জীবন-জীবিকার
পাশাপাশি
আমাদের
সার্বিক
উন্নয়নে
কৃষি
অনাদিকাল
থেকে
ওতপ্রোতভাবে
জড়িয়ে
আছে।
বাংলাদেশের
জিডিপিতে
কৃষি
খাতের
অবদান
১৩
শতাংশেরও
বেশি।
এ
খাতে
কর্মসংস্থান
প্রায়
৪১
শতাংশ।
বাংলাদেশ
বর্তমানে
ধান
উৎপাদনে
বিশ্বে
তৃতীয়
স্থানে
অবস্থান
করছে।
নানা
ধরনের
শাকসবজি
ও
সুস্বাদু
ফল
উৎপাদনেও
অনেক
এগিয়ে।
জাতিসংঘের
খাদ্য
ও
কৃষি
সংস্থার
হিসাবে,
বাংলাদেশে
বছরে
১০-১১
শতাংশ
হারে
ফল
চাষের
জমি
বাড়ছে।
মৌসুমি
ফল
উৎপাদনে
বাংলাদেশের
অবস্থান
বর্তমানে
দশম।
ফিশারিজ
ও
চাষকৃত
মত্স্য
উৎপাদনে
বাংলাদেশের
বৈশ্বিক
অবস্থান
যথাক্রমে
তৃতীয়
ও
পঞ্চম
স্থানে।
কৃষি
খাতে
২০১৮-১৯
অর্থবছরে
মোট
মূল্য
সংযোজন
হয়েছে
৩২
লাখ
২৩
হাজার
৯৩৮
মিলিয়ন
টাকা,
যেখানে
২০০৪-০৫
অর্থবছরে
মোট
মূল্য
সংযোজন
হয়েছিল
৭
লাখ
১৬
হাজার
২৩৮
মিলিয়ন
টাকা,
অর্থাৎ
২০০৪-০৫
থেকে
২০১৮-১৯-তে
মূল্য
সংযোজন
বেড়েছে
৪
দশমিক
৫
গুণ।
কৃষিকে
লাভজনক
করার
মাধ্যমে
সবার
খাদ্য
ও
পুষ্টিনিরাপত্তা
নিশ্চিত
করতে
এরই
মধ্যে
সরকার
গ্রহণ
করেছে
‘বিশেষ
কর্মপরিকল্পনা-২০২০’।
তবে
তার
বাস্তবায়নে
যেসব
বাধা
রয়েছে,
তার
মধ্যে
উল্লেখযোগ্য
হলো
কৃষিপণ্য
পরিবহন
ও
বাজারজাতে
তুলনামূলকভাবে
দুর্বল
অবকাঠামো।
এছাড়া
আছে
কৃষিজাত
পণ্যের
সংরক্ষণ
ও
প্রক্রিয়াজাতে
অপর্যাপ্ততা।
কৃষি অবকাঠামো
মানে
যা
কৃষি
উৎপাদন,
ক্রয়-বিক্রয়,
প্রক্রিয়াকরণ,
সংরক্ষণ
ও
বাণিজ্যকে
সহজতর
করে।
বিভিন্ন
ধরনের
অবকাঠামোর
মধ্যে
আছে
কাঁচামালভিত্তিক
অবকাঠামো
(বীজ, সার,
কীটনাশক,
খামারের
যন্ত্রপাতি
ইত্যাদি),
সম্পদভিত্তিক
অবকাঠামো
(সেচ, খামারের
সক্ষমতা
ইত্যাদি),
ভৌত
অবকাঠামো
(সড়ক যোগাযোগ,
পরিবহন,
প্রক্রিয়াকরণ,
সংরক্ষণ
ইত্যাদি)
এবং
প্রাতিষ্ঠানিক
অবকাঠামো
(কৃষি গবেষণা,
সম্প্রসারণ
ও
শিক্ষা
প্রযুক্তি,
আর্থিক
সেবা
ইত্যাদি)।
প্রথমে আসা
যাক
কাঁচামালভিত্তিক
অবকাঠামোয়।
কৃষিতে
উচ্চফলনশীল
জাতের
বীজ,
রাসায়নিক
সার,
কীটনাশক
ও
খামার
যন্ত্রপাতি
ইত্যাদি
ব্যবহারের
জন্য
শস্য
নিবিড়তা
অনেক
বেড়েছে।
শস্য
নিবিড়তা
১৯৯২-৯৩
সালে
ছিল
মাত্র
১৭৯
শতাংশ,
সেটি
বেড়ে
বর্তমানে
দাঁড়িয়েছে
১৯৪
শতাংশে।
বিভিন্ন
ফসলের
উচ্চফলনশীল
ও
হাইব্রিড
জাত
আবাদের
ফলে
সার
ও
কীটনাশকের
ব্যবহার
ব্যাপক
হারে
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
ধানের
আধুনিক
জাতের
ব্যবহার
১৯৭২
সালে
ছিল
৫
দশমিক
৬
শতাংশ,
যা
২০১৭
সালে
বেড়ে
দাঁড়িয়েছে
৮৪
দশমিক
৫
শতাংশে।
গবেষণা
প্লটের
তথ্য
অনুযায়ী,
ধান
আবাদের
জন্য
যে
পরিমাণ
পুষ্টি
উপাদান
প্রয়োজন,
তার
৪০
শতাংশ
মেটায়
রাসায়নিক
সার;
যেখানে
১৯৮৫-৮৬
সালে
তার
অবদান
ছিল
মাত্র
৩৬
শতাংশ।
একটা
সময়
ধারণা
করা
হতো
কৃষকরা
শুধু
ইউরিয়া
সারের
ওপর
নির্ভরশীল।
কিন্তু
ইউরিয়া
সারের
পাশাপাশি
অন্যান্য
সারের
ব্যবহারও
বেড়েছে
ব্যাপক
হারে।
সময়ের
সঙ্গে
পাল্লা
দিয়ে
ফসল
উৎপাদনে
বেড়েছে
খামার
যন্ত্রপাতির
ব্যবহার।
বিশেষ
করে
উৎপাদন,
প্রক্রিয়াজাত
ও
সরবরাহ
ব্যবস্থায়
খামার
যন্ত্রপাতির
ব্যবহারের
ফলে
কম
খরচ
ও
কম
সময়ে
ফসল
উৎপাদন
করা
সম্ভব
হচ্ছে।
খামার
যন্ত্রপাতির
ব্যবহার
১৯৯০
সালের
পর
ব্যাপক
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
বৃদ্ধি
পেয়েছে
ট্রাক্টর,
পাওয়ার
টিলার,
পাম্প,
থ্রেসার,
স্প্রেয়ার,
কম্বাইন্ড
হারভেস্টার
ও
রিপারের
ব্যবহার।
বর্তমানে
দেশে
প্রায়
৭০
শতাংশ
জমিতে
সেচ
দেয়া
হচ্ছে
ভূগর্ভস্থ
পাম্প
ব্যবহারের
মাধ্যমে,
৯৮
শতাংশ
জমি
প্রস্তুত
করা
হচ্ছে
ট্রাক্টর
ও
পাওয়ার
টিলারের
মাধ্যমে,
৮০
শতাংশ
ধান
মিলিং
করা
হচ্ছে
অত্যাধুনিক
চালকলের
মাধ্যমে,
৭০
শতাংশ
জমিতে
স্প্রেয়ার
ব্যবহারের
মাধ্যমে
কীটনাশক
প্রয়োগ
করা
হচ্ছে।
যদিও
পোস্ট
হারভেস্ট,
প্রক্রিয়াকরণ
ও
বাজারজাতে
খামার
যন্ত্রপাতির
ব্যবহার
এখন
পর্যন্ত
তুলনামূলকভাবে
কম।
সম্পদভিত্তিক অবকাঠামোয়
দেখা
যায়,
স্বাধীনতার
পর
বঙ্গবন্ধু
কৃষি
বিপ্লবের
ওপর
অত্যন্ত
গুরুত্ব
দিয়েছিলেন।
তাই
কৃষি
ক্ষেত্রে
সেচের
সম্প্রসারণ
ও
উন্নয়নে
নগদ
ভর্তুকি
ও
সহজ
শর্তে
ঋণ
দিয়ে
কৃষকের
মাঝে
সেচযন্ত্র
বিক্রির
ব্যবস্থা
করেন।
১৯৭১-৭২
থেকে
১৯৭৪-৭৫
সাল
এ
তিন
বছরে
গভীর
নলকূপের
সংখ্যা
৯০৬টি
থেকে
বেড়ে
২
হাজার
৯০০টি,
অগভীর
নলকূপের
সংখ্যা
৬৫৮
থেকে
বেড়ে
৪
হাজার
২৯টি
এবং
পাওয়ার
পাম্পের
সংখ্যা
২৪
হাজার
২৪৩টি
থেকে
৪০
হাজারে
দাঁড়িয়েছিল।
বর্তমানে
গভীর
নলকূপ,
অগভীর
নলকূপ
ও
পাওয়ার
পাম্পের
সংখ্যা
বেড়ে
দাঁড়িয়েছে
যথাক্রমে
৩৫
হাজার
৩২২,
১৫
লাখ
৭৫
হাজার
১৩৬
ও
৩
লাখ
৬১৩টিতে।
গভীর
নলকূপ
ও
ভূ-উপরস্থ
সেচ
ব্যবস্থার
প্রবর্তনের
মাধ্যমে
শুকনো
মৌসুমে
বোরো
ধানের
উৎপাদন
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
হাসিনার
নেতৃত্বে
বর্তমান
সরকার
সেচের
আধুনিকায়নের
মাধ্যমে
সেচ
সুবিধা
সম্প্রসারণ
ও
সেচ
খরচ
কমাতে
কাজ
করে
যাচ্ছে।
এবার আসা
যাক
ভৌত
অবকাঠামোর
দিকে।
আদিকালে
বাংলাদেশের
কৃষিপণ্য
পরিবহনের
প্রধান
বাহন
ছিল
নৌকা,
স্টিমার,
পায়ে
হাঁটা,
গরুর
গাড়ি,
বাইসাইকেল,
মোটরসাইকেল
ইত্যাদি।
পরিবহনের
ধরন
পরিবর্তন
হয়ে
বর্তমানে
ব্যবহার
হচ্ছে
ট্রাক,
বড়
স্টিমার,
কার্গো,
শীতাতপ
নিয়ন্ত্রিত
ট্রাক
ইত্যাদি।
পরিবহনের
এ
পরিবর্তনের
ফলে
কৃষি
শ্রমিকদের
চলাচল,
স্থানান্তর
এবং
সারা
বছর
ধরে
গ্রামীণ
ও
শহুরে
অঞ্চলের
মধ্যে
নিরবচ্ছিন্নভাবে
যোগাযোগ
স্থাপিত
হয়েছে।
গত
কয়েক
দশকে
গ্রামীণ
রাস্তার
দ্রুত
বিকাশের
সঙ্গে
সঙ্গে
বাংলাদেশের
সড়কের
ঘনত্বও
উল্লেখযোগ্যভাবে
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
বর্তমানে
বাংলাদেশে
১
লাখ
১৩
হাজার
২০০
কিলোমিটার
গ্রামীণ
রাস্তা
রয়েছে
এবং
প্রতি
বছর
এ
নেটওয়ার্কে
যুক্ত
হচ্ছে
ছয়
হাজার
কিলোমিটার
রাস্তা।
বিশ্বব্যাংকের
প্রতিবেদন
২০১৬
অনুযায়ী,
গ্রামীণ
অঞ্চলে
পরিবহনের
পরিবর্তনের
কারণে
যানবাহন
পরিচালনা
ব্যয়
হ্রাস
পেয়েছে
৪০
শতাংশ,
দোকান
ও
শিল্প-কারখানা
বেড়েছে
২৪
শতাংশ,
ব্যবসায়ীর
সংখ্যা
বৃদ্ধি
পেয়েছে
১৬
শতাংশ
ও
ক্রেতার
সংখ্যা
২৫
শতাংশ। গ্রামের
গণপরিবহন
যেমন
ভ্যান,
অটোরিকশা,
সিএনজি
অটোরিকশা
ইত্যাদির
মাধ্যমে
