চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন

কয়েকটি কেন্দ্রে উত্তেজনা, ভোটে বাধার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভোটগ্রহণের আগে সকাল সাড়ে ৮টায় নগরের বহদ্দারহাটের এখলাসুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হট্টোগোল শুরু হয়। এই সময় কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কেন্দ্রটিতে তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

সরেজমিনে কেন্দ্রগুলোতে সরকার সমর্থকদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি কম। তবে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান দাবি করেছেন বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগে নির্বাচন স্থগিতেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বশাক জানান, ‘কিছু ক্ষিত্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী পাইলট হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে সকালে অল্প সংখ্যক ভোটার উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে দুটি বুথের ৮৯২ ভোটারের মধ্যে ১০০ ভোট ও পড়েনি। ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কুয়াশার কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা থেকে।নির্বাচনে ছয় প্রার্থী অংশগ্রহন করলেও মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে। এই আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান যথাক্রমে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী। 

ভোটের ‘সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’ অভিযোগ তুলে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে। তাদের এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে ।

যদিও অভিযোগটি অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। অভিযোগ করা হলো বিএনপির রুটিন কাজ। কোথাও কোনো গোলাযোগ হয়নি।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হয় এই আসন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারই নগরের বাসিন্দা। মোট ভোটারের ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৬৫ জনই নগরের অংশের। আর মাত্র ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৩১ ভোটার ভোটার নগরের বাইরের অংশের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন