মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করার মাধ্যমে প্রথম কোনো দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী, অর্থনৈতিক সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুগুলো ঘিরে প্রচারণা চালিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন ট্রাম্প। খবর দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
ট্রাম্প নিজেকে বিজয় ঘোষণা করলেও এখনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জেতেননি তিনি। প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে এখন পর্যন্ত ৪টি কম আছে তার। তবে, বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতেও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের ভোট সংখ্যা ২১৯।
তবে নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ ডেমোক্র্যাটরা তাদের ওয়াচ পার্টি বাতিল করলেও এখনো পরাজয় স্বীকার করেনি। হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেমোক্র্যাটদের আয়োজিত ওয়াচ পার্টিতে কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের চেয়ার জন পোডেস্টা মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে বলেছেন, আমরা এখনো ভোট গণনা করছি। প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু রাজ্যের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা যায়নি। তাই আজ রাতে আমাদের আর কিছু বলার নেই।
হ্যারিসের প্রচারাভিযানের সহ-চেয়ার সেড্রিক রিচমন্ড শ্রোতাদের বলেন, আমাদের এখনো ভোট গণনা বাকি। এখনো কিছু রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। আমরা রাতভর লড়াই চালিয়ে যাব যাতে প্রতিটি ভোট গণনা নিশ্চিত করা যায়। সবার কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তাই আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্টের কথা শোনা যাবে না। কিন্তু আগামীকাল তার বক্তব্য শোনা যাবে।
তবে মঙ্গলবার রাত শেষ হয়ে বুধবার ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন কমলা সমর্থকদের আশাও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রিয় ক্যাম্পাস হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
এরপর মঞ্চে পোডেস্টা এবং রিচমন্ড আসার আগেই থেমে গেছে পার্টি। সমর্থকেরাও বের হয়ে যাচ্ছিলেন। যারা রয়ে গিয়েছিল তাদের মাঝেও ছিল বিষণ্ণতা।
ডেমোক্র্যাটরা পরাজয় স্বীকার না করলেও বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন বার্তা আসছে ট্রাম্পের কাছে। দারুণ উত্থান-পতন ও সহিংসতা ছিল ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়। আততায়ীর হামলায় মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসার ঘটনাও ছিল তার মধ্যে। সেই প্রচারণার পর বেশিরভাগ আমেরিকান ভোটার এখন ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মেয়াদে সুযোগ দিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। আর এটাই বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের প্রতি ভোটারদের কঠোর প্রত্যাখ্যানকে নির্দেশ করে।