হিজবুল্লাহ প্রধান হিসেবে নাঈম কাসেমের প্রথম সরকারি বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাটজ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে সতর্ক করেছেন যে, ইসরায়েল নিশ্চিত করবে কাসেমের শেষটা শিগগিরই হবে।
বুধবার তার প্রথম বক্তৃতায় কাসেম এই সংঘাতকে লেবানন ও গাজার বাইরেও প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে ‘একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে, হিজবুল্লাহ কেবল সেই শর্তেই যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে, যার শুরুতে থাকবে আগ্রাসন বন্ধ এবং পরোক্ষ আলোচনা।
নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের গত মঙ্গলবার কাসেমের নিয়োগ ঘোষণা করা হয়। বক্তৃতায় হিজবুল্লাহর আঞ্চলিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় এবং পরিস্থিতিকে একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
লেবাননের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে আসার কথা রয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টায় নেয়া হয়েছে এই কূটনৈতিক উদ্যোগ।
গাজা উপত্যকায় শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই আলোচনা এখনো সফলতা অর্জন করেনি এবং উভয় ফ্রন্টে সংঘর্ষ তীব্রতর হয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েল লেবাননে বড় আকারের একটি বিমান হামলা চালায়। তাদের দাবি, এই হামলা হয়েছিল হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তু করে। গাজায় ইসরায়েলের নির্মম আক্রমণের শুরু থেকেই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরুর পর সেই আক্রমণ দিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বেড়ে যায় বহুগুণ।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১২ হাজার ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল গত ১ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে অনুপ্রবেশ করে সংঘাতকে আরো বিস্তৃত করে।