ইরানের রাজধানী তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইরানের হামলার কথা জানিয়েছে। ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে’। তবে কোন স্থানগুলোতে হামলা হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ কতটুকু, তা স্পষ্ট নয়। গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতেই আইডিএফ ইরানের হামলার ঘোষণা দেয়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস দ্বারা পরিচালিত ইরানের সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে যে, রাজধানী তেহরানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোও জানাচ্ছে যে, তেহরানের পশ্চিমে তিনটি পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, রাজধানীতে তারা মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দেই তাদের ঘুম ভেঙেছে। আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে এসব বিস্ফোরণে।
এখনো পর্যন্ত ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলের আক্রমণগুলোকে ব্যর্থ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ঘটনার পর ইরান চিরাচরিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হামলার পর গুরুতর ক্ষতি বা মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেলে প্রতিক্রিয়ার ভাষাও পরিবর্তিত হতে পারে।
ইরানে ইসরায়েলের এই হামলা অনেকটাই অনুমিত। চলতি মাসের শুরুতে ইরান প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছিল। এরপর ইসরায়েলও প্রতিশোধের কথা বলেছিল বারবার। ইরানের এই আক্রমণটি আসে ইসরায়েলের হামলায় হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের অপারেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোশানের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে ইসরায়েলকে পরামর্শ দিয়েছিল যেন তারা পারমাণবিক ও তেলের স্থাপনাগুলোতে হামলা না চালায়, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রসার ঘটাতে পারে। এদিকে, পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় যুক্ত নয়। হোয়াইট হাউস এই হামলাগুলোকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে এই হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।