ইরানের ইসরায়েলি বিমান হামলা নিয়ে মধপ্রাচ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। হামলায় তেহরানসহ আশপাশের এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দুই দেশই এ আক্রমণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
- ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানের মিসাইল এবং ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্রগুলোই এই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। সম্প্রতি ইরান থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়, যার প্রতিশোধ হিসেবেই আজকের হামলা। ইসরায়েল এ হামলাকে তাদের ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
- ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, আক্রমণে ইরানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র, মিসাইল কারখানা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদনের পরিকাঠামো লক্ষ্য করে এ আক্রমণ চালানো হয়েছে।
- অন্যদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইলাম, খুজেস্তান ও তেহরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই আক্রমণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অধিকাংশ আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। তেহরানের বিভিন্ন স্থানে সামরিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে এবং ইরান দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
- যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছিল এবং হামলার আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার ওপর এ হামলার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সতর্ক করেছে, এ ধরনের আক্রমণ সংঘাতের পরিসর বড় করে তুলতে পারে।
- এ আক্রমণের ফলে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা প্রতিশোধমূলক আক্রমণে আরো উৎসাহিত হতে পারে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে এই সংঘাত, যা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
- আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।