আলোকপাত

অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দার বোঝা ব্যাংকের ঘাড়ে চাপবে কি

ড. আর এম দেবনাথ

ঝড়-ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, আর্থিক মন্দা, মূল্যস্ফীতি, হরতাল-ধর্মঘট ইত্যাদির খবর শুনলেই আমার প্রথম মনে পড়ে ব্যাংকের কথা। কেন? কারণ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সবকিছুর চূড়ান্ত বোঝা বহন করে শেষ পর্যন্ত বেচারা ব্যাংক ব্যাংকাররা। এটা হচ্ছে কারণ ব্যাংকের অর্থায়ন নেই এমন কোনো খাত এখন নেই। এই যেমন দুই-আড়াই বছরের পুরনো কভিড অতিমারী। চীন থেকে আসা অতিমারী সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণই শুধু হয়নি, ব্যবসা আর্থিক খাতকেও করে দিয়েছে লণ্ডভণ্ড। সামাজিক-রাজনৈতিক জীবন চাকরি-বাকরির ধরনসহ সবকিছুই আজ লণ্ডভণ্ড। আর্থিক খাতে দেখা যায় বাজার অর্থনীতির (মার্কেট ইকোনমি) নিয়মকানুন পরিত্যক্ত। সুদের হার ওই আগের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। তাও নির্ধারিত হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সভায়। বহু আদরে প্রবর্তিত ক্ল্যাসিফিকেশন পলিসি (শ্রেণীবিন্যাসকরণ নীতি), প্রভিশন পলিসি (সংরক্ষণ নীতিমালা), রিশিডিউলিং অব লোন (ঋণের পুনঃতফসিলীকরণ নীতি), সুদে ভর্তুকি নীতি থেকে শুরু করে নানা কেন্দ্রীয় ব্যাংকীয় নীতিমালা আজ আস্তাকুঁড়ে বিসর্জিত। ব্যবসা ব্যবসায়ীর যত লোকসান, ক্ষয়ক্ষতির বোঝা আজ সব ব্যাংকের ঘাড়ে। ব্যাংকের ঘাড়ে মানে কী? ব্যাংকের মালিক তো আজ আর সরকার নয়। ৮০ শতাংশই ব্যাংক ব্যবসা বেসরকারি। সরকারি হোক, বেসরকারি হোক আমানতের টাকা সব সাধারণ মানুষের। তাই ব্যাংকের ঘাড়ে বোঝা মানে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা, তাদের ক্ষতি, তাদের সুদ কম। এসবই ব্যবসা ব্যবসায়ীকে বাঁচানোর জন্য। অথচ ব্যবসার নীতিতেই লাভও ব্যবসায়ীর, ক্ষতিও ব্যবসায়ীর। কথা বলেই আমরা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ছেড়ে বাজার অর্থনীতিতে পা দিয়েছিলাম। আজ দেখা যাচ্ছে লাভ ব্যবসায়ীর, ক্ষতি জনসাধারণের। এটা হচ্ছে বেশি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটলেই। সাধারণভাবে তো হয়ই, অস্বাভাবিক ঘটনা হলে হয় বেশি করে। যেমন এতক্ষণ বললাম কভিড অতিমারী উদ্ভূত লোকসানের কথা। সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি অঞ্চলে হচ্ছে বন্যা। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংককৃষিঋণ আদায় অনিশ্চিত। ধান-চালের ব্যবসা বিঘ্নিত। ক্ষতি ব্যাংকের, লাভ আড়তদারদের। যেমন পদ্মা সেতু, স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কত বড় উপকার হবে পদ্মা সেতুর কারণে, তার কোনো হিসাব নেই। পুরো দক্ষিণবঙ্গ, খুলনা-যশোর, এমনকি সীমান্ত ছাড়িয়ে কলকাতা পর্যন্ত সুবিধা বিস্তৃত হবে। এতেও পরোক্ষ ক্ষতি আছে ব্যাংকের। দেখাই যাচ্ছে লঞ্চ-স্টিমারের ব্যবসায় মন্দা নেমেছে নামবে। লাভবান হবে সড়কপথের যানবাহন। ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে লঞ্চ-স্টিমার ব্যবসার। এর বোঝা কার ঘাড়ে পড়বে? লঞ্চ-স্টিমারের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে এসবের মালিকরা ব্যাংকের লোনের টাকা কোথা থেকে দেবেন? ব্যক্তি খাত লোকসান হলে ব্যবসায়ীদেরই লোনের টাকা পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু ব্যাংকের টাকাকে তা পরিশোধ করে? গত নির্বাচনের আগে দেশব্যাপী তাণ্ডব চলে। বাস পোড়ানো, দোকান পোড়ানো, দিনের পর দিন কর্মবিরতি, রেলগাড়ি পোড়ানো, স্কুল পোড়ানোকী হয়নি? গাড়ি-ঘোড়া চলেনি, বাস-ট্রাক চলেনি। মানুষের চলাচল বিঘ্নিত। ফলাফল পরিবহন ব্যবসায় ধস। বাস-ট্রাকের ব্যবসা নেই। পর্যটন ব্যবসা, হোটেল-মোটেল ব্যবসায় মন্দা। পর্যটক নেই। এসবের বোঝা কার ঘাড়ে? এসব খাতে যেসব ব্যাংক ঋণ দিয়েছে তাদের টাকার কী হবে? বোঝাই যায় ঋণের পরিণতি কী? এসবের আগে হয়েছে জাহাজের ব্যবসা। মিডিয়া বলতে শুরু করল আমাদের জাহাজ নির্মাণের ব্যবসা হবে খুবই বড় রফতানি খাত। ব্যাংক লাভের আশায় অর্থায়ন করল জাহাজ নির্মাণে। ১০-১৫ বছর আগের অর্থনৈতিক মন্দায় জাহাজ ব্যবসা লাটে উঠল। ব্যাংকের লোনের টাকার কী হবে? আজও তা অনাদায়ী, পুনঃতফসিলকৃত নয় কি? এভাবে বিচার করলে দেখা যাবে ব্যাংক সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য নয়। ব্যাংক ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের লোকসানের টাকা পুষিয়ে দেয়ার জন্য। বড়লোককে আরো বড়লোক করার জন্য। ব্যাংক গরিব মানুষ, ছোট উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা, পেশাজীবী উদ্যোক্তা, উত্তরাঞ্চলের উদ্যোক্তা, অনুন্নত অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের জন্য নয়। সরকারি নীতিতেই ব্যাংক ব্যবসায়ীদের স্বল্পমূল্যে ঋণ দেয়ার জন্য। সুদ মওকুফ করা, ঋণ পুনঃতফসিল করা, ঋণ পরিশোধের সময় বর্ধিত করা, সুদে ভর্তুকি দেয়া, নানা ধরনের চার্জ থেকে তাদের মুক্তি দেয়ার জন্য এখন মনে হয় ব্যাংকের সেবা। ধরনের সেবার কোনো শেষ অচিরেই হবে বলে আশা করা যায় না।

