বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস এবং এশিয়ায় চালের রফতানি বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার খবর সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের (আইজিসি) বরাত দিয়ে ৩ জুলাই বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদন কমে ২২৫ কোটি ৬০ লাখ টনে নামতে পারে। এদিকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমার প্রভাবে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় চলতি বছর রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৯৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। আর বিজনেস রেকর্ডারের বরাত দিয়ে ১৯ জুন বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ায় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে চালের রফতানি বাজারদর। শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর সবক’টিতেই বাড়তি দামে চাল রফতানি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কায় দাম বাড়ছে। আগামী দিনগুলোয় এ অঞ্চলে চাল উৎপাদন বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বে চাল রফতানিতে শীর্ষে অবস্থানকারী দেশ ভারতের সরকার রফতানিযোগ্য চালের মজুদ বাড়াতে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনছে। এর প্রভাবে রফতানিযোগ্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৭ জুন দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘Global rice prices, now at their highest in 11 years, are set to rally further after India moved to boost payments to farmers, just as EL-Nino threatens yields in key producers and alternative staples get costlier for poor Asians and Africans’, যার অর্থ দাঁড়ায়, গত ১১ বছরে এখন বিশ্ববাজারে চালের দাম সবচেয়ে বেশি, ভারত সরকার কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে চাল কেনায় দাম আরো বাড়তে পারে। এদিকে এল-নিনোর প্রভাবে প্রধান খাদ্যশস্যের ক্ষতিতে গরিব এশিয়ান ও আফ্রিকানদের জন্য বিকল্প খাদ্যশস্যের দাম বাড়বে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস এবং এশিয়ায় চালের রফতানি বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠা বাংলাদেশের জন্য কতটা চিন্তার কারণ? আমাদের দেশে খাদ্যশস্য বলতে চাল ও গমকে বোঝায়। ভুট্টা এখনো মূলত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আবার খাদ্যের মোটামুটি ১১টি উপাদান থাকলেও দেশে খাদ্য বলতে মূলত চাল থেকে তৈরি ভাতকে বোঝায়। অর্থাৎ দেশবাসীর প্রধান খাদ্য ভাত। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১৬ অনুযায়ী, মোট ক্যালরির (১০০ শতাংশ) ৬৪ দশমিক ৩২ শতাংশ আসে খাদ্যশস্য থেকে, যার ৫৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ আসে ভাত থেকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, দেশে জনসংখ্যা বাড়ার তুলনায় চালের উৎপাদনশীলতা তথা প্রবৃদ্ধি হার কম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাদ দিলে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার নেতিবাচক থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ এ সময়কালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ‘৫০ ইয়ার্স অব রাইস ব্রিডিং ইন বাংলাদেশ: জেনেটিক ইল্ড ট্রেন্ডস’ এবং ‘রাইস ভিশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী চালের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বার্ষিক হার যখন দশমিক ৮২ শতাংশ, তখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে উৎপাদিত চালে দেশের চাহিদা মিটছে না। বছরের পর বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি খাতে ১৯ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, দেশে ডলার সংকট ইত্যাদি কারণে পণ্যটির আমদানিতে গতি আসেনি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক, গত অর্থবছর শেষে সরকারি-বেসরকারি খাত মিলে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬ টন চাল (সরকারি খাতে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪ টন এবং বেসরকারি খাতে ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২ টন) আমদানি করা সম্ভব হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক গত এপ্রিলে আশা প্রকাশ করেন, দেশে চাল উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থানকারী বোরো ফসল থেকে এ বছর (২০২২-২৩) ২ কোটি ১৫ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ কোটি ২০ লাখ টন উৎপাদন হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খরা, অতি উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানসহ সব ফসলের উৎপাদন কম হবে গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ (যুগান্তর, ১৯ এপ্রিল)। গত বছর ২ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বোরো চাল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল দুই কোটি টনের নিচে। গত আমন মৌসুমে চালের উৎপাদন ১ কোটি ৬৩ লাখ টনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আশা প্রকাশ করেছিল। তবে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক পূর্বাভাসে এ উৎপাদন ১ কোটি ৪১ লাখ টনে দাঁড়াবে বলা হয়েছে। এর আগেও ডিএইর চাল উৎপাদন হিসাবের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে তারতম্য ঘটেছে। অর্থাৎ বিবিএসের হিসাবে চাল উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে। তাই বিদায়ী বোরো মৌসুমে চালের প্রকৃত উৎপাদন জানতে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আমন ফসলের আবাদ অনেকটা প্রকৃতিনির্ভর। আমন আবাদ খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা সাইক্লোনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। আমরা দেখেছি, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে পরপর দুটি প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও সাইক্লোন সিডর কীভাবে আমন ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছিল। ১ কোটি ৩০ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওই মৌসুমে উৎপাদিত আমনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৯৬ লাখ টনে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও উপর্যুপরি বন্যার কারণে আমন উৎপাদন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি ভাষ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের আগস্টের বন্যায় সারা দেশের ৩৭টি জেলায় আমন ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি হিসাবে এ বন্যায় ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর আমন আবাদ যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে গমের আটার রুটি খাওয়া বৃদ্ধি পাওয়া, কেক, বিস্কুট বিদেশে রফতানি হওয়া প্রভৃতি কারণে খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের তুলনায় অনেক কম। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন। এর পর থেকে গমের উৎপাদন কমতে থাকে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮৬ হাজার টন। গমের এ উৎপাদন দেশের চাহিদার (কমবেশি ৭০ লাখ টন) ছয় ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ গমের ক্ষেত্রে দেশ প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে গমের দাম আকাশছোঁয়া। ২০২০ সালের ৩২ টাকার এক কেজি খোলা আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আটার দাম মোটা চালের দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় আটা খাওয়া মানুষ এখন চালের দিকে ঝুঁকছে। এতে চালের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
এশিয়াজুড়ে খরার কারণে চাল উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে আমদানিকারক দেশগুলো উল্লেখযোগ্য হারে চাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও চীন এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ চালের ক্রয়াদেশ দিয়েছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অস্থিতিশীল। বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও বাজারদর নিয়ে যখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন আমাদের সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে খাদ্যশস্য আমদানি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে ২৪ জুন যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে খাদ্য আমদানি খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৮ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৪ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দ কমছে ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা বা ৩০ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি (প্রতি ডলারের মূল্য ১০৮.৭০ টাকা)। এ মূহূর্তে সরকারের যা করা প্রয়োজন তা হলো, চলতি অর্থবছরে দেশে কী পরিমাণ খাদ্যশস্য (চাল, গম) আমদানির প্রয়োজন হতে পারে তা নির্ধারণে জরুরি ভিত্তিতে জরিপ পরিচালনা এবং জরিপের ফলাফলের আলোকে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ এবং খাদ্য বাজেট পুনর্নির্ধারণ করা। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিতে সরকারকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খাদ্যনিরাপত্তা তখনই বিরাজমান, যখন সবার কর্মক্ষম, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী জীবনযাপনের জন্য সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। খাদ্যনিরাপত্তা নির্ধারণের তিনটি নিয়ামক হলো—খাদ্যের সহজলভ্যতা, খাদ্যপ্রাপ্তির সক্ষমতা এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা। দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হলে বাইরে থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করে তা সহজলভ্য করে তোলা সরকারের দায়িত্ব। সরকারি ও বেসরকারি খাতে খাদ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে কাজটি করতে হয়। উভয় খাতে আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরকারকেই জোগাতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে খাদ্যশস্য আমদানি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা খাদ্যনিরাপত্তার প্রথম নিয়ামক খাদ্যের সহজলভ্যতার সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ তা দেখতে হবে। খাদ্যের সহজলভ্যতা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। দরকার খাদ্য কেনার সামর্থ্য। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ মোট ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সোয়া তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আইএলওর এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক। চলতি বছর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে (মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ) প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে সমাজে শ্রেণীবিন্যাসে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তের দরিদ্র এবং দরিদ্রের অতিদরিদ্র স্তরে নেমে আসার জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে দেশে দারিদ্র্য হার বেড়ে যাবে। ক্রয়ক্ষমতার অভাবে বিপুলসংখ্যক দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে।
মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক খাদ্যসচিব