ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের এ খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো তথ্য ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে দেয়া যাবে না। ব্যক্তি অনুমতি দিলেও কিছু তথ্য নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই বোর্ড এসব বিষয় দেখাশোনা করবে। উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন, তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা, বিধিবিধান থাকবে। বোর্ড বিধিবিধান তৈরি করবে। সেসব মেনেই সবাইকে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যারা তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করবে তাদের বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে।’
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষাসংক্রান্ত বিষয় ও কার্যাবলির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা ওই বোর্ডের অধীন ন্যস্ত থাকবে। একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যের সমন্বয়ে হবে ‘বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড’। আইনের খসড়ায় আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। আর বিদেশী কোম্পানি আইন না মানলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসার যে টার্নওভার আছে তার ৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে আদায় করা যাবে।’
তথ্যের বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী বিভাগ থাকবে জানিয়ে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া করতে পারবে। বায়োমেট্রিক উপাত্তের মধ্যে ডিএনএর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
বেসরকারি গবেষণায় এ আইন বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেখানে তো কোনো ব্যক্তির তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয় না।’