কৃষক
ও
কৃষিপণ্য
ব্যবসায়ীরা
সহজে
এবং
কম
খরচে
এক
স্থান
থেকে
অন্য
স্থানে
পণ্য
নিতে
পারছেন।
ভ্যান,
পিকআপ
ভ্যান,
ভটভটি,
করিমন,
যন্ত্রচালিত
অটোরিকশা
ইত্যাদি
ব্যবহারের
কারণে
কৃষিজমি
থেকে
পচনশীল
কৃষিপণ্য
অতিসহজে
এবং
অল্প
সময়ে
স্থানান্তর
করা
সম্ভব
হচ্ছে।
উৎপাদিত
কৃষিপণ্য
দ্রুত
বাজারজাত
করা
সম্ভব
হচ্ছে।
এতে
উৎপাদিত
পণ্যের
সংগ্রহোত্তর
ক্ষতি
কমে
যাচ্ছে।
দুধ
সংগ্রহ
ও
পরিবহন
ব্যবস্থায়
সরকারি
ও
বেসরকারি
উদ্যোগে
হয়েছে
পরিবর্তন।
মিল্ক
ভিটা,
ব্র্যাক,
আকিজ
সফলতার
সঙ্গে
দুধ
উৎপাদকদের
নিয়ে
সমবায়
সমিতি
করে
এলাকাভিত্তিক
দুধ
সংগ্রহের
ব্যবস্থা
করেছে।
প্রতিদিন
সিলভার
ক্যানে
দুধ
সংগ্রহ
করে
রিকশাভ্যান,
অটোরিকশা
ইত্যাদির
মাধ্যমে
স্থানীয়
শীতলীকরণ
প্লান্টে
নেয়া
হচ্ছে।
ডিম
সংগ্রহ
ও
সরবরাহ
ব্যবস্থায়
বেসরকারি
উদ্যোগে
যথাযথ
প্যাকেজিং
করে
পরিবহন
করায়
ডিমের
অপচয়
কম
হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধান
খাদ্যশস্য
ধান
মাঠ
থেকে
সংগ্রহের
পর
সরবরাহ
চেইনে
বিভিন্ন
ধাপ
পার
করে
চাল
হিসেবে
ভোক্তার
কাছে
পৌঁছে।
ডেইলি
স্টারের
প্রতিবেদন
অনুযায়ী,
২০০৫
সালে
সেমি-অটোমেটিক
ও
অটোমেটিক
রাইস
মিল
ছিল
২০০টি,
যা
২০১১-তে
বেড়ে
দাঁড়িয়েছে
৬০০টিতে
এবং
মোট
রাইস
মিলের
সংখ্যা
১৭
হাজারের
মতো।
বাংলাদেশ
অটো
মেজর
অ্যান্ড
হাস্কিং
মিল
ওনার্স
অ্যাসোসিয়েশন
এবং
খাদ্য
মন্ত্রণালয়ের
তথ্যমতে,
২০২০
সালে
দেশে
চালকলের
সংখ্যা
২২
হাজারের
বেশি।
মূলত
২০১১
সালের
পর
থেকে
অটোমেটিক
রাইস
মিলের
সংখ্যা
দ্রুতগতিতে
বেড়েছে।
সরকারি
হিসাবমতে
গুদামের
(সরকারি) ধারণক্ষমতা
২১
লাখ
টন
ধান-চাল।
করোনাকালীন
এলজিইডির
মালিকানাধীন
৬৯টি
খাদ্যগুদামকে
কৃষি
বিপণন
অধিদপ্তরের
শস্য
গুদাম
ঋণ
কার্যক্রমভুক্ত
করা
হয়েছে,
ফলে
কৃষিপণ্য
সংরক্ষণের
সুযোগ
বৃদ্ধি
পাবে
ব্যাপকভাবে।
পরিশেষে প্রাতিষ্ঠানিক
অবকাঠামো—কৃষি
গবেষণা,
উন্নয়ন
ও
সম্প্রসারণের
ফলে
একসময়ের
জীবন
নির্বাহের
কৃষি
আজ
বাণিজ্যিক
কৃষিতে
রূপান্তর
হচ্ছে।
