মরণব্যাধি নভেল করোনাভাইরাস প্রথমে ধরা পড়ে চীনের উহান শহরে গত বছরের ডিসেম্বরে। ক্রমে এটা অতি অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে। করোনার ভয়াল থাবায় পৃথিবীর প্রায় মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হয় কয়েক মিলিয়ন। এ ভাইরাসের ভয়ে মানুষ মাসের পর মাস ঘরে আবদ্ধ থাকে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মানুষ বিরত থাকে। বিশ্বের অর্থনীতির চাকা রাতারাতি থেমে যায়, যার দরুন কয়েক দিনের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে।
স্বল্পোন্নত বাংলাদেশও করোনার ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি। এ বছরের মার্চে সর্বপ্রথম নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। তার পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা যতই বাড়তে থাকে, কর্মক্ষেত্রে মানুষ ততই দিশেহারা হয়ে পড়ে। সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে কীভাবে করোনা প্রতিহত করা যায়। কোনো বিকল্প পথ না দেখে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে থেমে যায় অর্থনীনৈতিক কর্মকাণ্ড।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সরকার ১ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রণোদনার প্যাকেজ ছিল মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে আবার কিছু বাড়ানো হয়। প্রথমে ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দেয়া হয় রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার জন্য। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য। এছাড়া কয়েক বিলিয়ন টাকার পোশাক কারখানার রফতানি আদেশ বাতিল হয়ে যায়। এসব কথা চিন্তা করে সরকার এই ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই বড় অংকের টাকা বিতরণ করা হয়। এটা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পোশাক কারখানার মালিকরা ব্যাংকে ভিড় জমাতে থাকেন প্রণোদনার টাকা পাওয়ার উদ্দেশ্যে। যথাসময়ে তারা প্রণোদনার টাকা পেয়ে যান। কিন্তু ওই সময় দেখা গেল বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রণোদনার টাকা থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত হন।
এই ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বরাদ্দ ২০০ বিলিয়ন টাকা। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা এ প্যাকেজ থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হন। এ খাতে ২০ শতাংশের কাছাকাছি ঋণ বিতরণ করা হয়, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এটা অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। উল্লেখ্য, বড় শিল্পের জন্য শতভাগের কাছাকাছি ঋণ বিতরণ করা হয়। শুধু বঞ্চিত হলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা। সম্প্রতি সিপিডি ও অক্সফাম আয়োজিত সংলাপ থেকে জানা যায়, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের বর্তমান স্থিতি অনুযায়ী এটি পৌঁছেছে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ৮ শতাংশের হাতে। তবে প্যাকেজের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে তা পৌঁছত মাত্র ১২ শতাংশের হাতে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য যে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেয়া হয়েছে, তার ৭০ শতাংশের মতো ব্যবহার হয়েছে। ৮০ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে রফতানিমুখী শিল্পের জন্য। ছোটদের প্রণোদনা প্যাকেজের ২৮ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে, যা পেয়েছে ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কৃষির জন্য ঘোষিত ঋণের প্রণোদনা প্যাকেজের ৪৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাদার কৃষকদের ঋণের মাত্র ২১ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে।
এটা সত্য যে জিডিপিতে প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ বিবেচনায় এশিয়ার মোট ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। আবার মাথাপিছু আয় হিসাবে ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩তম। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) গবেষণা অনুযায়ী মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পেয়েছেন। তারা আরো বলেছে, ৭৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে অবগত নন। আইএফসির গবেষণা মোতাবেক এ শিল্পে নিয়োজিত মোট ৩৭ শতাংশ মানুষ চাকরি হারায়। এছাড়া এ শিল্পে গত বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বিক্রি কমে যায়। এ খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৬ শতাংশ রাজস্ব কমে যায়। অর্থাৎ করোনার প্রভাবে এ খাতে ক্ষতি হয় ৯২ হাজার কোটি টাকার।
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এ দেশে শিল্প খাতে নিয়োজিত মোট শ্রমিক ছয় কোটির কাছাকাছি। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ নিয়োজিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট জিডিপির ২৫ শতাংশ অবদান রাখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। অথচ করোনাকালীন এ শিল্প হুমকির মুখে পড়ে যায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের চাকা না ঘোরাতে পারলে আমাদের উদীয়মান অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না। মনে রাখা দরকার যে ২৫ মিলিয়ন শ্রমিক এ শিল্পে নিয়োজিত। এ শিল্পের দিকে না তাকালে বেকারত্ব অতিদ্রুত বেড়ে যাবে। সেটার প্রভাব পড়বে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার ওপর। আইএলওর প্রাক্কলন অনুযায়ী চলতি বছরে করোনার কারণে ১১ থেকে ১৭ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আইএলও ও এডিবির গবেষণা অনুযায়ী নন-ফরমাল সেক্টরে ২৮ লাখ যুবক কাজ হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে কাজ হারায় ১১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ এবং ২০২০ সালে হারায় ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
এদিকে আন্তর্জাতিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপ প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র ৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছে। তাদের পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পায়নি। এ জরিপে উঠে আসে মাত্র ৮ শতাংশ পায় ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প, ২০ শতাংশ মধ্যম মানের শিল্প এবং ৪১ শতাংশ পান বড় শিল্পের উদ্যোক্তারা। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিত্র নিয়ে সম্প্রতি আইএমএফের প্রতিবেদন আমাদের খুব আনন্দিত করেছে। আমিও আনন্দিত হয়েছি। আইএমএফ বলেছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু নমিনাল জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৭ দশমিক ৯৭ ডলার (বর্তমান মূল্যে) এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের জিডিপি বাড়বে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ভারতের জিডিপি কমবে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু আবার ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারত এগিয়ে থাকবে। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি ব্যয়ের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে, যা মোট জিডিপির ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এখনো বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত ২৭ দশমিক ৭৩, যা নেপাল ও ভুটান থেকে কম। বর্তমানে রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ৮ দশমিক ১৭, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নিম্নতম।
সার্বিক বিবেচনায় বলা যায়, এ মুহূর্তে দরকার বিদেশী বিনিয়োগ এবং রফতানি খাতে বৈচিত্র্য আনা। পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিক বিভিন্ন দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এখন রফতানি থেকে যে আয় হচ্ছে, সেটা আগামী ২০২৪ সালের পর থেকে কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এলডিসি-পরবর্তী অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হলে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দেয়া অনেক বাণিজ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে বহুদিন ধরে চলমান জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে না। যদিও সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা বহাল রাখবে। প্রকাশিত সংবাদের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ৭ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় থেকে বঞ্চিত হবে যদি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হয়, যা মোট ৩৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের ৫১ শতাংশ।
এছাড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমনজনিত মহামারীর কারণে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে আপাতত শ্রমিক নিতে চাইছে না। নানা অজুহাত দিয়ে তারা শ্রমিক নেয়া বন্ধ করছে। এরই মধ্যে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফরেন রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও পরবর্তী সময়ে কমে যেতে পারে। করোনা মহামারীর সময়ে বিশ্বব্যাংকের দেয়া প্রাক্কল্লন সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক কূটনৈতিক তত্পরতা বাড়ানো ছাড়া এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ৬ শতাংশ ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে ঋণের জন্য বলা হয়েছিল। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড এবং ডেভেলপমেন্টের মতে, চলমান বছরের প্রথম ছয় মাসে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে ৪৯ শতাংশ। ১৯ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়।
বলা প্রয়োজন যে নভেল করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ার প্রবণতা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের জন্য এ মুহূর্তে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলার প্রয়াজন। সরকার এরই মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য এডিবি থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, জাপান থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আশা করছে। কম সুদে ঋণ নিলেও ঋণের বোঝা টানা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বড় বড় দৃশ্যমান প্রকল্প বৈদেশিক ঋণের ওপর ভর করে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
করোনা মহামারীর মাঝে সরকার কয়েক হাজার মানুষের নগদ সহায়তা প্রদান করে। সেটা বিতরণ করা হয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে। খুব দুঃখজনক যে সরকারের দেয়া নগদ সহায়তা প্রকৃত অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছেনি। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তা তছনছ করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আমি গর্ব করে বলতে চাই, বর্তমান সরকার অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য করোনা মহামারীর শুরু থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। এ দেশের বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী, নিম্ন আয়ের লোক এমনকি কর্মহীন মানুষের পাশে বর্তমান সরকার করোনার সময় অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য সবসময় তদারক করে যাচ্ছে। এ তদারকি এখনো থেমে নেই।
প্রয়োজন হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে। তাদের এ প্যাকেজের আওতায় না আনতে পারলে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনেক সময় নেবে। বেকারত্ব বেড়ে গেলে এবং সেই সঙ্গে উৎপাদন থেমে গেলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিদেশফেরত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারলে আগামী দিনের অর্থনীতি কোন দিকে যাবে তা বলা মুশকিল। অনেক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সন্মুখীন হতে হবে। আসুন সবাই মিলে সরকারের দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করি। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজতর হবে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে বেড়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে।
মো. মাজেদুল হক: ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক