মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের অনুমান অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এক নজিরবিহীন মোড় হিসেবে দেখছেন। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় জীবনের ওপর দুটি হামলার মধ্য দিয়ে ভরা ট্রাম্প পূর্ণ করতে চলেছেন এক ঐতিহাসিক নির্বাচনী চক্র।
ট্রাম্প এখন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন যিনি বিরতি দিয়ে দুটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন। ১৮৯২ সালে ক্লিভল্যান্ড প্রথমবারের মতো এই কীর্তি স্থাপন করেছিলেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে জয়ী হতে চলেছেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ফক্স নিউজ। তাদের এ অনুমান সত্যি হলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে।
অন্যান্য নেটওয়ার্ক ও ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করেনি। এডিসন রিসার্চের মতে, মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) নির্বাচনে ট্রাম্প ইতিমধ্যেই সুইং স্টেট নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়া জয় করেছেন। আর এ ফলাফল তাকে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পথে আরো এগিয়ে নিয়েছে।
এখন পর্যন্ত ২৪৮টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের দখলে ২১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট। তাছাড়া, পেনসিলভানিয়ায় ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ১৯টি।
এছাড়া ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ওহাইওতে ডেমোক্র্যাটদের আসন ছিনিয়ে নেয়ার পর রিপাবলিকানরা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে দলীয় নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই চললেও কোনো দল এখনো স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
নির্বাচনের দিন পর্যন্ত, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার সম্ভাবনা ছিল ৫০-৫০, যা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ঘটনাগুলোর পর থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। কারণ অনেক বিশ্লেষকই ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন।
এডিসন রিসার্চের এক্সিট পোলের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক হিস্প্যানিক এবং নিম্ন আয়ের শ্রেণির ভোটারদের সমর্থন নিজ পাল্লায় নিতে পেরেছেন। ট্রাম্প সারাদেশে হিস্প্যানিক ভোটারদের ৪৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
প্রায় ৩১ শতাংশ ভোটার তাদের শীর্ষ ইস্যু হিসেবে অর্থনীতিকে চিহ্নিত করেছেন, এবং এদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। দেশের ৪৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন যে, তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা চার বছর আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। এই ভোটারদের ৮০ শতাংশই ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে।