যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন। প্রাণঘাতী এ ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে এরই মধ্যেই ফ্লোরিডার ৩২ লাখেরও বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ঝড়টি। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
বিবিসি বলছে, হ্যারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। ফ্লোরিডার ক্রুরা মিল্টনের ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবের আরো ভালো চিত্র পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা আগামী দিনে বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ ল এনফোর্সমেন্ট বিবিসির ইউএস নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজকে এ মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এছাড়া প্রায় ৩০ লাখ বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ নেই। অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর রন ডিসান্টিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে আরো বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে না যাওয়ার জন্য ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
পশ্চিম উপকূলে সেন্ট পিটার্সবার্গে পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে একটি ক্রেন একটি সংবাদপত্র ভবনে আছড়ে পড়েছে এবং একটি মেজর লীগ বেসবল স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেছে।তাণ্ডব চালানোর পর মিল্টন আটলান্টিকের দিকে চলে গেছে। কিন্তু অঙ্গরাজ্যের অনেক অংশ প্লাবিত হয়েছে এবং কিছু লোককে নৌকায় করে উদ্ধার করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ সাইট পাওয়ারআউটেজ.ইউএস এর তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে ফ্লোরিডায় ৩২ লাখেরও বেশি বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে হ্যারিকেন হেলেন ওই এলাকায় আঘাত হানার পর অনেকেই তাদের বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের অপেক্ষায় ছিলেন। আর তার মধ্যেই নতুন করে হ্যারিকেন মিল্টন আঘাত হানল।