জঙ্গিবাদের বয়ানের প্রেক্ষিত ও আমাদের করণীয়

আওয়ামী লীগ শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকেই প্রচণ্ড প্রতাপের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে থাকে। একদিকে দেশের অভ্যন্তরে তার রয়েছে জনপ্রিয় সাপোর্ট, অন্যদিকে ভারত ও আমেরিকার মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছ থেকেও রয়েছে তার পূর্ণ সমর্থন। পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামী মৌলবাদকে (যদিও এ সংজ্ঞায়ন একাডেমিকালি সঠিক নয়) দমন করতে চায়। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত চায় তার বর্ডার সুরক্ষিত রাখতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে সেভেন সিস্টার্স রেজিস্ট্যান্স গড়ে উঠুক সেটি সে চায় না।

২০০৫ সালে বিএনপি ও চারদলীয় জোটের শাসনামলের শেষ ভাগে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে সিরিজ বোমা-হামলার ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে। সময়টা তখন ‘ওয়ার অন টেররের’। নব্বই দশক থেকেই পশ্চিমা বিশ্বে ‘র‍্যাডিক্যালিজম ও ইসলামী জঙ্গিবাদ’ ভীষণ চর্চিত বিষয়ে পরিণত হতে থাকে। বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন-পরবর্তী যুগে আফগানিস্তানে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রভাবে তালিবানরা যখন প্রতিরোধ করে যাচ্ছিল তখন তাদের ‘ইসলামী জঙ্গি’ হিসেবেই ফ্রেমিং করা হতো। ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে এসে হিসাবনিকাশ আরো বেশি জটিল হয়ে যায়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর বৈশ্বিক পরিস্থিতির দ্রুত রূপান্তর ঘটে। সমগ্র পশ্চিমে ও ইউরোপজুড়ে ‘ইসলামোফোবিয়া’ প্রকট আকার ধারণ করে। সেইসঙ্গে মার্কিন পলিসিতে ‘সন্ত্রাস দমন আইনের’ নতুন পরিবর্তন ঘটে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অন্যের ভূমি দখল করার পক্ষে ও ক্ষেত্র বিশেষে মার্কিন জনগণ এবং মিডিয়া হাউজের নীরব সমর্থনও পাওয়া যায় বলে অনেক গবেষকই মনে করেন। এদিকে এ ঘটনার আগে থেকেই অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, সামাজিক সুরক্ষা, বর্ণবাদের মতো নানা বিষয়ে বুশ প্রশাসন সংকট উপলব্ধি করছিল। টুইন টাওয়ারের ঘটনা বুশ প্রশাসনকে সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে বলে ডেভিড হার্ভের মতো তাত্ত্বিক আমাদের গবেষণা করে দেখিয়েছেন।

এমন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তখন দেশযোগে সিরিজ বোমা-হামলা, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদের মতো জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও তৎপরতা চারদলীয় সরকারকে ভীষণ বেকাদায় ফেলে দেয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সিকিউরিটি এজেন্সির পরামর্শে এদের দমন করতে বিএনপি ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)’ নামক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করে। কিন্তু এর পরই দেশে পটপরিবর্তন হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফখরুদ্দীন আহমেদ কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের প্রাণ হয়ে দেশের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেন। বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা চলে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। মাইনাস টু ফর্মুলা তখনকার সৃষ্টি। দেশের প্রথম সারির দুটি গণমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার জনমত তৈরির কাজটি করে বলে অনেকেই বলে থাকেন। দেশের রাজনীতিতে বর্তমান সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ‘নাগরিক শক্তি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলেরও আত্মপ্রকাশ ঘটে। যদিও অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রফেসর ইউনূস রাজনৈতিক দল পরিচালনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। সময়ের পরিক্রমায় কেয়ারটেকার সরকারও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ২০০৯ সালে নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করে। এর পর থেকেই দেশে স্বৈরাচার হাসিনা যুগের সূচনা হয়।

আওয়ামী লীগ শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকেই প্রচণ্ড প্রতাপের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে থাকে। একদিকে দেশের অভ্যন্তরে তার রয়েছে জনপ্রিয় সাপোর্ট, অন্যদিকে ভারত ও আমেরিকার মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছ থেকেও রয়েছে তার পূর্ণ সমর্থন। পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামী মৌলবাদকে (যদিও এ সংজ্ঞায়ন একাডেমিকালি সঠিক নয়) দমন করতে চায়। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত চায় তার বর্ডার সুরক্ষিত রাখতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে সেভেন সিস্টার্স রেজিস্ট্যান্স গড়ে উঠুক সেটি সে চায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় যেকোনো উপায়েই জামায়াত-বিএনপি সরকার যেন ক্ষমতায় না আসে। বিএনপি মূলত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সমর্থক ডানপন্থী রাজনৈতিক দল; যারা অনেকটাই লিবারাল কনজারভেটিভ। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মূলত একটি ধর্মভিত্তিক ডানপন্থী দল। এ দলের আবার ১৯৭১-এ পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করার ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসের কালপর্বে আরো দেখা যায়, ১৯৪৭ সাল ও দেশভাগের সময়ও দলটি ভারতের অখণ্ডতার জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছিল। একাত্তরকে জামায়াত সবসময়ই ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখেছে বলে আওয়ামী লীগ এবং সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে ভারত একাত্তরকে রাজনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখেছে বলেই জামায়াতসহ অনেকেই মনে করতেন। এমনকি ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ন্যারেটিভস থেকেও এ দাবির পক্ষে কিছুটা সত্যতা মেলে। বিশেষত সেখানকার টেলিভিশন-চ্যানেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ’ হিসেবে ফ্রেমিং করা হয়ে থাকে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে সাউথ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য ঠিক রাখা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এসব কারণে বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা উষ্ণ নয় বলেই অনেকে মনে করেন। জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের রাজনীতি ভারতীয় স্বার্থের অনুকূলে নয়। অন্যদিকে পশ্চিমারা চায় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ’-পরবর্তী জামানায় বাংলাদেশ যেন মৌলবাদীদের কোনো ঘাঁটি না হয়।

এমন ত্রিমুখী সম্পর্কের কারণে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে হামলা, সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা, শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে জামায়াত-বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের জন্য গণ-আদালত বসানো, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি, ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা, হাইকোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য স্থাপন করতে বাধা দেয়া ইত্যাদি ঘটনার কারণে ভারত, পশ্চিমা বিশ্ব এবং দেশের সিভিল সোসাইটির অংশীজন আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকে জরুরি ভেবেছে। তিন তিনটি অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পরও আওয়ামী সরকারের প্রতি ভারতীয় সরকারের যে অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল তা থেকেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার মধ্যে তাদের স্বার্থ নিহিত। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর দেশের অধিকাংশ বামপন্থী দল, আমলাতন্ত্র, সিভিল সোসাইটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এবং মিডিয়া হাউজের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ওপর পুরো মাত্রায় কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়। এ সময়ে জামায়াত-বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী, শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন ও রগকাটা দল, হেফাজতে ইসলাম এবং কওমি মাদ্রাসার আলেমদের প্রগতিবিরোধী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সক্ষম হয়। ফলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে এক ধরনের সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল যাকে কম্পিটিটিভ অথরিটারিয়ানিজম, হাইব্রিড রেজিমসহ নানা অভিধানে অভিহিত করেছেন স্কলাররা। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের ‘আমিই রাষ্ট্র’-এর মতো করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এ সময় বলে উঠত ‘আমার বিকল্প কোথায়?’

ছাত্র-নাগরিকের সফল জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে—আমি, আপনি, আপনারা, আমরা সবাই সেই বিকল্প। দেশের হাজারো তরুণ-যুবা-শ্রমিক ’৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মূল বাণী ছিল সাম্য, মৈত্রী এবং সামাজিক ন্যায়বিচার সেটি ফিরিয়ে আনা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, তথাপি ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপের জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। পাশাপাশি ৮ আগস্ট এ দেশের জনগণ আরেক সূর্যসন্তান নোবেল জয়ী অধ্যাপক প্রফেসর ড. ইউনূসকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। ফলে গঠিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার। এ সরকার দেশের সার্বিক কাঠামোর সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চায়। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি এ সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দেশের সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারছি। এ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সুবিধাবাদী উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো আমাদের আশপাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নৃশংস গণহত্যা, বিগত ১৫ বছরের চরম দুঃশাসন, শিবির ট্যাগ দিয়ে মানুষ হত্যা ও বিরোধী কণ্ঠ দমন, হাজার হাজার গুম, খুন, রাহাজানি, ক্রসফায়ার, আয়নাঘর, অর্থ পাচার, মেগা প্রজেক্টের নাম করে মেগা দুর্নীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও দলীয়করণের পরও পতিত সরকার এবং তাদের দোসরদের কোনো অনুশোচনা নেই। বরং বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে আমরা দেখছি দেশকে অস্থিতিশীল করতে এরা বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের মানুষের মুক্তির এ বিপ্লবকেও তারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে সদা ক্রিয়াশীল। বিপ্লবের স্পিরিট ও গণমানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে তারা জঙ্গিবাদ ও জামায়াত-শিবিরের কাজ হিসেবে উপস্থাপন করে ভারতসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন কুড়ানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় মিডিয়া ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে আসছে। সম্প্রতি তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমা গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই খবরে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে; যেটি এ মুহূর্তে আমাদের জন্য ভীষণভাবে উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশের সমাজ আগে থেকেই বহুধাবিভক্ত। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা, লিঙ্গ, রাজনৈতিক বিশ্বাস ইত্যাদির ভিন্নতা ও মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সবসময় একটি রিপাবলিক গঠন করতে চেয়েছি। কিন্তু সেটি করার জন্য খুব বেশি উপলক্ষ আমাদের সামনে ধরা দেয়নি। ২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ বাস্তবায়নের উপলক্ষ এনে দিয়েছে। এ অবস্থায় জাতিকে বিভক্ত করতে পারে এবং রিজিওনাল এবং গ্লোবাল স্টেকহোল্ডারদের সুযোগ করে দিতে পারে এমন কোনো কিছু, তা সেটি ধর্ম রক্ষার নামেও করা উচিত কিনা প্রশ্ন রাখতে চাই? একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না—এ রকম ফ্যাসিবাদী বয়ান এত সহজেই ভুলে গেলেন? আমরা কি চাই পুনরায় ফ্যাসিবাদ ফিরে আসুক? আমরা কি চাই আবু সাইদ, মুগ্ধ, ইয়ামীনদের রক্ত বৃথা যাক?

শামসুল আরেফীন: পিএইচডি গবেষক, সমাজবিজ্ঞান, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র

আরও