সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সদরের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বেত্রবতী নদী। একটি বেইলি ব্রিজ ও দুটি কাঠের সেতু আশপাশের ছয় ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। বৃহস্পতিবার পানির চাপে তিন সেতুই ভেঙে গেছে। এর পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ছয় ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে কলারোয়ার সঙ্গে যশোরের কেশবপুর, মণিরামপুর ও ঝিকরগাছা এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলারও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
কলারোয়া পৌরসভার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান জানান, গত বছরের আগস্টে বেত্রবতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরপর আট মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মে মাসে আবার কাজ শুরু হলে পুরনো সেতু ভেঙে ফেলে যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। বিকল্প বেইলি ব্রিজটিই হয়ে পড়ে উপজেলার জালালাবাদ, বাটরা, কয়লাসহ ছয় ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। বৃহস্পতিবার সকালে বিকল্প সেতুটি পানির চাপে ভেঙে পড়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
কলারোয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বেত্রবতী নদীর উভয় পাশে ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সেতু ভেঙে পূর্ব পাশের ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া পশ্চিম পাশের কলারোয়া উপজেলা সদর ও পৌর সদরসহ ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ডের যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। এসব অঞ্চলের মানুষ সহজে কলারোয়া উপজেলায় আসতে পারছে না।
সেতুগুলো মেরামতের বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাস বলেন, ‘আমরা কাঠের সেতু দুটি ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ নিচ্ছি। দুই-একদিনের মধ্যে সেতু দুটি সংস্কার করা হবে।’
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, বেইলি ব্রিজটি সওজের আওতাধীন। সওজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী তিনদিনের মধ্যে ভেঙে পড়া সেতু তিনটি অপসারণ করা হবে। সেখানে বিকল্প সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়ছে।’