সরকারের
নানামুখী
উন্নয়ন
ও
সম্প্রসারণ
কর্মকাণ্ড
যেমন
উচ্চফলনশীল
জাত
উদ্ভাবন
এবং
সম্প্রসারণ,
কৃষিশিক্ষা,
তথ্যসেবা,
সহজ
শর্তে
কৃষিঋণ
ও
সেবা
ইত্যাদির
জন্য
দেশের
শস্য
নিবিড়তা
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
কৃষিশিক্ষা,
গবেষণা
ও
সম্প্রসারণে
বাংলাদেশ
কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়সহ
আরো
পাঁচটি
কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়
কাজ
করছে।
ন্যাশনাল
এগ্রিকালচারাল
রিসার্চ
সিস্টেমের
আওতায়
বাংলাদেশ
কৃষি
গবেষণা
ইনস্টিটিউট,
বাংলাদেশ
ধান
গবেষণা
ইনস্টিটিউট,
গম
ও
ভুট্টা
গবেষণা
ইনস্টিটিউট,
সুগারক্রপ
গবেষণা
ইনস্টিটিউট,
আণবিক
কৃষি
গবেষণা
ইনস্টিটিউট,
প্রাণিসম্পদ
গবেষণা
ইনস্টিটিউট
ও
মত্স্য
গবেষণা
ইনস্টিউট
নতুন
নতুন
জাত
ও
সিস্টেম
উদ্ভাবনে
কাজ
করে
যাচ্ছে।
মাঠ
পর্যায়ে
সম্প্রসারণে
নিরলসভাবে
কাজ
করছে
কৃষি
সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর,
প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তর
ও
মত্স্য
অধিদপ্তর।
তবে
বাংলাদেশে
গত
কয়েক
দশকে
গবেষণা
ও
উন্নয়ন
খাতে
মোট
কৃষি
জিডিপির
ব্যবহার
ছিল
মাত্র
শূন্য
দশমিক
৩
থেকে
শূন্য
দশমিক
৫
শতাংশ
ও
কৃষি
বাজেটের
১২-১৬
শতাংশ।
কৃষিতে
২০১৮-১৯
সালের
সরকারি
ঋণের
পরিমাণ
বেড়ে
দাঁড়িয়েছে
৪৪০
দশমিক
২
হাজার
মিলিয়ন
টাকা,
যা
২০০২
সালে
ছিল
মাত্র
৯৬
দশমিক
৮
হাজার
মিলিয়ন,
অর্থাৎ
২০০২
সালের
তুলনায়
কৃষিতে
ঋণের
পরিমাণ
বেড়েছে
প্রায়
পাঁচ
গুণ।
২০০২
সালে
মোট
সরকারি
বিতরণকৃত
ঋণের
মধ্যে
কৃষিঋণের
পরিমাণ
ছিল
১২
দশমিক
৫৭
শতাংশ,
যা
২০১৮
সালে
কমে
দাঁড়িয়েছে
৫
দশমিক
২
শতাংশে।
কৃষি
ক্ষেত্রে
সেলফোনের
ব্যবহার
প্রায়
৯৫
শতাংশ।
অনলাইনে
কৃষিপণ্যের
বাজার
ও
মূল্য
সম্পর্কিত
তথ্যাবলি
কৃষকদের
অবগত
করার
উদ্যোগ
নেয়া
হয়েছে।
কৃষিপণ্য
বাজারজাতে
অনলাইন
প্লাটফর্ম
‘ফুড
ফর
নেশন’-এর
অভিযাত্রা
হয়েছে।
কৃষির কাঁচামালভিত্তিক
অবকাঠামো,
সম্পদভিত্তিক
অবকাঠামো,
ভৌত
অবকাঠামো
ও
প্রাতিষ্ঠানিক
অবকাঠামোয়
পরিবর্তনের
ফলে
বাংলাদেশের
কৃষির
উন্নয়ন
আজ
দৃশ্যমান।
কৃষির
অনেক
উপখাতের
উৎপাদনে
বাংলাদেশ
আজ
বিশ্বের
প্রথম
দিকের
সারিতে
অবস্থান
করছে।
কৃষিতে
আরো
অধিকতর
উন্নয়নের
মাধ্যমে
কৃষির
সব
উপখাতকে
বাণিজ্যিক
কৃষিতে
রূপান্তর
করতে
হলে
কৃষির
সব
স্তরের
অবকাঠামোয়
আনতে
হবে
আমূল
পরিবর্তন।
তার
জন্য
যা
যা
করা
যেতে
পারে
তা
হলো,
উৎপাদন
ব্যয়
হ্রাস,
উচ্চমানসম্মত
পণ্য
উৎপাদন
এবং
ফসল
উত্তোলন-পরবর্তী
ক্ষতি
কমাতে
কৃষি
সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের
পাশাপাশি
বিভিন্ন
বেসরকারি
সংস্থার
সমন্বিত
কৃষি
উন্নয়ন
প্রকল্প
বাস্তবায়ন
করে
এলাকা
উপযোগী
ফসলের
জাত
উন্নয়ন,
কৃষি
প্রযুক্তি
সম্প্রসারণ,
সেচ
অবকাঠামো
সম্প্রসারণসহ
জমিতে
সেচ
দক্ষতা
বৃদ্ধি,
সেচ
পরিচালনায়
সৌরশক্তির
ব্যবহার
বৃদ্ধি
করা।
কৃষিপণ্যের সংগ্রহোত্তর
প্রযুক্তি
যেমন
বাছাইকরণ,
প্যাকেজিং,
পরিবহন,
সংরক্ষণ,
প্রক্রিয়াজাত,
বিপণন
কৌশল
ইত্যাদির
ওপর
প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে
কৃষক
ও
ব্যবসায়ীদের
দক্ষ
করে
গড়ে
তুলতে
হবে।
এক্ষেত্রে
শুধু
সরকারি
নয়,
বেসরকারি
উদ্যোক্তা
ও
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে
এগিয়ে
আসতে
হবে।
উন্নত
যোগাযোগ
ব্যবস্থা
ও
পরিবহন
ব্যবস্থায়
বিদ্যমান
সমস্যা
সমাধানের
পাশাপাশি
গ্রাম,
উপজেলা
ও
শহরের
কৃষি
বাজারগুলোর
ভৌত
অবকাঠামোগত
উন্নয়ন
করা
প্রয়োজন।
যেমন
পণ্য
রাখার
জন্য
প্লাটফর্ম,
ওয়াশিং
রুম,
বাছাইকরণ,
পয়োনিষ্কাশন,
স্টোররুমসহ
পণ্য
পরিমাপের
সরঞ্জাম
ও
বাজারের
পাশে
লোডিং-আনলোডিং
পয়েন্ট
স্থাপন
করার
জন্য
প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ
গ্রহণ
করা।
কৃষির আধুনিকীকরণে
প্রয়োজন
পরিবহন
ব্যবস্থায়
বিশেষ
করে
দীর্ঘ
পরিবহনে
সবজি,
ফল
ও
অন্যান্য
কৃষিপণ্যের
প্রকার
অনুযায়ী
যথোপযুক্ত
কুলিং
ভ্যান
বা
শীতলীকরণ
ট্রাকের
ব্যবস্থা
করা।
পাশাপাশি
দেশের
নৌপথ
ও
রেলপথগুলোকে
কৃষিপণ্য
