জাতীয় সংসদে ১১ জুন, বৃহস্পতিবার আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আসন্ন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয় কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ। এ উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি ও বিদেশী সাহায্য ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বাজেটে যা ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। তবে পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয়েছিল ৮ হাজার কোটি টাকা। করোনাভাইরাস-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তার ওপর জোর দেয়া হবে এবারের বাজেটে। তবে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে এবং এ দুই খাতেই থাকছে বিশেষ প্রণোদনা।
করোনার মতো মহামারী চলাকালীন সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে দেশের ২৬টি জেলায় কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির, টাকার অংকে ১ হাজার ১০০ কোটি। মৌসুমি ফল আম, লিচু ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে বোরো ধান, পাট, পান, সয়াবিন, তিল, শাকসবজি ও আউশ ধানের চারারও ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙে বহু কৃষকের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। গবাদি পশু মারা গেছে। লোনা পানি ঢুকে ফসলের জমি হয়ে গেছে চাষ অনুপযোগী। করোনাকালে পানির দামে শাকসবজি বেঁচে কৃষকের হয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি। শুধু কৃষি নয়, করোনার কারণে বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশের শিল্প, শিক্ষা, পরিবহন, পর্যটন, বৈদেশিক বাণিজ্য, চিকিত্সা ও আমদানি-রফতানি খাত। বিদেশ থেকে বহু কর্মজীবী মানুষের দেশে প্রত্যাবর্তন এবং চাকরি হারানোর ফলে রেমিট্যান্সের প্রবাহও যাবে কমে। বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কৃষিপণ্যের রফতানিও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বড় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এতে তিন কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। তাই আগামীতে যাতে খাদ্যের কোনো সংকট না হয়, সেজন্য সরকারি গুদামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য মজুদ করছে সরকার। পাশাপাশি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে খাদ্য ও কৃষিতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটের চেয়ে ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বেশি। এছাড়া করোনা-উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রণোদনা সুবিধার আওতায় ৪ শতাংশ রেয়াদি সুদে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষিঋণ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ ঋণ জামানত ছাড়া কৃষিকাজে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত কৃষক; ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গাচাষীসহ অন্যদের ফসল বন্ধকীকরণ চুক্তির মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এছাড়া ফুল, ফল, মত্স্য চাষ ও পোলট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা বিশেষ প্রণোদনা স্কিম গঠন করা হয়েছে। ফলে কৃষি খাতে মোট ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণপ্রবাহ সৃষ্টি হবে। এ ঋণের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা ও আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দেশের কৃষি খাত।
করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্যনিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং নতুন সৃষ্ট দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট বাজেটের ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া আসন্ন বাজেটে কৃষিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা এবং সরকারের খাদ্য মজুদ করার সামর্থ্য বৃদ্ধি, অতিদরিদ্র মানুষের জন্য করোনা-পরবর্তী ছয় মাস খাদ্য সহায়তা চালু রাখা, বাজেটে সারের ভর্তুকি কমিয়ে কৃষকদের নগদ ভর্তুকি প্রদান, কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন, দুর্যোগকালীন কৃষিবাজার ও মূল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বহু মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করার দাবিও জানানো হয় সম্প্রতি (২২.০৫.২০২০) খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের আয়োজনে ‘করোনা কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা: প্রসঙ্গ জাতীয় বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে।
করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিবাজার ব্যবস্থা, কৃষক ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের বড় একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এজন্য দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদানের সঙ্গে সংগতি রেখে কৃষকের হাতে প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ তুলে দিতে হবে। তা না হলে কৃষক প্রয়োজনীয় উপকরণ সময়মতো কিনতে পারবেন না। এছাড়া বাজার ব্যবস্থা পুনর্গঠন এবং ভোক্তা ও উৎপাদকের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে হবে। করোনাকালে কৃষিপণ্য বাজারজাতের নতুন উদ্ভাবনগুলোর সম্প্রসারণ এবং সেই সঙ্গে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে অনলাইন কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কৃষি মার্কেট প্লেস ‘ফুড ফর ন্যাশন’-এর উদ্বোধন করেছে। এছাড়া করোনা-পরবর্তী সময়ে দরিদ্র মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, কৃষিযন্ত্র উত্পাদনে দেশীয় তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা এবং পারিবারিক কৃষির প্রসারে বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে।
আমার মতে, কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ প্রণয়নকালে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
