চলতি অর্থবছর পণ্য খাতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে গত বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। একইভাবে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করে সেবা খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
সম্প্রতি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইপিবির পর্ষদ সভায় রফতানির এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, পণ্যের আন্তর্জাতিক চাহিদা, রফতানি ও আমদানি গতিবিধি, সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনা এবং গত অর্থবছরে অর্জিত রফতানি আয় বিবেচনায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্ব এবং সব অংশীজনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রফতানিকারকরা এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যের ভিত্তিতে ইপিবির রফতানিসংক্রান্ত সংকলিত উপাত্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি আয়ের মধ্যে বড় ফারাক দেখা যায়। এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিবিএস এবং ইপিবির কয়েক দফা আলোচনার পর গত দুই বছরের তথ্য সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিহ্নিত সমস্যাগুলো দূর করার পর ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৬ এবং ৪৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
ইপিবি নিজে কোনো প্রাথমিক তথ্য তৈরি করে না। রফতানিসংক্রান্ত সেকেন্ডারি ডাটা এনবিআর থেকে সংগ্রহের পর অংশীজনের ব্যবহার উপযোগী করে তা প্রকাশ করে। —বিজ্ঞপ্তি