আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর

সিএসইর কৌশলগত মালিকানায় বসুন্ধরা গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এক-চতুর্থাংশ শেয়ার কেনার মধ্য দিয়ে কৌশলগত মালিকানায় এসেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কনগ্লোমারেট বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড সিএসইর মধ্যে -সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সিএসইর অংশীদার হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো বসুন্ধরা গ্রুপের। 

কৌশলগত অংশীদার (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে এবিজি লিমিটেডের পক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সিএসইর পক্ষে এক্সচেঞ্জটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিএসইর সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশের অর্থনীতির একজন কিংবদন্তি উদ্যোক্তা। তিনি যে জায়গায় হাত দিয়েছেন, সেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করে পরে তা অন্যরা অনুসরণ করে। সিএসইর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টিও তারা চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও বসুন্ধরা সফল হয়ে প্রমাণ করবে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, দেশের উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেয়। সিএসইর সঙ্গে যুক্ত হওয়া তেমনই এক দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। নতুন উদ্যোগ নিয়ে এবিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে আলাপ করেছি যে তোমার পরিকল্পনা কী। তার উত্তর, আমরা সবকিছু ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আনব। এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, খাতুনগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী ট্রেডিং ব্যবসা সিএসই প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। কিন্তু তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। তবে দীর্ঘদিন পরে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মধ্য দিয়ে সেটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান অর্থনীতিকে মুদ্রাবাজার পুঁজিবাজার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও বিভিন্ন সময় দেশের অর্থনীতিকে নতুন নতুন পণ্য কৌশল দিয়ে প্রবৃদ্ধি ঠিকই ধরে রেখেছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বসুন্ধরা একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছে। তারা সিএসইর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে। একটি দেশপ্রেমী গ্রুপের পক্ষেই সম্ভব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম তার বক্তব্যে সায়েম সোবহান আনভীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দিনটি অত্যন্ত গৌরবের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন