বাবুল চিশতির বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন  দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল চিশতীর ছেলে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মতিঝিল শাখা প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, বগুড়ার আল-ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ানুল কবির চৌধুরী, তার স্ত্রী  ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা সংশ্লিষ্টরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে  ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২১ টাকা নিয়েছিলেন। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদ ও আসলে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৯ টাকা হয়। আসামিরা এই অর্থ পরিশোধ না আত্মসাৎ ও পাচারের  করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক যাত্রা শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকটে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে পদ ছাড়তে বাধ্য হন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। 

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনাটি ২০১৭ সাল থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে ব্যাংকটির বিভিন্ন নথিপত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের করা প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হয়। 

অবৈধ সুবিধা নিয়ে ভুয়া দলিলপত্রের মাধ্যমে নামে-বেনামে ঋণ বিতরণসহ বিভিন্নভাবে ফারমার্স ব্যাংকের শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এরই মধ্যে বাবুল চিশতী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলার তদন্তের স্বার্থে বাবুল ও পরিবারের সদস্যদের ১৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

এখন পর্যন্ত একটি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল করা মামলায় অভিযোগপত্রে বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন