আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে সেতু ও ভবন। বাড়ির ছাদ বা গাছে উঠে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। চরম আবহাওয়ার কারণে কিছু উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
সরকারের ভাষ্যমতে, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে কারণ এখনো নিখোঁজের সংখ্যা অনেক। ভ্যালেন্সিয়ায় অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, কাস্তিয়া-লা মানচায় দু’জন এবং মালাগায় মারা গেছেন একজন।
ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। অঞ্চলটির প্রধান কার্লোস মাহন জানিয়েছেন, চূড়ান্তভাবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, এ পর্যায়ে সেই সংখ্যা জানানো অসম্ভব।
দেশের ইতিহাসে ১৯৭৩ সালের পর এটিই বন্যায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। ১৯৭৩ সালে স্পেনের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পেদ্রো সানচেজ নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বলেন, সমগ্র স্পেন আপনাদের সঙ্গে শোক পালন করছে। আমরা আপনাদের ছেড়ে যাব না।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা এইএমইটির মতে, ভ্যালেন্সিয়ার নিকটবর্তী শহরগুলোর একটি চিভায় মঙ্গলবার মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। ৪৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যা এক বছরের বৃষ্টিপাতের সমান।
স্প্যানিশ সেনাবাহিনী এবং জরুরি সেবার সদস্যরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। আকস্মিক জলোচ্ছ্বাসে রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, ভ্যালেন্সিয়ার পাশের শহর হর্নো দে আলসেডোর মেয়র জানিয়েছেন, কীভাবে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে পানির স্তর এক মিটারের বেশি বেড়েছে। তিনি বলেন, স্রোত খুব দ্রুত এসেছে।
স্পেনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে স্থানীয় কর্মকর্তা মিলাগ্রোস তোলন জানান, জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ড্রোন ব্যবহার করে ভয়াবহ বন্যাকবলিত শহর লেতুরের নিখোঁজ বাসিন্দাদের সন্ধান করছেন। তাদের খুঁজে বের করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।