এনু-রূপনের ১২১ ফ্ল্যাটসহ বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ, মানি লন্ডারিং মামলা সিআইডির

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতা (বহিস্কৃত) এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার নামে ১২১টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। ব্যাংকে পাওয়া গেছে ১৯ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকার বাইরে দুই ভাইয়ের আরো ছয়টি জমির সন্ধান পেয়ে পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি অর্থ পাচারেরও তথ্য প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাতে বংশাল থানায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিসানুল হক জানান, অনুসন্ধানে ক্যাসিনো কারবারি এনু ও রুপনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এর আগে সিআইডি জানায়, ক্যাসিনো ব্যবসা শুরুর পর সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। তাদের ৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থিতিশীল টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি টাকা হলেও গত পাঁচ বছরে লেনদেন করেছেন ২০০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ২০টি বাড়ি, ১২১টি ফ্ল্যাট, জমিসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক এই দুই ভাই।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেণ্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা হয়। 

পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু-রুপনের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজ এবং এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করে র‌্যাব। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সিআইডির পাশাপাশি দুদকের অনুসন্ধানেও  এনু-রুপনের বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য মিলেছে, যার ভিত্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকেও পৃথক মামলা করা হয়েছ।

এদিকে গত ২৩ জুলাই অর্থ পাচারের চার মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা, আলোচিত দুই ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন