হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মরদেহকে ইসরায়েলে আটককৃত বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে ‘বিনিময় মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কিছু ইসরায়েলি সূত্র এমন ইঙ্গিত দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নিহত হওয়ার পর সিনওয়ারের মরদেহ বর্তমানে ইসরায়েলের একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
দুইটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের জন্য অগ্রাধিকার হবে কীভাবে সিনওয়ারের মরদেহকে ব্যবহার করে বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা যায়। ইসরায়েলি এক সূত্র বলেছে, হামাসের ওপর দ্রুত চাপ সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা বন্দিদের মুক্তি দেয়।
ইসরায়েলি এক কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, হামাস যদি জীবিত বা মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে সিনওয়ারের দেহ ফেরত চায়, তবে তা হতে পারে।
উভয় সূত্রই একমত যে, সিনওয়ারের দেহকে ‘বিনিময় মাধ্যম’ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ইসরায়েলের সূত্র আরো বলেছে, সিনওয়ারের মরদেহ গাজায় ফেরানো সম্ভব একমাত্র বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমেই। অন্যথায় তা হস্তান্তর করা হবে না।
একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, সিনওয়ারের মরদেহ গাজায় ফেরানো হলে তা হামাস সমর্থকদের চাঙা করতে পারে এবং তার কবর একটি পবিত্র স্থান হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ গতকাল শুক্রবার এক নিরাপত্তা বৈঠকে সিনওয়ারের মৃত্যুর ফলে তৈরি হওয়া ‘গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।