পরিবহনে
বেশি
করে
ব্যবহার
করা
যেতে
পারে।
নিরাপদ
সরবরাহ
ব্যবস্থা
নিশ্চিতকরণে
সরকারি
ও
বেসরকারি
উদ্যোগে
এ
কাজগুলো
করা
প্রয়োজন।
আমাদের দেশের
কৃষকশ্রেণীর
অধিকাংশই
ক্ষুদ্র
ও
প্রান্তিক
কৃষক।
তাদের
রয়েছে
প্রয়োজনীয়
প্রশিক্ষণের
অভাব,
নেই
সবজি
ও
ফলমূলের
মতো
পচনশীল
কৃষিপণ্যের
পর্যাপ্ত
সংরক্ষণাগার
ও
পরিবহন
ব্যবস্থা।
উৎপাদন
মৌসুমে
যথাযথ
বাছাই,
প্যাকেজিং,
সংরক্ষণ
ও
পরিবহন
ব্যবস্থা
না
থাকার
জন্য
কৃষকের
মাঠ
থেকে
ভোক্তা
পর্যন্ত
পৌঁছতে
২০-৪০
শতাংশ
পণ্যের
অপচয়
হচ্ছে।
গবেষণার
ফল
অনুযায়ী
টমেটো
সংগ্রহ
থেকে
স্থানীয়
ভোক্তাবাজারে
পৌঁছানো
পর্যন্ত
স্তূপাকারে
সংরক্ষণ
ও
পরিবহনের
সময়
ঝাঁকুনির
কারণে
প্রায়
১৩
শতাংশ
টমেটো
নষ্ট
হচ্ছে।
স্থানীয়
আড়তদারদের
যথাযথ
সংরক্ষণ
ব্যবস্থা
না
থাকায়
নষ্ট
হচ্ছে
প্রায়
৪
শতাংশ
টমেটো।
কলা
মাঠ
থেকে
স্থানীয়
বাজারে
নেয়ার
সময়
নষ্ট
হয়
প্রায়
৩
শতাংশ।
আড়তদার/পাইকারি
পর্যায়ে
সংরক্ষণ
ও
পরিবহন
ব্যবস্থা
না
থাকায়
নষ্ট
হচ্ছে
প্রায়
৫
শতাংশ।
কৃষকদের
দলগতভাবে
ফসল
উৎপাদনে
আগ্রহী
এবং
কৃষকের
সঙ্গে
চুক্তিবদ্ধ
চাষাবাদের
মাধ্যমে
সরাসরি
সুপারশপ,
রফতানিকারক,
প্রক্রিয়াজাতকারকদের
সঙ্গে
সংযোগ
স্থাপন,
কৃষকের
বাজার,
পাইকারি
বাজার,
ডিজিটাল
ই-শপ
ইত্যাদি
গঠন
করে
এ
ক্ষতির
পরিমাণ
অনেক
কমিয়ে
আনা
সম্ভব।
কৃষি খামারের
আকার
মাথায়
রেখে
স্কেলবান্ধব
কৃষি
যন্ত্রপাতির
উৎপাদন
ও
সার্ভিস
সেন্টার
দেশের
কয়েকটি
অঞ্চলে
(যেমন বগুড়া,
চুয়াডাঙ্গা
ইত্যাদি)
গড়ে
উঠেছে।
সরকারি
নীতি
সহযোগিতায়
বগুড়া,
চুয়াডাঙ্গার
মতো
কৃষি
যন্ত্রপাতি
উৎপাদন,
মেরামত
ও
সার্ভিস
সেন্টার
দেশের
অন্য
এলাকাগুলোয়
গড়ে
তোলা
যেতে
পারে।
এক্ষেত্রে
বেসরকারি
উদ্যোক্তা
তৈরি
করা
প্রয়োজন।
কৃষি
আধুনিকীকরণ
করতে
হলে
কৃষির
অবকাঠামোর
আধুনিকীকরণ
করা
প্রয়োজন।
কৃষি
অবকাঠামোগত
আধুনিকীকরণ
করে
কৃষিকে
বাণিজ্যে
রূপান্তর
করতে
হলে
অবশ্যই
কৃষির
সব
পর্যায়ে
অবকাঠামোগত
পরিবর্তন
প্রয়োজন।
উৎপাদন
থেকে
বিপণন