১০-১৫ বছর আগের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, নির্বাচনপূর্ব তাণ্ডব, করোনা-১৯ অতিমারীর সংকট, বন্যা দিয়েই কি শেষ? না, তা হওয়ার নয়। এখন শুরু হয়েছে আরেক বৈশ্বিক সংকটইউক্রেনের যুদ্ধ। দৃশ্যত মনে হয় যুদ্ধটা ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা কোল্ড ওয়ারে পরিণত হয়েছে। রাশিয়াকে শাস্তি দেয়ার জন্য বাইডেনের আমেরিকা ইউরোপসহ উন্নত সব দেশ এক হয়েছে। আমেরিকা বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের স্যাঙ্কশন দিচ্ছে। আমদানি রফতানি বিঘ্নিত। আন্তর্জাতিক লেনদেন করার ব্যবস্থায় বাধা। ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত। শিপিং চার্জ তুঙ্গে। আমদানি-রফতানির জন্য জাহাজ পাওয়া যায় না। ব্যাংক-বীমার সেবা পাওয়া যায় না। চাল, গম, তেল, গ্যাস ইত্যাদির চরম সংকট। ইউক্রেন   রাশিয়া গম তেল সরবরাহের উৎসস্থল। সেখান থেকে তেল, গ্যাস, গম রফতানি বিঘ্নিত; অনিশ্চিত। আন্তর্জাতিক বাজারে দেখা দিয়েছে অচিন্তনীয় সরবরাহ সংকট। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী। আমাদেরই মূল্যস্ফীতি ছিল বহুদিন শতাংশের নিচে। তা এখন শতাংশের কাছাকাছি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি। দেশে দেশে গরিব হচ্ছে অতিদরিদ্র মানুষ। অগণিত মানুষ চলে যাচ্ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে। বিশ্ব ব্যস্ত ছিল কভিডের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সংগ্রামে। আমাদেরও তা-ই। আমরাও কভিডের আঘাত মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছিলাম। মুহূর্তে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আবার সব তছনছ করে দিতে উদ্যত। এরই মধ্যে এর নানা লক্ষণ দৃশ্যমান। প্রথমেই গ্যাস বিদ্যুৎ সংকট। সংকটের সঙ্গেই সৃষ্টি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ভর্তুকি সমস্যা, রাজস্ব সমস্যা, লোডশেডিং সমস্যা। যে আশার আলো আমরা দেখতে শুরু করেছিলাম তাতে ছেদ পড়ছে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা এরই মধ্যে নানা সংকেত দিচ্ছেন। বস্ত্র ব্যবসায়ী, বস্ত্র খাতের শিল্পপতি, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারা গ্যাস পাচ্ছেন না, বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাজার টালমাটাল। তার ওপর গ্যাস-বিদ্যুতের অভাব ব্যবসাকে অনিশ্চিত করে তুলছে। এখন প্রশ্ন অনিশ্চয়তায় গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ ঘাটতিজনিত লোকসান ক্ষতির শেষ কোথায়? শেষ কোথায় তা তাদের কথায়ই পরিষ্কার। তারা বলছেন ব্যাংকের লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছেন। অনেকেই ডিফল্টার বা ঋণখেলাপি হচ্ছেন। বিশেষ বিশেষ সুবিধা না দিলে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারবেন না। এর অর্থ কী? কভিডকালীন সুবিধা প্রসারিত করা। আর এর বোঝা? অবশ্যম্ভাবীভাবেই বোঝাও বহন করতে হবে ব্যাংককে। মজা হচ্ছে এসব লোন বা ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে, সুদ মওকুফ করতে হবে, ডাউন পেমেন্ট কমাতে হবে, পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে হবে, সুদ ভর্তুকি দিতে হবে ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা আবার ঋণ নতুনভাবে দিতে হবে এবং আদায়ও করতে হবে। আদায়ের জন্য তাগাদা আসবে। চিঠি আসবে, শাস্তির ব্যবস্থা হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক ডেকে শাসানি দেবে। অর্থ মন্ত্রণালয় কঠোর হুঁশিয়ারি দেবে। ফার্স্ট ক্লাস বিষয় নয় কি? ব্যবসার ক্ষতির বোঝাও বহন করতে হবে, সরকারের কথামতো ঋণও দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কথার কোনো মূল্য রাখা হবে না। আবার ঋণের টাকা আদায়ও করে দিতে হবেকী ঋণ? যে ঋণ দেয়া হয়েছে সরকারের নির্দেশে, ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে নয়। বড় মজার বিষয় নয় কি? দেশে ব্যক্তিগত ঋণের টাকা কেউ ফেরত দিতে চায় না। ওই ঋণের টাকা আদায়ে ঋণদাতা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। অথচ ব্যাংককে একই সমাজে ঋণও দিতে হবে, সরকারের হুকুমমতো ঋণও দিতে হবে, আবার আদায়ও করে দিতে হবে। বাজার অর্থনীতির অপার মহিমা নয় কী?

