ডেমোক্র্যাটরা যদি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাতে 'দেজা ভু' অনুভব করেন, তবে তাদের দোষ দেয়া যায় না।
তৎকালীন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ২০১৬ সালের নির্বাচনী রাত এবং কমলা হ্যারিসের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের নির্বাচনী রাতের জন্য পরিকল্পিত অনুষ্ঠানের মধ্যে অপরিকল্পিত অনেক কিছুরই বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন ট্রাম্পকে পরাজিত করার প্রত্যাশা নিয়ে এগোলেও হিলারি ক্লিনটন বা কমলা হ্যারিস কেউই তাদের নির্বাচনী রাতের পার্টিতে উপস্থিত হননি। কমলা তার প্রধান সহকারীর কাছে হতাশ শ্রোতাদের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন যে, তিনি ‘আজ রাতে’ বক্তৃতা করবেন না। এখনো বেশকিছু অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা বাকি আছে। পরদিন তিনি শুধু সমর্থকদের উদ্দেশে নয়, দেশবাসীর প্রতি বক্তৃতা করবেন।
ঠিক একই কাজ করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এই দু’জনের বক্তব্যেও মিল ছিল।
হ্যারিসের প্রচারাভিযানের সহ-চেয়ার সেড্রিক রিচমন্ড মঙ্গলবার শ্রোতাদের বলেন, আমাদের এখনো ভোট গণনা বাকি। এখনো কিছু রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। আমরা রাতভর লড়াই চালিয়ে যাব যাতে প্রতিটি ভোট গণনা নিশ্চিত করা যায়। সবার কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তাই আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্টের কথা শোনা যাবে না। কিন্তু আগামীকাল তার বক্তব্য শোনা যাবে।
২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানের চেয়ার জন পোডেস্টা বলেছিলেন, আমরা এখনো ভোট গণনা করছি। প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু রাজ্যের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা যায়নি। তাই আজ রাতে আমাদের আর কিছু বলার নেই।
ওয়াচ পার্টির আবহ এবং রাতের গতিপথেও রয়েছে বেশ মিল। নিউইয়র্কের জাভিটস সেন্টারে হিলারি ক্লিনটনের ইভেন্ট শুরুতে উৎসাহে পরিপূর্ণ ছিল। মানুষ নাচছিল, হাসছিল, ইতিহাস রচনা করতে উদগ্রীব ছিল। এমনকি হিলারি ক্লিনটন জিতলে কাচের ছাদ ভাঙার প্রতীক হিসেবে কনফেত্তি ওড়ানোর পরিকল্পনাও ছিল। একই দৃশ্য দেখা যায় হ্যারিসের ইভেন্টেও। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রিয় ক্যাম্পাস হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানেও শুরুতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
এরপর মঞ্চে পোডেস্টা এবং রিচমন্ড আসার সময়ের মধ্যেই থেমে গেছে পার্টি। সমর্থকেরাও বের হয়ে যাচ্ছিল। যারা রয়ে গিয়েছিল তাদের মুখেও ভর করেছে বিষণ্ণতা।