পর্যন্ত
সর্বস্তরেই
তা
করতে
হবে।
উৎপাদনের
(যেমন রোপণ,
চারা
ট্রান্সপ্লান্টিং,
সার
প্রয়োগ
ইত্যাদি)
ও
বিপণনের
(শীতলীকরণ ট্রাক,
গুদামঘর,
বরফকল,
স্বাস্থ্যসম্মত
ও
আধুনিক
সুবিধা-সংবলিত
বাজার
ইত্যাদি)
বিভিন্ন
স্তরে
পর্যায়ক্রমে
অবকাঠামোগত
পরিবর্তন
একদিকে
যেমন
কৃষকদের
উৎপাদন
খরচ
কমাবে,
অন্যদিকে
তাদের
কৃষিপণ্য
বাজারজাতে
সরাসরি
সহায়তা
করবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি,
কৃষিজমি
কমতে
থাকাসহ
জলবায়ু
পরিবর্তনের
ফলে
বন্যা,
খরা,
লবণাক্ততা
ও
বৈরী
প্রকৃতিতে
খাদ্যশস্য
উৎপাদনে
বাংলাদেশ
উন্নতি
সাধন
করতে
পারলেও
কৃষি
বহুমুখীকরণ,
প্রক্রিয়াজাত
ও
বাণিজ্যিক
ব্যবস্থাপনায়
তুলনামূলকভাবে
পিছিয়ে।
বর্তমান
কৃষিবান্ধব
সরকারের
সুনির্দিষ্ট
পরিকল্পনায়
কৃষি
অবকাঠামো
সম্প্রসারণের
মাধ্যমে
কৃষি
বহুমুখীকরণ,
প্রক্রিয়াজাত
ও
বাণিজ্যিকীকরণ
ব্যবস্থাপনা
গড়ে
তোলার
প্রচেষ্টা
অব্যাহত
রাখতে
হবে।
রূপকল্প
২০২১,
টেকসই
উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা
২০৩০
এবং
রূপকল্প
২০৪১-এর
আলোকে
জাতীয়
কৃষিনীতি
২০১৮
ও
তার
কর্মপরিকল্পনা,
অষ্টম
পঞ্চবার্ষিক
পরিকল্পনা,
জাতীয়
খাদ্য
ও
পুষ্টিনিরাপত্তা
নীতি
২০২০,
জাতীয়
টেকসই
উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা,
ডেল্টা
প্ল্যান
২১০০
এবং
অন্যান্য
পরিকল্পনা
দলিলের
আলোকে
সময়াবদ্ধ
কৃষি
ও
খাদ্য
ব্যবস্থা
রূপান্তরের
পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন
হলে
কৃষি
ক্ষেত্রে
আমূল
অবকাঠামোগত
পরিবর্তন
হবে,
যার
মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর
স্বপ্নের
সোনার
বাংলা
বাস্তবে
রূপ
পাবে।
সাম্প্রতিক
করোনা
মহামারী
দেখিয়েছে
আপত্কালীন
কৃষিই
হলো
জীবন-জীবিকার
প্রধান
মাধ্যম
এবং
আধুনিক
কৃষিই
হবে
প্রতিযোগিতামূলক
বিশ্বে
ভবিষ্যতেও
টিকে
থাকার
হাতিয়ার।
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম: অধ্যাপক, কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