ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করে চার বছর পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসাবে ইংল্যান্ডেই গবেষণা করি। এর আগে স্নাতক সম্পন্ন করি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১১ সালে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে হিউম্যান ভ্যাকসিন গবেষণা শুরু করি। আমার গবেষণা দল নতুন নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের তৈরি মেনিঞ্জোকক্কাল ভ্যাকসিন, রিকম্বিন্যান্ট হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন, ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন, জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন—এ চারটি ভ্যাকসিন সফল ট্রায়াল সম্পন্ন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে আরো বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন রিসার্চ পাইপলাইনে রয়েছে।
আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কেবল শিক্ষকদের কাছেই শিখিনি বরং সহপাঠী এমনকি সিনিয়র জুনিয়রদের কাছ থেকেও শিখতে চেষ্টা করেছি। আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনি একটি খালি পাত্র, নিজেকে যত বেশি খালি ভাবতে পারবেন আপনার পাত্র তত বড় হবে আর আপনার ধারণক্ষমতা তত বেশি হবে। একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় ক্রিটিক্যাল রিজোনিং করতে পারার সক্ষমতা। আমরা যখন নতুন কিছু জানি বা শিখি তখন সেটার মূল বা গোড়া থেকে বোঝার চেষ্টা করা, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পর্যবেক্ষণ করে নিজের ভেতরে নিজের মতো একটা ছাঁচ তৈরি করা।
ড. মোহাম্মদ মইনুল আহসান
প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি.