যুক্তরাষ্ট্রের ভেরমন্ট রাজ্যের ছোট্ট শহর পমফ্রেট তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইনফ্লুয়েন্সারদের কারণে পর্যটকদের ভীড় এতটাই বেড়ে গেছে যে, শহরের বাসিন্দারা অসন্তুষ্ট হয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের জনপ্রিয় একটি ফার্ম ‘স্লিপি হোলো’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। ফলাফলস্বরূপ শহরের অবকাঠামোর ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে এবং স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটছে।
শহরের রাস্তাগুলোতে গাড়ির লাইন এবং অসংখ্য পর্যটক পমফ্রেটের নিরাপত্তা ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পর্যটকরা কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রবেশ করছেন এবং এমনকি রাস্তা দখল করে ছবি তোলার জন্য গাড়ি থামাচ্ছেন। এটি তাদের জন্য ব্যাপক ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩ সালে স্থানীয় সরকার, পর্যটকদের নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের কিছু রাস্তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা অক্টোবরের পাতা ঝরার মৌসুমেও চলবে। শহরের ‘গোফান্ডমি’ প্রচারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সড়ক বন্ধ করার পরেও কিছু পর্যটক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে স্থানীয়রা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না।
পমফ্রেটের বাসিন্দারা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তারা পর্যটন বিরোধী নন। তবে তারা চান, পর্যটকরা তাদের শহর ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাক।
স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জানিয়েছে, শহরের রাস্তাগুলি অপ্রতুল হয়ে পড়েছে এবং কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স বা দমকল বাহিনী ঠিকমতো পৌঁছতে পারছে না।
অন্যান্য শহরের মতো পর্যটন শিল্প পমফ্রেটের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস না হলেও শহরের মানুষ চায় পর্যটকরা ভদ্র এবং দায়িত্বশীল আচরণ করুক। পমফ্রেটের এই পদক্ষেপ বিশ্বের অনেক ছোট শহরের মতোই, যারা অতিরিক্ত পর্যটন ঠেকাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শহরটি পর্যটক নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মধ্যে একটি হল রিজার্ভেশন বা টিকেটিং সিস্টেম। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পর্যটকদের আগমন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।