কাল থেকে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আজ বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণের মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের এ অনুমতির কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবজনিত সারা দেশে বন্ধ ঘোষণা ও জনসমাগম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬ ও ২৩ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা এবং রমজান মাসের তারাবির জামায়াত সীমিত আকারে আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ওলেমারা রমজান মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি মেনে চলার শর্তে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহরের ওয়াক্ত থেকে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে জামাযতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এর আগে ৬ এপ্রিল মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে সময় নির্দেশে বলা হয়, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন।  জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়।  মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

এরপর ২৪ এপ্রিল পৃথক আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তারাবি নামাজের বিষয়ে বিধি নিষেধ আরোপ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বলা হয়, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম ও দুই জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন রমজান মাসে মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজে অংশ নিতে পারবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন