উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, ওনসান বন্দরের কাছে একটি সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৯১০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়ে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরে পতিত হয়েছে।
দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করার ঘোষণা দেয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এমন অভিযোগ উঠলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই একইসঙ্গে ফের আলোচনার ঘোষণা এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের পক্ষ থেকে প্রথমে উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দাবি করা হয়। ঘণ্টাখানেক পরে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ মূখ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভবত একটি ক্ষেপণাস্ত্রই পানিতে পতিত হওয়ার আগে দুভাগে বিভক্ত হয়ে থাকতে পারে।
এ দিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ‘এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবনার লঙ্ঘন।’ জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষিদ্ধ করেছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোন সমঝোতা ছাড়াই সেই আলোচনা শেষ হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পিয়ংইয়ং স্থগিত হওয়া সেই আলোচনা এই সপ্তাহেই ফের শুরু করার ঘোষণা দেয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এটা সম্ভবত এবছর উত্তর কোরিয়ার ১১তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সীমা ও ক্ষমতা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করার আগে কিছুদিন ধরে সাবমেরিন চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে।
সূত্র: বিবিসি