১. বিশুদ্ধ বীজের মাধ্যমে ফসলের উত্পাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। অথচ সেই বীজের জন্য আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। পাটবীজের মোট চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। পেঁয়াজ, পেঁপে, ভুট্টাসহ নানা প্রকার সবজি বীজ আমদানি করা হয় ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে এসব ফসলের উন্নত জাতের উচ্চফলনশীল বীজ দেশে উত্পাদন করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে প্রণোদনা দিতে হবে।
২. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কৃষক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে কৃষিপণ্যের জাতীয় মূল্য কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি থেকে কৃষকদের বাঁচাতে শিগগিরই শস্য বীমা চালু করতে হবে এবং এর প্রিমিয়াম সরকারকে দিতে হবে।
৪. স্বল্প ভাড়ায় এবং সুলভে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কৃষিপণ্য বোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের যমুনা ব্রিজের টোল ৫০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে।
৫. বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উত্পাদনের স্বার্থে জৈব সার, জৈব বালাইনাশক এবং বিভিন্ন ট্র্যাপিং ফাঁদের ওপর আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। প্রয়োজনে এসবের ওপর ভর্তুকি দিতে হবে।
৬. পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল, ভুট্টা ও মৌসুমি ফল উত্পাদনের ভরা মৌসুমে কৃষকের স্বার্থে এসব পণ্য আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।
৭. খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকদের সরকার নির্ধারিত প্রতি মণ ধানের মূল্য থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে খাদ্য সংগ্রহ নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
৮. বিভিন্ন কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য ফসলভিত্তিক উত্পাদন এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হিমাগার/প্রাকৃতিক হিমাগার স্থাপন করতে হবে। ৯. সেচের ভর্তুকির টাকা সেচকল মালিকদের পরিবর্তে ধান উত্পাদনকারী কৃষকদের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
১০. প্রত্যেক সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পৃথক ‘কৃষক বাজার’ চালু করতে হবে।
১১. করোনা ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি, দানা শস্য, ফুল, ফল, মত্স্যচাষী এবং পোলট্রি ও দুগ্ধ খামারিদের ক্ষতি কাটিয়ে পুনরায় উত্পাদন শুরু করার জন্য বিশেষ নগদ প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।
১২. কৃষি শ্রমিকদের মাসিক রেশন প্রদানসহ সারা বছর কর্মসৃজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩. ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক কৃষকদের বয়স্ক ভাতা নয়, পেনশন প্রথা চালু করতে হবে।
১৪. চা বাগানের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি দেশের সরকারি খামারে কর্মরত শ্রকিদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান ও চিকিত্সার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. পৌর/সিটি করপোরেশন এলাকায় ছাদ-বাগান তৈরি কাজে উত্সাহিত করার জন্য নির্দিষ্ট আয়তনের ছাদ-বাগানের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স ২৫ শতাংশ মওকুফ করতে হবে। ছাদ-বাগানিদের মধ্যে বিনা মূল্যে গাছের চারা, বীজ, জৈব সার প্রদান করতে হবে। টব, হাফড্রাম ক্রয় ও স্থায়ী বেড নির্মাণের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করতে হবে। ১৬. কৃষিপণ্যের বাজারজাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং খাদ্য বিভাগের কার্যক্রম আরো জোরদার ও গতিশীল করতে হবে।
১৭. দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উত্পাদিত ফসলের ওপর ভিত্তি করে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
১৮. বিদেশে কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়ানোর জন্য বিশ্ববাজারের চাহিদা ভিত্তিতে বিষমুক্ত নিরাপদ কৃষিপণ্য উত্পাদন এবং বিমান ভাড়া প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমাতে হবে।
১৯. আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ সুদসহ মওকুফ এবং নতুন করে ঋণ প্রদান করতে হবে।
২০. দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং লবণ পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত জমি চাষ উপযোগী করার জরুরি ব্যবস্থা ও বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে।
২১. চর ও হাওড় এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য পৃথক চর উন্নয়ন বোর্ড ও হাওড় উন্নয় বোর্ড গঠন করতে হবে।
২২. প্রতি বছর কৃষিপণ্য আমদানি বাবদ বাংলাদেশকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক এসব কৃষিপণ্য দেশে উত্পাদন করতে হবে।
বর্তমানে জিডিপির ১৪ শতাংশ আসে কৃষি থেকে। জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক রফতানি বাণিজ্যেও কৃষি খাতের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই করোনা ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি উত্পাদন, বাজার ব্যবস্থাপনার পুনর্গঠন, ও পুনরুদ্ধারের দিকে লক্ষ রেখে কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উত্পাদনে এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কৃষি অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কৃষির ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, করোনা-পরবর্তী সময়ে কৃষিই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
লেখক: সাবেক মহাব্যবস্থাক (কৃষি), নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লি.
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন
মোবাইল: ০১৭২২৬৯৬৩৮৭
ই-মেইল: [email protected]