চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন হয়নি

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আখতার ইমাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ম্যানেজিং পার্টনার। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিয়ে আইন অঙ্গনে সরব। মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের বিষয়ে জনস্বার্থমূলক মামলা পরিচালনা করে হাইকোর্টের রায় পেয়েছেন, অপ্রয়োজনীয় সি-সেকশন রোধ ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিয়ে জনস্বার্থমূলক মামলাও পরিচালনা করেছেন। দেশে চিকিৎসা অবহেলার প্রতিকার, আইনগত দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ 

নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আইনগত দায়িত্ব সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

আমাদের আন্তর্জাতিক কিছু দায়িত্ব রয়েছে। বেশকিছু মানবাধিকার কনভেনশনে (সম্মেলন) বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেখানে স্বাস্থ্য অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব। এরপর রাষ্ট্রের মধ্যকার বিষয়ে বললে— নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, জীবনধারণের মূল উপকরণের মধ্যে চিকিৎসা একটি। ১৮ অনুচ্ছেদে আবার জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনের বিষয়টিও বলা হয়েছে। নাগরিক হিসেবে ‘রাইট টু হেলথের’ বিষয়ে সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য সুনির্দিষ্ট বা সুস্পষ্টভাবে মৌলিক অধিকারের মর্যাদা হয়তো পায়নি। তবে আমাদের ‘রাইট টু লাইফ’ যে অধিকার অনুচ্ছেদ ৩২তে রয়েছে তাতে সুপ্রিম কোর্ট যে ইন্টারপ্রিটেশন দিয়েছে তাতে রাইট টু লাইফের মধ্যেই রাইট টু হেলথ ধরা আছে। রাইট টু লাইফকে শুধু বেঁচে থাকাকে বলে না। কোয়ালিটি অব লাইফের (জীবনের মান) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কোয়ালিটি অব লাইফ ভালো থাকতে হলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে রাইট টু হেলথ আমাদের মৌলিক অধিকারের মর্যাদা পেয়ে গেছে। সংবিধানে ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে—এমন কিছু করা যাবে না যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ ও সুনাম বা সম্পত্তির কোনোভাবে ক্ষতি হয়। এটা সাংবিধানিক অধিকারে পড়ে। সুনির্দিষ্ট করে স্বাস্থ্য অধিকার একটি মৌলিক অধিকার—এভাবে বলা না থাকলেও আদালতের রায়ের মাধ্যমে এবং অন্যভাবে একটা মৌলিক অধিকারের মর্যাদা পেয়ে গেছে। 

স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসা অবহেলা প্রতিকারে বাংলাদেশে কী কী আইন রয়েছে?

আমাদের দেশে চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। আমার জানা মতে, আইন কমিশনে একটা খসড়া আইন করা হয়েছে। ওই আইনের ওপর তেমন একটা কাজও করা হয়নি বহু বছর ধরে। একদমই কোনো আইন নেই তাও নয়। ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন আইনের মধ্যে চিকিৎসা অবহেলাকে নির্দেশ করে এমন প্রভিশন (ধারা) পাবেন। আপনি যদি কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে চান তাহলে আমাদের পেনাল কোডের (দণ্ডবিধি) বেশকিছু ধারায় চিকিৎসা অবহেলায় ফৌজদারি মামলা করা যাবে। কথা হতে পারে, ক্রিমিনাল মামলা হওয়া মানে শাস্তি দেয়া। কিন্তু ক্ষতি যেটা হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ ক্রিমিনাল মামলার মাধ্যমে পাওয়া যাবে না। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যেসব আইন রয়েছে, যেমন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, এর আলোকে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে। সেবার সংজ্ঞা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা আওতায় রয়েছে। ভোক্তা বলতে মূল্যের বিনিময়ে কোনো সেবা বা পণ্য ক্রয় করা। মূল্যের বিনিময়ে যদি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকি অর্থাৎ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে এ আইনের মধ্যে ফেলতে পারব। তাদের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা থাকলে এ আইনে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এ আইনের ৫২ ও ৫৩ ধারায় বলা হয়েছে, জীবন বিপন্নকারী কিছু করা হলে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আদালতে ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানি মোকদ্দমাও করা যাবে। তবে দুই ক্ষেত্রেই কিছু সমস্যা রয়েছে, তা হলো ফৌজদারি ব্যবস্থার জন্য মামলা ভুক্তভোগী সরাসরি দায়ের করতে পারবে না। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ যাওয়ার পর তিনি ফৌজদারি ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারবেন। আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো—ক্ষতিপূরণ চাইলেও সেখানে অর্থদণ্ডের সীমা দেয়া রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ আইনে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়া আছে। তিনি নিজ উদ্যোগেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় পরিদর্শন করে মানহীনতা বা আইনের কোনো ব্যত্যয় দেখলে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে পারেন। এখানে সরাসরি কিছু করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তিনি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এসব আইনের প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি না। সম্প্রতি রিট মামলা করে হাইকোর্ট থেকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ নেয়া হচ্ছে। এটা ইতিবাচক পরিবর্তন। আমাদের দেশে টর্ট আইন বা মেডিকেল টর্ট একদমই যথাযথ ও কার্যকরী নয়। 

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিকিৎসা অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এমন আইনের বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

চিকিৎসা অবহেলা প্রমাণিত হলে চিকিৎসকের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা বিএমডিসির রয়েছে। চিকিৎসা নৈতিকতার ব্যাখ্যা বিএমডিসি দিয়েছে। পেশাগত অবহেলা ও অসদাচরণ কী কী হবে সে বিষয়ে একটা ধারণা সংস্থাটি দিয়েছে। তবে এ বিধানগুলো ঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। যার মূল কারণ জনসচেতনতার অভাব, অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়ায় সাধারণের অস্পষ্টতা। এসব কারণে অ্যাকসেস টু জাস্টিস (ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার) নেই। ১৯৮২ সালের একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেয়া আছে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। যদি হাসপাতাল আইনের পরিপন্থী কোনো কাজ করে বা নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করে তবে এই অর্ডিন্যান্সের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ক্ষমতার প্রয়োগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তবে প্রায় প্রতিদিন পত্রপত্রিকায় চিকিৎসা অবহেলার ঘটনা দেখা যায়। ২০১৮ সালে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে একটি নীতিমালাকে আইনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নীতিমালা। যতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন না করা হয় ততদিন পর্যন্ত এ নীতিমালাকে আইনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এটার প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি না। 

দেশে মেডিকেল টর্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা কী?

এখানে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। মেডিকেল টর্ট আইন সিভিল লিটিগেশনের (দেওয়ানি মামলা) মাধ্যমে করা হবে। সিভিল লিটিগেশন অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, একপর্যায়ে তা ব্যয়বহুল হয়ে যায়। বিশ্বব্যাংকের একটি র‍্যাংকিং রয়েছে—বাংলাদেশে সিভিল মামলা করে যে কন্ট্রাক্ট ইনফোর্সমেন্ট (চুক্তি প্রয়োগ) করা হয় তাতে গড়ে ১৪শ থেকে ১৫শ দিন লাগে। এটা প্রথম আদালতেই। এরপর তো আরো অনেকগুলো ধাপ আছে, হাইকোর্ট আছেন, আপিল বিভাগ আছেন, এর আগেও জেলা আদালত রয়েছেন। সবার পক্ষে এতদিন ধরে একটা মামলা চালানো সম্ভব হয় না। বেশির ভাগই এসব মামলা হয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। একটা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলা চালু রাখা কঠিন না হলেও কোনো ব্যক্তির জন্য বেশ কঠিন। আর যেকোনো মামলায় প্রমাণ প্রয়োজন হয়। এ প্রমাণ আসবে হাসপাতালের রেকর্ডস থেকে। হাসপাতালগুলোয় রেকর্ড ভালোভাবে করা হয় না। শুধু রেকর্ড রাখলেই হবে না। কেননা যে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হবে তারা তা মুছে ফেলতে পারবে। নিজেদের পক্ষে প্রমাণও তৈরি করতে পারে। প্রয়োজন রিপোর্টিং ব্যবস্থা। রেকর্ডগুলো সপ্তাহ বা মাসিক ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দেয়ার ব্যবস্থা রাখলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে। 

উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা অবহেলা ও অসৎ আচরণের প্রতিকার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে কেমন আইনের চর্চা দেখছেন?

ওইসব দেশে মেডিকেল টর্ট অনেক উন্নত ও কার্যকরী। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আইনগুলো কার্যকরী। এছাড়া ভারতে নিয়মিত কিছু ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে শুধু চিকিৎসা অবহেলার মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। এখানে একটি বিশেষায়িত ব্যবস্থা তৈরি করার বিষয়ও চলে আসে। যেকোনো আদালতে হঠাৎ করে এসব মামলা দিলে সেখানে প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত দক্ষতা-ব্যবস্থা থাকতে হবে। একটি সুনির্দিষ্ট ট্রাইব্যুনাল থাকা উচিত। যেখানে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। 

দেশে যে আইনে চিকিৎসা অবহেলার মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে তা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে কি?

এমন বিষয় আমার চোখে পড়েনি। তবে অপব্যবহারের সুযোগ সবসময়ই থাকবে। তবে যেখানে আইনের ব্যবহারই হচ্ছে না, সেখানে এমন ভাবার অবকাশ নেই। স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা আনার জন্য আইন করা হয়েছে, সেটাই হচ্ছে না। বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেটা পরের প্রশ্ন। যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপব্যবহার আজকাল বেড়ে যাচ্ছে—এমনটি অনেকেই বলছেন। এটা সত্য। আমি নিজেই অনেক মামলা দেখেছি যে এ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। তবে যে সমস্যাকে কেন্দ্র করে এ আইন হয়েছে সেটা অনেক বড় এক সমস্যা। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তা দেখারও সময় আসেনি। 

চিকিৎসাসেবা, স্বাস্থ্যনীতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ দেশে প্রচলিত আইনগুলো কতটা সময়োপযোগী?

১৯৮২ সালের অর্ডিন্যান্স যেটা বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাকে পরিচালনা করে তা একেবারেই সময়োপযোগী নয়। এখানে একটা তালিকা দেয়া আছে—তাতে কোন সেবার জন্য কত ফি নেয়া যাবে। তবে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই এভাবে চার্জ করছে না। হয়তো করাটা সম্ভবও নয়। ’৮২ সালের পর এ অর্ডিন্যান্সকে সংশোধনই করা হয়নি। ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতিসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। জবাবদিহির আওতায় আনতে হলে তেমন ধরনের ধারা সংযোজন করতে হবে। বিধি প্রণয়ন করতে হবে। কেউ কোনো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে—বিএমডিসির আইনে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে তার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে থাকা উচিত। এতে সাধারণ মানুষ অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। এগুলো করা হয়নি। বিস্তারিত বিধিও প্রণয়ন করা হয়নি। বিধি যতদিন পর্যন্ত প্রণয়ন না করা হবে ততদিন কোনো আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। 

স্বাস্থ্যবিষয়ক অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য কোনো কমিশনের প্রয়োজন রয়েছে কী? সেক্ষেত্রে তার ধরন কী হতে পারে?

স্বাস্থ্য খাতের যে অবস্থা সেখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই। চিকিৎসা অবহেলা বেড়ে যাচ্ছে। সেখানে একটি কমিশন অত্যন্ত প্রয়োজন। ভোক্তা অধিকার আইনে ন্যাশনাল কনজিউমার রাইট প্রটেকশন কাউন্সিল বলে একটা বডি গঠন করার কথা। এ কাঠামো আপাতত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে। সব ধরনের ভোক্তার ক্ষেত্রে এই কাউন্সিল কাজ করবে। যারা স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে তারাও ভোক্তা। আমার জানা মতে, এই বডিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ বসেন না। নতুন একটি কমিশন কাঠামো করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। ততদিন পর্যন্ত ভোক্তার ওই কাউন্সিলে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট কাউকে অন্তর্ভুক্ত করলে তারা তদারকি করতে পারে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন