নৈতিকতায় বৈষম্যের প্রভাব কতটা, কী বলছে গবেষণা

অর্থনৈতিক বৈষম্য বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজে উপার্জন ও সম্পদের অসমতা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে নানাভাবে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য যত প্রকট হবে, মানুষের মধ্যে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতাও ততটা বাড়বে। খবর সাইপোস্ট।

অর্থনৈতিক বৈষম্য বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজে উপার্জন ও সম্পদের অসমতা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে নানাভাবে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য যত প্রকট হবে, মানুষের মধ্যে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতাও ততটা বাড়বে। খবর সাইপোস্ট।

নৈতিকতার সঙ্গে অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে আগেও একাধিক গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণায়ও দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক বৈষম্যের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্যক্তি জেনেশুনেই এটা করে কিনা; কিংবা এটা তাদের প্রতিদিনের আচরণে প্রভাব ফেলে কিনা, তা এতদিন অস্পষ্ট ছিল। নতুন এ গবেষণায় সে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। বিশেষ করে তারা এটা জানার চেষ্টা করেছেন যে বৈষম্যের উপলব্ধি ব্যক্তির অনৈতিক আচরণে সম্পৃক্ত হওয়ার মনোভাবে প্রভাব ফেলতে পারে কিনা। 

এবারের গবেষণাটি করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর একদল গবেষক। 

তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ছাপা হয় পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে। যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার মানুষের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়।   

গবেষকরা বলছেন,"‘এ গবেষণার ফলকে অতীতের সব গবেষণার জন্য একটি শক্তিশালী সম্পূরক যুক্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে। নতুন এ গবেষণা অনুসারে, বৈষম্যের শিকার হলে মানুষ অনৈতিক আচরণে উদ্বুদ্ধ হয়। এতে সমাজে আস্থা ও পারষ্পরিক সহযোগিতার মনোভাব স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।’

আরও