যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার মেডিকেল রেকর্ড বা স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, তার স্বাস্থ্য ‘চমৎকার’ এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যোগ্য অবস্থায় আছেন। এই তথ্য প্রকাশের পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য রেকর্ড প্রকাশ না করার অভিযোগ এনে স্বচ্ছতার অভাবের কথা বলেছেন হ্যারিস। খবর বিবিসি।
কমলা হ্যারিস আরো দাবি করেছেন যে, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকান জনগণকে দেখাতে চান না যে, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যোগ্য কিনা।
ট্রাম্পের মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশ না করেই তার চিকিৎসকের উদ্ধৃতি রিপাবলিকান প্রচারণা দল বলছে যে, ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরিপূর্ণ ও চমৎকার। তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত ও সক্রিয় প্রচারাভিযান সূচির মাঝে রয়েছেন। ট্রাম্পের দলের দাবি, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্পের মতো স্ট্যামিনা নেই হ্যারিসের।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক এবং মানসিক স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। মূলত এই প্রতিবেদনের পরই শুরু হয় এই তর্ক।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে হ্যারিসের চিকিৎসক মার্কিন আর্মি কর্নেল ড. জোশুয়া সিমন্স গত এপ্রিলে হ্যারিসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে লিখেছিলেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট একটি স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় জীবনধারা বজায় রেখেছেন।
হ্যারিসের স্বাস্থ্য রেকর্ড প্রকাশের পরই তার প্রচারাভিযানের এক মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, এবার আপনার পালা, ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নর্থ ক্যারোলিনায় একটি প্রচারাভিযানের আগে কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর মানসিক তীক্ষ্ণতা এবং তার অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে চলে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
ডেমোক্র্যাটরা এখন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের বয়স ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে আক্রমণ করছে। কারণ, কয়েক মাস আগেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি রিপাবলিকানরা একই ধরনের সমালোচনা করেছিল।
নভেম্বরে আবার নির্বাচিত হলে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে, ৮২ বছর বয়সে। তবে এই রেকর্ডে তিনি বাইডেনকে পাশে পাবেন। আগামী জানুয়ারিতে পদত্যাগের সময় একই বয়স থাকবে বাইডেনের।
হ্যারিস শিবিরের দেয়া চাপের জবাবে ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুয়াং বলেছেন, এই গ্রীষ্মে পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে হামলার পর চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্যগত হালনাগাদ তথ্য স্বেচ্ছায় প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। সবাই উপসংহারে এসেছে যে, তিনি কমান্ডার ইন চিফ হওয়ার জন্য পরিপূর্ণ এবং চমৎকার স্বাস্থ্যের অধিকারী।
চুয়াং ২০২৩ সালের নভেম্বরের একটি মেডিকেল চিঠিরও উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছিল যে, ট্রাম্পের শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক সীমার মধ্যে ছিল এবং তার মানসিক পরীক্ষার ফলাফল ছিল দারুণ।
জাতীয় জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, হ্যারিস ট্রাম্পের থেকে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় তাদের সমর্থন অনেকটাই কাছাকাছি।