আতাকামা: যে মরুভূমিতে ফুল ফোটে

মরুভূমিতে যেখানে পানি মেলাই দুস্কর সেখানটা যদি ফুলে ঢেকে যায়, তাহলে সেটি বিস্ময় জাগানোর মতো বিষয় হতে বাধ্য। এরকমই এক মরুভূমির অস্তিত্ব রয়েছে চিলিতে। যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে মরুভূমি ছেয়ে যায় রঙিন ফুলে ফুলে।

মরুভূমিতে যেখানে পানি মেলাই দুস্কর সেখানটা যদি ফুলে ঢেকে যায়, তাহলে সেটি বিস্ময় জাগানোর মতো বিষয় হতে বাধ্য। এরকমই এক মরুভূমির অস্তিত্ব রয়েছে চিলিতে। যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে মরুভূমি ছেয়ে যায় রঙিন ফুলে ফুলে। 

পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলির মধ্যে একটি উত্তর চিলির আতাকামা মরুভূমি। এই মরুভূমির চারপাশ জুড়ে বিস্তৃত অনুর্বর বালি।  সেই অনুর্বর ভূমিতেই সম্প্রতি দেখা গেছে ফুলের গালিচা। সাদা ও বেগুনি রঙের ফুলে ঢেকে গেছে অনুর্বর বালির কিছু অংশ। 

তবে এ ঘটনা একেবারে যে নতুন তাও নয়। প্রতি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে উপভোগ করা যায় প্রকৃতির এই অপরুপ দৃশ্য। এ কারণেই আতাকামা মরুভূমিকে ডিসিয়ের্তো ফ্লোরিডো বা ফুলের মরুভূমি বলা হয়।

বৃষ্টিপাত এবং সঠিক  তাপমাত্রার মরুভূমির বালিতে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত বীজকে জাগিয়ে তোলে।

সাধারণত ফুল ফোটার ঘটনাটি ঘটে বসন্তে। তবে সম্প্রতি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ফুটেছে ফুল।  বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ গোলার্ধের শীতকালে এল নিনোর প্রভাব বেড়েছে। আর এণ নিনোর প্রভাবে এবার শীতকালেও বৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই আতাকামার বুকে বেগুনি ও সাদা রঙের ফুলের বাহার ছড়িয়েছে প্রকৃতি। 

চিলির পন্টিফিকাল ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির ২০২২ সালের বিশ্লেষণ অনুসারে, গত ৪০ বছরে প্রায় ১৫ বার এরকম ফুল ফুটেছে শুষ্ক মরুভূমি আতাকামায়। 

তবে চিলির সরকার পরিচালিত সংস্থা ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি কর্পোরেশনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রধান সিজার পিজারো সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন,  আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলের মরুভূমির অংশ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য ফুলগুলো এখনো যথেষ্ট বিস্তৃত নয়।  তবে যেহেতু বৃষ্টিপাত বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে , এর অর্থ ফুলগুলোও বৃহত্তর অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।  


তথ্যসূত্র : সিএনএন 


আরও