পর্যালোচনা

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ: চীন পারলে বাংলাদেশ পারছে না কেন?

ড. সৈয়দ আবুল বাশার

অন্যের চোখ দিয়ে সমস্যা উপলব্ধি করা একটি গভীর সহানুভূতির কাজ। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) লোকজনের অবস্থা জানতে রাতে ছদ্মবেশে বের হতেন। যতটা মনে পড়ে, এক রাতে একা ভ্রমণে বের হয়ে হজরত ওমর (রা.) দেখতে পেলেন একজন মা তার ক্ষুধার্ত শিশুদের সান্ত্বনা দেয়ার জন্য হাঁড়িতে পানি ফুটাচ্ছে। ক্ষুধার্ত শিশুগুলো অপেক্ষারত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ল। এ দৃশ্য দেখে হজরত ওমর (রা.) কিছু খাবার দিয়ে অসহায় মহিলাকে সাহায্য করলেন এবং এ রকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটারও ব্যবস্থা করলেন।

হজরত ওমরের (রা.) এ রাতের ভ্রমণে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দর্শন করার অভ্যাস না থাকলে হয়তো অনেক শাসক অনুপ্রাণিত হতেন না। গজনির মুসলিম শাসক মাহমুদ, অটোমান সুলতান সুলেইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং সম্রাট বাবর তাদের প্রজাদের প্রয়োজনগুলো আরো ভালোভাবে উপলব্ধির জন্য ছদ্মবেশে ঘোরাঘুরি করতেন। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে তাদের ছদ্মবেশে সফরের উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে বোঝানো যে নেতারা তাদের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। 

ছদ্মবেশে অথবা আগাম কাউকে কিছু না জানিয়ে যখন কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা তার কর্তৃত্বের অধীনের জায়গা পরিদর্শন করে এবং তৎক্ষণাৎ কোনো অনিয়মের যথাযথ ব্যবস্থা করে তার সুফল অনেকগুলো। প্রথম সুফলটা হলো—এ কাজের কোনো খরচ নেই, যেহেতু কোনো মিটিং বা খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন নেই। দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় সুফলটা হলো, যখন স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোররা দেখবে বা পড়বে যে প্রশাসনের হর্তা-কর্তারা এ রকম অঘোষিত সফরের মাধ্যমে নিজের দেশে সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন ভবিষ্যতে তারাও উদ্দীপ্ত হবে। কথাগুলো গল্পের মতো শোনালেও একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। আমাদের অনেকের জীবনেই আমরা কিছু অসাধারণ ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য পেয়েছি যা আমাদের পেশাগত জীবনকে প্রভাবিত করেছে। যেমনটি আমার নিজ পেশার পেছনে আছেন কিছু অসাধারণ শিক্ষক আর গবেষক। আমি নিজেও আগামী প্রজন্মের ভালো শিক্ষক আর গবেষক তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ রকম এলোপাতাড়ি পরিদর্শনের তৃতীয় বাড়তি সুফলটা হলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি আরো অন্য অনিয়ম বা সুযোগ চোখে পড়তে পারে যার জন্য কেউ প্রস্তুত থাকে না। ব্যাপারটা অনেকটা ডিকশনারিতে একটা অজানা শব্দ খোঁজার মতো। একটা নতুন শব্দ খুঁজতে গিয়ে আরো কিছু নতুন শব্দের পরিচিত হওয়া। অনেক সময়ই এক কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে অনভিপ্রেতভাবে আমরা অন্য নতুন কিছুর সম্মুখীন হই যা আমাদের ভাবিয়ে তোলে।

কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনিক হর্তাকর্তার সময় কই! যখনি তারা কোনো পরিদর্শনে যান তা আগের থেকে পরিকল্পিত এবং তাদের চারপাশে এত সহচরী থাকে যে আসল সমস্যার মূলে যাওয়া হয়ে ওঠে না কারণ অনেক তথ্য বাদ পড়ে যায়। কী দারুণ হতো যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয় ছদ্মবেশে একজন সাধারণ মানুষের সহচরী হয়ে দেখতেন যে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধন কতটা যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরক্তিকর। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু তার ‘‌দ্য আর্ট অব পলিসি মেকিং ইন ইন্ডিয়া’ বইয়ে বর্ণনা করছেন যে তিনি যখন ইন্ডিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কার্যরত অবস্থায় ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের দরকার পড়ল তখন তার সহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে খুব অনায়াসে কাজটা সম্পন্ন করে ফেললেন। একই সহজ পন্থায় সে তার বছরের ট্যাক্স রিটার্ন, পাসপোর্ট নবায়ন এবং অন্য সরকারি কাজগুলো করে ফেলেন। কৌশিক বসুর মতে, ইন্ডিয়ার শীর্ষ আমলা এবং সমাজের কিছু উচ্চক্ষমতাবান মানুষের জন্য, দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে, সরকারি সেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকটা সিঙ্গাপুরে থাকার মতো মনে হবে। ফোন তুললেই কাজ শেষ। বছরের পর বছর এ রকম বিশেষ সুবিধায় অভ্যস্ত হয়ে পড়লে এ বৃত্তের বাইরে থাকতে কেমন লাগে তার স্মৃতি ক্ষীণ হয়ে যায়। এ সুবিধাভোগীদের জন্য বাইরের জীবন কেমন তা উপলব্ধি করা মনস্তাত্ত্বিকভাবে খুব কঠিন।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ সেলিম রশিদের অনেকদিন আগের একটি লেখার কথা মনে পড়ে যায়। তার লেখায় ছিল, যখন একটা দেশে শীর্ষ সরকারি আমলারা তাদের ভবিষ্যৎ দেখেন না—যেমন অবসর গ্রহণের পর বিদেশে বসবাস করা বা তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের সন্তানরা বিদেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে—তখন সেই দেশের সেবার মান উন্নতির আগ্রহ কম। শিক্ষা খাতের কথাই ধরা যাক। কয়জন মন্ত্রী এবং শীর্ষ আমলার সন্তানরা দেশে পড়াশোনা করে যে দেশের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে তাদের মাথাব্যথা আছে। দিনের শেষে তাদের সন্তানরা যদি দেশের শিক্ষার ভালো-খারাপের চিত্র তুলে না ধরে তাহলে তাদের মন্ত্রী বাবা-মায়েদের অনুভূতি আর কতটা কার্যকর? আপনার সন্তান মানসিক সমস্যায় ভুগলে অনেকেই সহানুভূতি দেখাবে, কিন্তু আপনার কষ্ট কেউ শেয়ার করবে না। ঠিক তেমনি আপনার সন্তানের সেশন জট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি, মানসম্পন্ন শ্রেণীকক্ষ অথবা গ্রন্থাগারের অপর্যাপ্ততা এবং যোগ্য শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি এ সমস্যাগুলো আমাদের বিধানকর্তা বা আইনপ্রণেতাদের ভাবাবে ঠিকই কিন্তু ভোগাবে না। এ-সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর মধ্যে মেধা পাচারের প্রবণতা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। শীর্ষ আমলা, সামরিক বাহিনী, আইনপ্রণেতা এবং ব্যবসায়ী সন্তানদের মেধা পাচারের প্রভাব দেশের ওপর অন্য জনসাধারণের চেয়ে অপরিসীম। 

২০০৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে আমেরিকায় আইনপ্রণেতাদের কন্যারা তাদের বাবা-মাকে নারীদের সমস্যাকে প্রভাবিত করে—এমন বিলগুলোয় উদারভাবে ভোট দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। আমেরিকায় মহিলা কংগ্রেস সদস্য এমনিতেই কম, তাই এ গবেষণার ফলাফলের একটি বিশেষ দিক হলো, পুরুষ আইনপ্রণেতাদের কন্যারাও তাদের বাবাদের এ বিলগুলোয় উদারভাবে ভোট দিতে প্রভাবিত করে। ঠিক একইভাবে ফ্লোরিডা রাজ্যের প্রতিনিধি ডেবি ওয়াসারম্যান শুল্টজ গর্ভাবস্থায় একটি খাদ্য-লেবেলিং বিল উত্থাপন করে। যার সারমর্ম হলো মাছের মধ্যে পারদের বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা যা কিনা শিশুদের এবং বিকাশমান ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। শুল্টজের এই বিলটা পাস করার জন্য রিপাবলিকান প্রতিনিধি এডাম পুটনাম তার দলের বিপরীতে গিয়ে ভোট দেন। কারণ তখন পুটনামের স্ত্রীও গর্ভবতী ছিলেন এবং এ খাদ্য-লেবেলিং বিলের উপকারিতা নিজের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এ বাস্তব উদাহরণগুলোর পেছনের চাবিকাঠি, যেটা ইংরেজিতে বলে ‘‌স্কিন ইন দ্য গেম’, যার মর্ম দাঁড়াল কোনো ইস্যুর লাভ এবং ক্ষতি দুটোই আপনাকে প্রভাবিত করবে। যেমন আমরা সবাই আমাদের সন্তানের কল্যাণ চাই। কারণ তাদের ভালো বা খারাপ দুই পরিণতিই আমাদের প্রভাবান্বিত করে। এ কারণেই যারা দেশ পরিচালনা করে তাদের সন্তানরা যদি দেশের উচ্চশিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভরশীল না হয় তাহলে এসব সেবা খাতের গুণমান বজায় রাখা এক দুরূহ ব্যাপার। 

তবে একটা বিভ্রান্তিকর ব্যাপার হলো বাংলাদেশের, বিশেষ করে ঢাকার বাতাস, যেখানে কিনা ধনী-গরিব নির্বিশেষে আমরা সবাই শ্বাস নিচ্ছি। এখানে সবার ‘স্কিন ইন দ্য গেম’ থাকার পরও আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সেবার মতো নির্মল বাতাস তো আর আউটসোর্স করা যায় না, তার পরও প্রভাবশালী মানুষ কেন বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না। অর্থনীতির অনেক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে বায়ুদূষণের সংস্পর্শে শিশুস্বাস্থ্য, জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা, শ্রম সরবরাহ এবং উৎপাদনশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু এর পরও বায়ুদূষণ মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। 

এর একটা কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে বায়ুদূষণের পলিটিক্যাল কস্ট (রাজনৈতিক ক্ষতি) তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তাই সরকার ও প্রভাবশালীদের গরজও কম। বায়ুদূষণের ইস্যুটা, অন্য দূষণের পাশাপাশি, এখনো আমাদের নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কার সৃষ্টি করে না। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে ২০১৯ নির্বাচনের আগে একটা জরিপে পাওয়া গেছে যে ভোটাররা বায়ুর গুণমানকে ১৭তম স্থান দিয়েছে সবচেয়ে জরুরি উদ্বেগ হিসেবে। আর কোটি বাঙালির কাছে নির্মল সুবাতাস এখনো অনেকটা বিলাসিতার মতো, কেননা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন এখনো বহু মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারেনি। অপুষ্টি, অশিক্ষা এবং সংকীর্ণ ব্যয় ক্ষমতা আজও দারিদ্র্যের ফাঁদ বুনে চলেছে। আর কল-কারখানা, নির্মাণ শিল্প এবং বাস-ট্রাক-গাড়ি যা কিনা বায়ুদূষণের মূল কারণ। এ খাতগুলো সমাজের তথাকথিত উচ্চশ্রেণীর মাঝেই সীমাবদ্ধ। তাই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এ গোষ্ঠীর জন্য অনেকটা স্বার্থ সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর নির্মাণ শ্রমিক, ট্রাফিক পুলিশ এবং জনসাধারণ যারা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষভাবে বায়ুদূষণের শিকার হয়, ধনী-প্রভাবশালী গোষ্ঠীরা সহজেই তাদের চারপাশের পরিবেশ—গ্লাসের দরজা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, বায়ু পরিশোধক যন্ত্র ইত্যাদির মাধ্যমে আরামদায়ক করতে পারে। কারখানা, আবর্জনা বা মোটরযান থেকে নির্গত কুবাতাস তাদের উপলব্ধি করার ক্ষমতা, রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। 

পরিশেষে, চীন আর ভারতের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের ভেদাভেদ থেকে আমাদের কিছু শেখার আছে। ১০ বছর আগে চীন আর ভারতের রাজধানী পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা আকাশের মধ্যে অন্যতম ছিল। ২০১৩ সালে চীন একটি নতুন বায়ুদূষণ বিল করে। কিন্তু বিল পাসের থেকেও বড় কথা হলো, এ বিলের বাস্তবায়ন চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিনভাবে পালন করা হয়েছে, কয়েক বছর পরে যাতে কিনা পশ্চিমা গবেষকরাও করতালি দিয়েছেন। এ নতুন বিলের অংশ হিসেবে চীন দুই কোটি পুরনো যানবাহন বাতিল করে, দুই লাখ শিল্প বয়লার আপগ্রেড করে, কারখানার শিল্প নির্গমনের মানকে কঠোর করে, পুরনো কারখানাগুলোকে পর্যায়ক্রমে আপগ্রেড করে এবং ছয় কোটি পরিবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়লা থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিবর্তন করে। ফলে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চীনের বায়ুমণ্ডলে পিএম ২ দশমিক ৫ নামে পরিচিত বিপজ্জনক সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। যদিও চীনের বিশেষ করে বেইজিংয়ের দূষণমাত্রা এখনো ভয়াবহ, কিন্তু চীনের আগে থেকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেও দিল্লির আকাশ আগের থেকে আরো বেশি নোংরা হয়েছে। এর কিছুটা প্রত্যাশিত কারণ হলো চীনের তুলনায় ভারত অনেক কম ধনী। ২০১৩ সালে বেইজিং ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়েছে, যা দিল্লি সরকারের জন্য একটি অসাধ্য প্রকল্প। কিন্তু দ্বিতীয় কারণটা থেকে ভাবার কিছু আছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান হলো রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা, যা চীনের একদলীয় ব্যবস্থার কারণে অনেকটা সম্ভব হয়েছে। সে তুলনায় ভারতে মোদি আর কেজরিওয়াল সরকারের মধ্যে তিরস্কার আর টিপ্পনির জন্য কাজ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।

২০১০ সাল থেকে বর্তমান সরকারের একটানা এবং অনেকটা একদলীয় শাসনের জন্য ভালো প্রকল্প যেমন আশ্রয়ণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ জন্মের শুরুর দশকে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, যা কিনা অর্থের স্বল্পতার জন্য আটকে থাকেনি, সরকার এবং সুশীল সমাজের দৃঢ় সংকল্প যথেষ্ট ছিল। আশা করি সরকার একই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা বায়ুদূষণ এবং মানুষের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হয় এ কাজে কঠোর অবস্থান নেবে।


ড. সৈয়দ আবুল বাশার: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন