ভিডিও এডিটিংয়ের কাজকে আরো সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) প্লাটফর্ম প্রজেক্ট ব্লিংক চালু করেছে অ্যাডোবি। এটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দ, বস্তু, এমনকি মানুষের অভিব্যক্তিকেও চিহ্নিত করতে পারবে। এআইটি কার্যত ভিডিও এডিটরের হাতে একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং ইন্টারফেস দিচ্ছে বলে প্রকাশিত খবরে জানিয়েছে সিনেট।
বিবৃতিতে অ্যাডোবি জানায়, যেহেতু আমাদের প্রযুক্তি ভিডিওর কনটেন্টকে টেক্সটনির্ভর সার্চযোগ্য ট্রান্সক্রিপ্টে পরিণত করে, তাই এটি ভিডিও এডিটরদের টেক্সট ডকুমেন্ট এডিট করার মতো একই প্রক্রিয়ায় ভিডিও এডিট করতে দেবে।
সম্প্রতি ফটোগ্রাফার, ভিডিও এডিটর ও ইলাস্ট্রেটরসহ সৃজনশীল পেশাজীবীদের বার্ষিক আয়োজন ম্যাক্স সম্মেলনের স্নিক্স সেশনে প্রোজেক্ট ব্লিংক দেখিয়েছে অ্যাডোবি। ক্লাউড প্লাটফর্মটির কার্যক্ষমতা যাচাই করার জন্য ভিডিও আপলোড করতে হবে আগ্রহী ব্যবহারকারীকেই।
ব্লিংক ভিডিও প্রসেস করার পর ব্যবহারকারী চাইলেই নির্দিষ্ট একটি শব্দ লিখে ভিডিওর যে অংশে শব্দটি উচ্চারণ করা হয়েছিল সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বক্তাকে চিহ্নিত করতে পারবে এআই। অবাঞ্ছিত শব্দ বাদ দিতে চাইলে ট্রান্সস্ক্রিপ্ট থেকে শব্দ ডিলিট করে দিলে সে অনুযায়ী ভিডিও এডিট করে দেবে ব্লিংক। ব্লিংকে হ্যাপি বা লাফিং শব্দগুলো লিখেও সার্চ করার সুযোগ পাবেন এডিটর। এর মাধ্যমে আবেগের ভিত্তিতে ভিডিও থেকে নির্দিষ্ট মানুষকে বা নাম ধরে নির্দিষ্ট বস্তু খুঁজে বের করতে পারবেন ব্যবহারকারী।
মূল বক্তাকে চিহ্নিত করার পর এডিটর চাইলে ট্রান্সস্ক্রিপ্ট দেখে কথার মাঝের ফাঁকা অংশগুলোকেও মুছে দিতে পারবেন। সিনেট বলছে, কম্পিউটিং খাতে এআইয়ের সক্ষমতা ও প্রাসঙ্গিকতা যে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তার প্রমাণ ব্লিংক এআই।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এআই প্রযুক্তির অগ্রগতি হয়েছে লক্ষণীয় হারে। বাস্তব পৃথিবীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে শেখে এআইগুলো; তথ্য-উপাত্ত থেকে নির্দিষ্ট কাঠামো চিহ্নিত করতে পারে; সিদ্ধান্ত নিতে পারে নিজেই।
সিনেট জানিয়েছে, লাইটরুম ও ফটোশপের সক্ষমতা বাড়াতেও এআই ব্যবহার করছে অ্যাডোবি। ম্যাক্স আয়োজনে লাইটরুমের এআই সমর্থিত নতুন একটি সংস্করণ দেখিয়েছে অ্যাডোবি, যা মানুষের মুখ, চোখ ও চুলও চিহ্নিত করতে পারে।