যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আসবেন— সেদিকেই এখন সবার চোখ। দেশটির বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের দিন এবং তারপর অঙ্গরাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শান্তি বজায় রাখতে ন্যাশনাল গার্ড ইতোমধ্যে ১৯টি রাজ্যে সক্রিয় করা হয়েছে বা শিগগিরই সক্রিয় করা হবে। খবর রয়টার্স।
নির্বাচনের ফল নির্ধারণকারী ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতেই মূলত কড়াকড়ির দৃশ্য দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। এরকম এক সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য হলো নেভাদা। সেখানে ২০২০ সালের নির্বাচনের পরে ট্রাম্প সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিল। এ বছর, সেই বিক্ষোভের অন্যতম স্থান লাস ভেগাসের একটি ভোট গণনা কেন্দ্রকে সুরক্ষা বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
নেভাদা কাউন্টির লাস ভেগাসের একটি ভবন ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। ভবনটিতে নেভাদার ভোট তালিকাভুক্ত করা হবে। অ্যারিজোনার একজন শেরিফ তার বিভাগের সদস্যদের সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছেন। সে সঙ্গে, ড্রোন ও স্নাইপারদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সোমবার জানান, আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, উত্তর ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন এবং ওয়াশিংটন রাজ্যে বর্তমানে ন্যাশনাল গার্ডের মিশন চলছে। ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, ওরেগন, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস এবং পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় সেনাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে অ্যারিজোনায়। সেখানে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকিও দেয়া হয়েছে। এ কারণে মেরিকোপা কাউন্টির ভোট গণনা কেন্দ্রের আশপাশে ধাতব বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। কাউন্টি শেরিফ রাস স্কিনার বলেছেন, তার বিভাগ সতর্ক থাকবে এবং তিনি কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোর আশেপাশের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করা হবে এবং সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে স্নাইপার ও অন্যান্য রক্ষীবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হবে।
সম্ভাব্য বিক্ষোভ বা সহিংসতার আশঙ্কায় অ্যারিজোনার কয়েকটি স্কুল ও গির্জাকে এবার আর ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।