনসিলভানিয়ার জনপ্রিয় ও ক্যারিশম্যাটিক গভর্নর জোশ শাপিরোর কথা ভাবা হচ্ছিল। শাপিরো মার্কিন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে বেশ জনপ্রিয়।
লি বলেন, মধ্যপন্থী হিসেবে শাপিরো আমেরিকান জনগণকে দেখাতে পারতেন যে ট্রাম্প হ্যারিস ‘সান ফ্রান্সিসকো লিবারেল' হিসেবে যেভাবে সম্বোধন করেছিলেন তিনি আসলে তেমনটা নন। কিন্তু তিনি (হ্যারিস) এমন একজনকে বেছে নিলেন যিনি আসলে তার চেয়েও বেশি বামপন্থী।
অনেক ডেমোক্র্যাটিক মনে করছেন, হ্যারিস নিজস্ব নীতি ও অবস্থান তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক কর্মীরা বলেন, হ্যারিস তার নিজস্ব নীতি অবস্থান তুলে ধরতে এবং জনসমর্থনে বিপর্যস্ত জো বাইডেন থেকে যথেষ্ট দূরত্ব রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তারা উল্লেখ করেন টক শো ‘দ্য ভিউ’-তে যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি গত চার বছরে বাইডেন থেকে কী ভিন্নভাবে করতেন তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘তার মাথায় কিছু আসছে না’।
এদিকে এমএসএনবিসির ভাষ্যকার জয় রেইড ডেমোক্র্যাটদের উত্তর ক্যারোলিনায় পরাজয়ের জন্য সেখানকার শ্বেতাঙ্গ নারীদের দায়ী করেন।
সিএনএন-এর কন্ট্রিবিউটর এবং বারাক ওবামার সাবেক উপদেষ্টা ভ্যান জোন্স, সেলিব্রিটি ভরা র্যালি নিয়ে হ্যারিসের প্রচারণার সমালোচনা করে বলেন, আমি মনে করি না মানুষ এটা বোঝে যে কর্মজীবী মানুষদের নিজের প্রয়োজনটাকে বেছে নিতে হয়। তারা ভাবে, আমি কি কোনো চমৎকার কনসার্টে যাব এবং যাওয়ার জন্য বেবি সিটারের ব্যবস্থা করব নাকি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করব?