কী মনে হয়? অবস্থাদৃষ্টে কি মনে হয় আগামী দু-এক বছরের মধ্যে ব্যাংকগুলোর ঘাড় থেকে লোকসানের বোঝা লাঘব হবে? ফিরে আসবে কি আর্থিক শৃঙ্খলাঋণ বিতরণ ঋণ আদায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। কথা বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি আবেদন/আহ্বান থেকে। আহ্বান তিনি জানিয়েছেন জুলাইয়ের তারিখে প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধনকালে। তিনি বলেছেন, সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু রাখা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে গেছে। সমস্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে কী হারে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে তার একটি হিসাব দিন। মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভর্তুকির পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। এটা কমাতে হলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হবে নতুবা ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট হবে। এসব ভেবে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে চায়। গ্যাসের সরবরাহ নেই যেহেতু তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে হলে লোডশেডিং করতে হবে। তিনি এটা পরিকল্পিতভাবে করার জন্য বলেছেন। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে সরকার বিদ্যুতের অপচয় রোধে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, বকেয়া আদায়, জ্বালানি সাশ্রয়, আলোকসজ্জা বন্ধকরণ, বিয়ে ইত্যাদি অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আগে বন্ধকরণ, এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার হ্রাস করা, দোকানপাট ৮টার মধ্যে বন্ধ করা, এমনকি অফিসের সময়সূচি হ্রাস এবং বাড়িতে বসে অফিস করার চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে। এসব করা হচ্ছে দাম না বাড়িয়ে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য। এসব পদক্ষেপের সঙ্গে স্পষ্টতই সম্পর্কিত ভর্তুকি, রাজস্ব আদায় সংকট, মূল্যস্ফীতি, গ্যাস সরবরাহ শিল্প উৎপাদন, রয়েছে ডলার সংকটও। ডলার সংকট নিরসনে সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। বিলাসদ্রব্য আমদানিতে ঋণপত্রের মার্জিন শতভাগ করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থায়ন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। সরকার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যুদ্ধ বা বিশ্বমন্দা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এর বোঝা অবশ্যম্ভাবীভাবে পড়বে ব্যাংকের ঘাড়ে। এটা বড়ই দুশ্চিন্তার বিষয়। রাজস্ব বাড়াতে পারলে কিছু সমাধান হতো। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় রাজস্ব কোনোভাবেই বাড়ছে না।

 

. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন