ইসরায়েলি হামলায় গাজার শরণার্থী শিবিরে ২১ নারীসহ ৩৩ জন নিহত

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার গণমাধ্যম দপ্তর থেকে প্রাপ্ত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবারের (১৮ অক্টোবর) বিমান হামলায় বোমা ফেলা হয় শরণার্থী শিবিরের তিনটি বাড়িতে। এতে ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজার জনবহুল জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২১ জন নারী রয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইসরায়েল এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। খবর বিবিসি।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার গণমাধ্যম দপ্তর থেকে প্রাপ্ত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবারের (১৮ অক্টোবর) বিমান হামলায় বোমা ফেলা হয় শরণার্থী শিবিরের তিনটি বাড়িতে। এতে ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে যে, আল-আওদা হাসপাতালের উঠোনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো মৃতদেহগুলো রাখা রয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, আহত মানুষে পূর্ণ হয়ে গেছে হাসপাতাল। অ্যাম্বুলেন্স এখনো জাবালিয়া থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো সম্পূর্ণ পূর্ণ, এবং অনেক আহত ব্যক্তি মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলার আগে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই জাবালিয়াতে। সেখানের শরণার্থী শিবিরে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খাদ্য ও পানির সংকটে আটকা পড়ে আছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা অফিসের প্রধান জর্জিওস পেট্রোপুলোস বলেছেন যে, জাবালিয়ার পরিবারগুলো অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্কতা দিতে পারছি না।

আরও