সংসদে অর্থমন্ত্রী

বিএফআইইউর গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাঁচ বছরে ১২১ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত পাঁচ বছরে ১২১ অর্থপাচারের মামলা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ রোববার (১১ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাসমূহ বিগত ৫ অর্থবছরে (২০১৭-২০২২) ১২১টি মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেছে। একই সময়ে সন্দেহভাজন লেনদেন ২৪ হাজার ৯৭৭টি। আর মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় এক হাজার ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।

অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর বন্ডের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিপরীতে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জাতীয় সংসদে জানান। এসব মামলায় জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মানি লন্ডারিং আইন অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ৬ জুন পর্যন্ত বর্তমানে দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৬ জন।

সরকার কর দাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেনজরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা নাক্তকরণ, এক পাতার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজীকরণ, তাৎক্ষণিক হিসাব নিরূপণ, অনলাইন ই-রিটার্ন দাখিল, আয়কর প্রদান সহজীকরণ, যেমন-অনলাইনে আয়কর প্রদানের জন্য এ চালান, রকেট, নগদ, বিকাশ এবং সোনালি ব্যাংক ই-পেমেন্ট এর মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করাসহ করদাতাদের সম্মাননার ব্যবস্থাও করেছে সরকার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেনি। কাঙ্ক্ষিত হারে আয়কর রিটার্ন না পাওয়ার কারণ হিসাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর অনুবিভাগে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়কর অফিস না থাকা। বিদ্যমান আয়কর আইন এবং ই-টিআইএন নিবন্ধন সিস্টেমে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় করদাতাদের তথ্য পৃথকভাবে সংরক্ষণের সুযোগ নেই বলে প্রকৃত রিটার্ন দাখিল করার যোগ্য করদাতার সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন