আলোকপাত

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইসিটি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হোক

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তথ্যানুসারে, আইসিটি খাতে বর্তমানের মোট কর্মসংস্থান মাত্র ১০ লাখ। প্রতি ১৮০ জনে একজন, মাত্র আধা শতাংশ।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তথ্যানুসারে, আইসিটি খাতে বর্তমানের মোট কর্মসংস্থান মাত্র ১০ লাখ। প্রতি ১৮০ জনে একজন, মাত্র আধা শতাংশ। ১৮ কোটির বেশি মানুষের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান ও কর্মদক্ষতার এ চিত্র পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি, এ খাতে আরো কিছু উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নেয়া প্রয়োজন। ২০২৬-এর মধ্যে আইসিটি খাতে মোট কর্মসংস্থান ২০ লাখে পৌঁছাতে হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে ৪০ লাখ, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখে পৌঁছানোর একটা ধারাবাহিক রোডম্যাপ লাগবে। বিষয়টি খুবই কঠিন, তথাপি দরকারি।

মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষকে কারিগরিভাবে দক্ষ করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু কাজটা করতেই হবে, তা না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মদক্ষতা, সক্ষম জনশক্তি ও শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। সব কথামালা পত্রিকা ও বইয়ের পাতায় থেকে যাবে। বাংলাদেশকে শিল্পে দক্ষ শ্রমশক্তি আমদানির বিকল্প যেমন খুঁজতে হবে, তেমনি কারিগরিভাবে দক্ষ শ্রমশক্তি রফতানি করে রেমিট্যান্স আয়ের টেকসই পথও খুঁজতে হবে। আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এখানে ব্যাপক কাজে লাগতে পারে।

এজন্য কয়েকশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি করা প্রয়োজন। এ কাজে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, বেসিস, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বড় কলেজগুলোয়, প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। সেখানে আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারগুলো প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও অ্যাডভান্স কোর্স চালু করবে। সনদপ্রাপ্তির সঙ্গে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কোর্সগুলোকে বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে। তিন-চার বছর মেয়াদি কোর্সের কোনো একসময় ছাত্রদের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের কোর্স ওয়ার্ক শেষ করতে হবে। অর্থাৎ কোর্স টাইম ঐচ্ছিক ও নমনীয় (ফ্লেক্সিবল) হবে। কিন্তু স্নাতক পর্যায় শেষে পরীক্ষায় পাস দেখানো লাগবে, তা না হলে ছাত্রছাত্রীরা স্নাতকের সনদ পাবে না। পরীক্ষা/কোর্স অনলাইনে এবং অফলাইনে হতে পারে।

অ্যাডভান্স কোর্সগুলোকে আলাদা সার্টিফিকেট কোর্স ও বিদেশী কিছু দেশের (মধ্যপ্রাচ্য/ইউরোপ) শিক্ষা বোর্ড/শ্রমবাজারের উপযোগী এফিলিয়েশনে আনা গেলে দক্ষ শ্রমবাজার তৈরিতে কাজে আসবে।

মডেলটা সফল হলে একটা পর্যায়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের কোর্স উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে। কোর্সগুলোর সঙ্গে ছাত্রত্ব ও শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত উঠিয়ে দেয়া যাবে। তখন অনালাইনে কিছু পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে যে কেউ সার্টিফিকেশন কোর্সগুলো করতে পারবেন ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারগুলোর প্রাইভেটাইজেশনও শুরু করা যাবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরু থেকেই কোর্সগুলো অফার করতে পারে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক, আইটি ইনকিউবেটর ইত্যাদির ফিজিক্যাল রিসোর্সগুলো সংস্কার করে (প্রয়োজনে মোবিলাইজ করে) কাজে লাগাতে হবে।

প্রবাসী শ্রমবাজারকে টার্গেট করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, টিটিসিগুলো রিফর্ম করতে হবে। বর্তমানে সেখানে তিনদিনের কোর্স দেয়া হয়, এগুলো কোনোই কাজে আসে না।

সারা দেশে যুব উন্নয়ন একাডেমি আছে। এসবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক শ্রমবাজারের উপযোগী শিক্ষক, কোর্স, ল্যাব, ক্লাস, সার্টিফিকেশন এবং অ্যাক্রেডিটেশন ইত্যাদি নেই। এসব সংস্কার করতে হবে।

বেসিসকে ইন্ডাস্ট্রি স্কিল ডেভেলপমেন্ট অনুকূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংস্কার (বেসিস স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি) করতে হবে।

আইটি খাতে ইনসেনটিভভিত্তিক প্রণোদনা নয়, বরং অবকাঠামোগত সরকারি ও রেগুলেটরি সহায়তা দেয়ার নতুন নীতি গ্রহণ করতে হবে। নির্দিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কাউকে কোনো অর্থ দেয়া হবে না। কারণ এগুলো অর্থ লুটপাটের খাত। আর এসব পরীক্ষার মান যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। পরীক্ষা অনলাইন, অফলাইন বা হাউব্রিড হতে পারে। হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক, আইটি ইনকিউবেটর, ল্যাব ইত্যাদি অবকাঠামো সুবিধার বরাদ্দ প্রক্রিয়া ও আর্থিক বরাদ্দ প্রক্রিয়াগুলোয় পরিবর্তন আনতে হবে।

যেসব খাতে বৈশ্বিক চাহিদা অনেক বেশি সেগুলো হলো ডাটা সায়েন্স ও মেশিন লার্নিং-ভিত্তিক সফটওয়্যার সাপোর্ট, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন, সাধারণ ডাটা অ্যানালাইটিকস, এআই/এমএল অ্যান্যালাইটিকস, মেশিন ভিশন, চ্যাটবট ও জেনারেটিভ এআই-ভিত্তিক কাস্টমার কেয়ার, কগনেটিভ সফটওয়্যার সলিউশন (যেমন টেলিকম সেলফ অপ্টিমাইজিং নেটওয়ার্ক, এসওএন মার্কেটপ্লেস কন্ট্রিবিউটর, জিও-লোকেটেড টেলকো/ক্রাউড সার্ভিস, মেশিনভিশন, গেমিং, কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারার বা সিএএম ডিজাইন, সিএডি ডিজাইন, ফিনটেক, ট্রেডিং, ট্রেডিং অ্যানালাইটিকস সফটওয়্যার, স্কুলএইড বা ই-লার্নিং সফটওয়্যার, এগ্রো সফট, এনভায়রনমেন্টাল সফটওয়্যার, স্যাটেলাইট ইমেজ প্রসেসিং/জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (জিআইএস), ম্যাসিভ আইওটি, এলটিই আইওটি, ন্যারোব্যান্ড আইওটি, রোবোটিকস ইত্যাদি খাতকে আলাদা আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। এ খাতগুলোয় কখনো সরকারি উদ্যোগে মনোযোগ দেয়া হয়নি। লক্ষ্য ঠিক করে অবকাঠামোয় অর্থায়ন ও ইনসেনটিভ পলিসি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক আইসিটি খাতের বড়, মাঝারি ও ছোট সব ডোমেইন ও সাব-ডোমেইন শনাক্ত করে বেসিস স্বীকৃতি দেয়া দরকার। সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার (আইটিইএস) বাইরেও কয়েক ডজন খাত রয়েছে, আইসিটি হার্ডওয়্যার খাতও রয়েছে। এসব খাতকে মেইন স্ট্রিম করা, যাতে এসব খাত বেসিসের পরিচালনা পরিষদে, সরকারি প্রকল্প বণ্টনে কিংবা আর্থিক প্রণোদনা ভোগে বৈষম্যের শিকার না হয়।

আইটিইএস খাতের যেগুলো উদীয়মান সেগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অপ্রধান সেবার প্রতিটি খাতকে লক্ষ্যভিত্তিক সংস্কার করা দরকার। ডিজিটাল কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এবং ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন (টু-ডি ও থ্রি-ডি উভয়ই), জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (জিআইএস), আইটি সাপোর্ট ও সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবা, ওয়েবসাইট হোস্টিং, ডিজিটাল ডাটা অ্যানালাইটিকস, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, কল সেন্টার, ডিজিটাল গ্রাফিকস ডিজাইন এবং কম্পিউটার-অ্যাডেড ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, ওয়েব ডকুমেন্ট কনভার্সন, ইমেজিং লিস্টিং ও আর্কাইভিং, ওভারসিজ মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন, সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস, ই-প্রকিউরমেন্ট এবং ই-নিলাম, ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, ই-বুক প্রকাশনা, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, আইটি ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদির যেখানে যেখানে সেবা ও স্কিল রূপান্তর পরিকল্পনা দরকার সেগুলোকে বিবেচনায় আনা। এসব খাতকে স্বীকৃতি দিয়ে বেসিস পরিচালনা পরিকাঠামো ও নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব পুনর্গঠন করা চাই। দেশে পেপাল সার্ভিস আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর ইকোসিস্টেম ঠিক করতে হবে। পেমেন্ট সেটেলমেন্টে ঝুঁকি নিরসনে, প্রাইভেসি রেখে ডিজিটাল ফরেনসিকে, হ্যাকিং ট্রেস করাসহ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল অপরাধের কারিগরি এবং বিচারিক নিষ্পত্তি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। দক্ষ আইসিটি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে দক্ষতা কেন্দ্রের বিকল্প নেই। এখানে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্সের রিয়েল টাইম ২৪/৭ সেবাও লাগবে।

তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি আইসিটি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হোক। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ‘‌ডাচ ডিজিজ’-এ আক্রান্ত। এটা আমাদের রফতানি বহুমুখীকরণে সাহায্য করছে না। এটি একসময় উপকারী ছিল, কিন্তু এখন চল্লিশোর্ধ্ব জনশক্তির ক্ষয় এবং বিশেষ করে সার্বিকভাবে নদীর পানি ও পরিবেশের তীব্র ক্ষতি করছে।

দেশে আইসিটি প্রশিক্ষণের জন্য বহু প্রতিষ্ঠান থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের তীব্র অভাব রয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে অনেকেই প্রশিক্ষণের জন্য সার্টিফিকেট দিলেও বেশির ভাগ সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণেরই মূলত দেশে ও বিদেশে শিল্প পর্যায়ে কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট পলিসি (এনএসডিপি ২০২২) রিভিউ করে, দেশের কর্মদক্ষতার গ্যাপ কমাতে হবে ও কর্মশক্তির প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। এনএসডিপিকে পিয়ারসন বা এডেক্সেল বা ইংল্যান্ডের এনসিসির মতো একটি গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেশন সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা যায়। পরীক্ষাগুলোকে এসব সংস্থার সমমান করার জন্য সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এতে শিল্পস্তরে চাহিদা অনুযায়ী ডিপ্লোমা ডিগ্রি ডিজাইন করা, বাস্তবায়ন করা ও কোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট মনিটরিং করা সহজ হবে। আমি মনে করি, দেশের বর্তমান শিল্পগুলোয় সম্ভাব্য নতুন শিল্পে কেমন স্কিলসেট দরকার, শ্রমবাজার টেকসই করতে কী ধরনের স্কিলসেট ডেভেলপ করা দরকার—তার ওপর একটি ‘‌শিল্প দক্ষতা জরিপ’ করতে হবে। সেই জরিপের ফলাফল ও গভীরতর গবেষণার যৌথ মূল্যায়নে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের কোর্সগুলো সঠিকভাবে ডিজাইন করা সম্ভব হবে।

আমরা বিশদ সংখ্যায় স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথা বলছি। যদি প্রকল্পের সাফল্য নিযুক্ত লোকের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হয়, তবে সেই সংখ্যা ট্র্যাক করার একটি ভালো উপায় থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট ডিফাইন্ড কেপিআই থাকা চাই, যা স্বচ্ছতার সঙ্গে মনিটর করা হবে। বিগত সময়ে এ খাতকে লুটপাট ও চুরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেনিং সরবরাহকারী নির্বাচন খুবই খারাপ হয়েছে। যোগ্য হয়েও বাংলাদেশের বেশকিছু স্বনামধন্য আইটি সংস্থা বেসরকারি খাতের প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত নয়। ফলে বিভিন্ন খাতের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বাজেটের বড় লুটপাট চলছে। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন খাতে সফল হওয়ার জন্য দুটি উপাদান প্রয়োজন। প্রথমত, মানসম্মত শিক্ষা এবং দ্বিতীয়ত, মানসম্পন্ন জীবনযাত্রার জন্য উপযুক্ত বেতন ও সুবিধাদি। তা না হলে সব মেধাবী দেশ ছেড়ে চলে যাবে। একইভাবে উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গেও নিয়োজিত হওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।

পদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও মন্ত্রীদের মিথ্যা ও লোক দেখানো কথাবার্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে আর লুটপাট নয়। ম্যাসিভ স্কিল ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনার মেগা বাস্তবায়ন দরকার। গেমিংয়ের কথা বলে ৩৩০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা পরিবারের ডিজিটাল প্রচারে ও সিনেমা তৈরিতে। আইসিটি প্রশিক্ষণের কথা বলে লুটপাট করা হয়েছে আরো ৩০০ কোটি টাকা। এসব থামিয়ে সত্যিকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট দরকার। দরকার বড় পরিকল্পনা, বাজেট ও স্বপ্ন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব: প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ; টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামোবিষয়ক প্রবন্ধকার এবং সিনিয়র সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন জিজ্ঞো, নেদারল্যান্ডস

আরও