ইরান হামলায় ইঙ্গিত

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা হয়তো আমলে নিয়েছে ইসরায়েল

ইরানের আংশিক সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নিঃসন্দেহে ইসরায়েল একটি 'সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়ার' মুখোমুখি হবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি আরো পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু কেবলমাত্র ইরানের সামরিক স্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে নাকি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোতেও হামলা হয়, সেটা দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, পরেরটি ঘটলে তেহরান থেকে বেশ বড়সড় প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।

প্রায় এক মাস আগে ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর থেকেই ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইরানে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন যে, প্রতিক্রিয়া জানানোর ‘অধিকার এবং দায়িত্ব’ দুটোই আছে ইসরায়েলের। সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় রয়েছে তাদের প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক সক্ষমতা। খবর বিবিসি।

ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ নিশ্চিত করেছে যে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুগুলো কী ছিল এবং সেগুলো সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমের কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।

বর্তমানে ইরানি গণমাধ্যমে এই হামলার প্রভাবকে খাটো করে দেখানো হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে তথ্য ধীরে ধীরে ইরানি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে। ইসরায়েল হয়তো দ্রুত তাদের হামলার বিবরণ প্রকাশ করতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে তারা আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করছে কি না, তার ওপর।

এদিকে পেন্টাগন এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে যে, ইরানে এই হামলাকে তারা ইসরায়েলের 'আত্মরক্ষার চর্চা' হিসেবে দেখছে। সে সঙ্গে পেন্টাগন বলেছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে থেকেই অবহিত করা হয়েছিল এবং এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওয়াশিংটন তাদের সংশ্লিষ্ট না থাকার খবরকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করতে চাইছে কারণ, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাতকে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপান্তরিত হওয়া থেকে আটকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

উদ্ভূত পরিস্থিতি আরো পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু কেবলমাত্র ইরানের সামরিক স্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে নাকি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোতেও হামলা হয়, সেটা দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, পরেরটি ঘটলে তেহরান থেকে বেশ বড়সড় প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতির যে সামান্য প্রমাণ সামনে এসেছে তাতে বিশ্লেষকদের ধারণা, ইসরায়েল হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা মেনে চলেছে এবং ইরানের প্রতি সর্বাত্মক আঘাত হানার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সংযত করেছে। এখন ইরানের নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে, তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

ইরানের আংশিক সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নিঃসন্দেহে ইসরায়েল একটি 'সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়ার' মুখোমুখি হবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই বলেছে যে, ইরান যদি উত্তেজনার নতুন মাত্রা শুরু করার ভুল করে, তবে ইসরায়েল আবারো বাধ্য হবে প্রতিশোধ নিতে।

আরও