গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইসরয়েলের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান। এরই মধ্যে আবার ইরান ও ইসরাইলে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তেহরান টাইমসের বরাত দিয়ে বাসস এ তথ্য জানিয়েছে।
তেহরান টাইমসের উদ্ধৃতিতে এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসও এ খবর প্রকাশ করেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান সম্ভবত আগামীকাল অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচনের আগে হামলা চালাবে না। তবে অন্যান্য সূত্র বলছে, ইরান নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে।
তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনায় যুক্ত তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে গত সোমবার খামেনি তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন।
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর সিএনএন এক উচ্চপদস্থ সূত্রের বরাতে জানায়, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান একটি সুনির্দিষ্ট ও বেদনাদায়ক পদক্ষেপ নেবে। ইরানের একটি সূত্র সিএনএনকে জানায়, ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট ও বেদনাদায়ক হবে।
এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।