খাগড়াছড়ির পর রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার পর শুক্রবার দুপুর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকালে শহরের অভ্যন্তরীণ যানবাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিছু সংখ্যক চলাচল করলেও শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ি-বান্দরবান ও চট্টগ্রামের দূরপাল্লার যানবাহন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন ও দোকানপাট বন্ধ রাঙ্গামাটি কার্যত স্থবির পড়েছে।
শনিবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরে একমাত্র অভ্যন্তরীণ যানবাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ আছে। তবে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে স্থানীয়রা যোগাযোগ করতে পারছেন। জেলা শহরের বনরূপার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বনরূপা হাটবার থাকলেও বাজারে আজ সুনসান নীরবতা। তবে রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকার কিছু দোকানপাট খুলেছে।
বাজারের বিভিন্ন রাস্তার মুখে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ-বিজিবি, সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া শহরের দোয়েল চত্বর, পৌরসভা এলাকা, হ্যাপির মোড়, নিউ মার্কেট, স্টেডিয়াম এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের অভ্যন্তরীণ সব যানবাহন ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল থেকে বিরত আছেন শ্রমিকরা। নৌপথে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচলও। পরিবহন মালিকদের দাবি, শুক্রবারের সহিংসতায় রাঙ্গামাটির যানবাহনে ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।