মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেন জি ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’জনই। নির্বাচনের আগে প্রচারণার সময় জেন জি ভোটারদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই আজ প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির কলাম্বিয়া ম্যাগাজিন অনুসারে, এ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় আছেন প্রায় ৪ কোটি জেন জি ভোটার, যার মধ্যে ৮০ লাখ এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।
এই ভোটারদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবকে ছোট করে দেখা উচিত নয় বলছেন জেন জি ফর চেঞ্জ নামের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আইডান কোহেন-মার্ফি। তিনি সিএনএনকে বলেন, টিকটক অনেক তরুণকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং তাদের প্রচারাভিযান সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করেছে।
কোহেন-মার্ফি বলেন, তরুণ ভোটারদের জন্য প্রধান ইস্যুগুলি হলো— জলবায়ু, প্রজননে ন্যায়বিচার, বন্দুক সহিংসতা এবং ইসরায়েলি সরকারের প্রতি বাইডেনের ‘অত্যন্ত অজনপ্রিয়’ সমর্থন।
তিনি আরো বলেন, তরুণরা টিকটকে অনেকটাই ‘পিয়ার-টু-পিয়ার’ মডেল বা সরাসরি তথ্য শেয়ার করছে, যা মানুষকে প্রার্থীদের সমর্থন করতে অনুপ্রাণিত করে।
কোহেন-মার্ফি বলেন, প্রথমবার ভোটার হওয়া অনেকের কাছে অতীতের কিছু রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি, যেমন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অ্যাক্সেস হলিউড’ টেপ পরিচিত ছিল না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তাদের এই বিষয়ে জানতে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, অ্যাক্সেস হলিউড টেপ বের হওয়ার সময় আমরা পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণিতে ছিলাম। আমরা ট্রাম্পের ভয়ংকর শব্দ ও আচরণের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে এগুলো এমন কিছু যা আমরা আগে শুনিনি এবং আমার ধারণা, টিকটক তরুণদের মনে করিয়ে দেয়ার এবং তাদের চমক দেয়ার একটি সহজ উপায়।