গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানে হামলা চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলের পরিকল্পনা প্রস্তুত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে। তবে এর বেশি কোনো তথ্য সূত্রটি দেয়নি।
সিএনএন এরইমধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ প্রসঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে নতুন কোনো তথ্য তথ্য পায়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ একাধিক কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ইরানে পাল্টা আক্রমণ শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ইরানের তেল বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা হবে না।
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং অন্যদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তখন প্রায় এক কোটি ইসরায়েলি নাগরিককে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এর জবাব দিতে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ মিত্র দেশগুলো হামলা প্রতিহতে সমর্থন জানায়। এতে সংঘাত আরো বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জবাবে নেতানিয়াহু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, এই আক্রমণের জন্য ইরানকে মূল্য দিতে হবে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, প্রতিশোধের অংশ হিসেবে তিনি ইরানের পরমাণু বা জ্বালানি তেলের স্থাপনায় হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিরুৎসাহিত করেছেন।