অভিমত

সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে খাদ্যনিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

বাংলাদেশ জনসংখ্যায় পৃথিবীতে অষ্টম কিন্তু আয়তনে পৃথিবীর ৯৪তম দেশ। এখানে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র একটি ভূখণ্ড থেকে এ বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের সংস্থান করা নিঃসন্দেহে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে সেই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ কৃষির অন্যান্য

বাংলাদেশ জনসংখ্যায় পৃথিবীতে অষ্টম কিন্তু আয়তনে পৃথিবীর ৯৪তম দেশ। এখানে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র একটি ভূখণ্ড থেকে এ বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের সংস্থান করা নিঃসন্দেহে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে সেই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ কৃষির অন্যান্য ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় উন্নতি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন। খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিনিরাপত্তা এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা সরকারের আগামীর লক্ষ্য। বাংলাদেশের কৃষির এরই মধ্যে খোরপোষ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর ঘটেছে। আগামী দিনে রফতানিমুখী কৃষিতে আমরা অবস্থান করে নিতে চাই। 

মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার শীর্ষে খাদ্যের অবস্থান। ‘খাদ্যনিরাপত্তা’ সাম্প্রতিক কালে বৈশ্বিক উন্নয়ন ভাবনার শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে সহস্রাব্দের উন্নয়ন অভিলক্ষ্য ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টতে। এ দুটি অভিলক্ষ্যের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী ‘ক্ষুধার অবসান’। এসডিজির ১৭টি অভিলক্ষ্যের মধ্যে দুই নম্বরে স্থান পেয়েছে ‘ক্ষুধার অবসান’। অর্থাৎ পৃথিবীর সব মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। খাদ্যের জোগানের পর্যাপ্ততা, খাদ্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও নিরাপদ হওয়া এবং সব নাগরিকের খাদ্যের অধিগম্যতা বা প্রাপ্তি—এ চার মাত্রার সমন্বয়ই হলো খাদ্যনিরাপত্তা। এক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান ব্যবস্থা অটুট থাকা ও নাগরিকদের বাজার থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনে খাওয়ার সামর্থ্য অর্জনই মূল কথা। খাদ্যের জোগান কেবল দেশজ উৎপাদননির্ভর নয়, অনেকাংশে তা বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। 

কভিড-পরবর্তী বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি খাদ্যনিরাপত্তার প্রশ্নে এক গভীর সংকট তৈরি করেছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তাকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। ইউক্রেনে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্যপণ্য গমজাত খাদ্যের বাজার ও পরিশোধিত তেলের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। দেশে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে নানা সংকট সৃষ্টি হওয়ায় রাসায়নিক সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলারের বিনিময়মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি উপকরণের আমদানি মূল্য বেড়েছে। সামগ্রিক কারণে সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে, যা আগামীর খাদ্যনিরাপত্তার জন্য গভীর সংকট তৈরি করতে পারে। 

এ অবস্থা উত্তরণের জন্য কিছুদিন আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের কৃষি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কভিড-১৯ মহামারীর দুটি ঢেউয়ের পর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব আরেকটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। তাই আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে এবং সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা উচিত নয়, বরং আমরা যে যা পারি তা উৎপাদন করতে হবে।’ গত ১১ এপ্রিল ২০২২ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার জমি থেকে কিছু না কিছু উৎপাদন করা। যা শুধু তাদের চাহিদাই মেটাবে না, দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হতেও সাহায্য করবে।’ জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব সংকটের কারণে দেশ যাতে কোনো সংকটের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বার্তা প্রচার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।’

শতবছরের মধ্যে পৃথিবী এখন সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পতিত। ২০২৩ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এফএওর মতে, চলতি বছরেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন কমবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। তাদের মতে, বিশ্বের ৪৫টি দেশে ঘাটতিজনিত মারাত্মক খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবীর অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো খাদ্য সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এতে একসময় টাকা থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য নাও মিলতে পারে। কারণ উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে।

বাংলাদেশে মোট ১ কোটি ৬১ লাখ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ রয়েছে ৮৬ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে আবাদযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ৪ লাখ ৩২ হাজার হেক্টর। দেশে রোপা আমন-পতিত-বোরো ধান শস্যবিন্যাসে প্রায় ২২ লাখ হেক্টর জমি সাময়িক পতিত থাকে। এসব আবাদযোগ্য পতিত জমি যদি আবাদের আওতায় আনা যায়, তাহলে আমাদের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় তা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। এ সাময়িক পতিত জমিতে ভোজ্যতেল ফসল সরিষা আবাদের এক অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তেলের আমদানি নির্ভরতা কমে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। 

আমাদের আছে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ বসতভিটা। দেশের বসতবাড়ির গড় আয়তন শূন্য দশমিক শূন্য ২ হেক্টর। কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১৬৫ দশমিক ৬২ লাখ এবং আবাদযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ২ দশমিক ২৩ লাখ হেক্টর। এ জমিগুলো আবাদের আওতায় আনতে পারলে পারিবারিক পুষ্টিচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পরিবারের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প কাজ করছে। বসতভিটার ক্ষুদ্র একখণ্ড খালি জায়গায় পরিকল্পিত উপায়ে শাকসবজি ফলমূল চাষ করে সারা বছরের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব। 

বাংলাদেশে পাহাড়ি বনের পরিমাণ প্রায় ১৩ দশমিক ৭৭ লাখ হেক্টর আর গ্রামীণ বন রয়েছে ৭ দশমিক ৭৪ লাখ হেক্টর। বাংলাদেশের ১২ ভাগ এলাকা নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল গঠিত। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা বলছে, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান—এ তিন পার্বত্য জেলায় অন্তত পাঁচ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এ জমিগুলো কাজুবাদাম ও কফি চাষাবাদের উপযোগী যা দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে পারে। মাননীয় কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশনায় পাঁচ বছর মেয়াদি ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। 

এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পতিত জমি চাষের আওতায় আনা দরকার। আমাদের দেশে টিঅ্যান্ডটি, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পতিত জমি রয়েছে। লিজ ভিত্তিতে এসব জমি সহজেই চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। বিশেষ করে রেললাইন, রাস্তাঘাট, বাঁধের পার্শ্ববর্তী জমি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পার্ক, লাইব্রেরি কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ের পার্শ্ববর্তী জমিগুলো অনায়াসেই আবাদের আওতায় আনা যায়। এছাড়া বর্তমানে বসতবাড়ির ছাদে বাগান সৃজন একটি জনপ্রিয় কর্মসূচি। এ নগর কৃষিকে বেগবান করতে সরকারি পর্যায়ে ৭৬টি হর্টিকালচার সেন্টারগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ দেশের ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প চলমান রয়েছে যা ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে। কৃষি প্রণোদনার ক্ষেত্রে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখনকার সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। ২০২০-২১ অর্থবছরে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, মুগ, পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ সহায়তা বাবদ ৮ হাজার ৬৪৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। 

যেহেতু আমাদের আবাদি জমি সীমিত তাই আবাদি জমির ফসল নিবিড়তা ও উল্লম্ব ব্যবহার বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই। যদিও স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে বাংলাদেশে আবাদি জমিগুলোয় ফসল নিবিড়তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সাথী ফসল, রিলে ফসল, আইল ফসল প্রভৃতি চাষের মাধ্যমে জমির ফসল নিবিড়তা বৃদ্ধি করা যায়। আমাদের দেশে অধিকাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়। এসব জমির আইলে লতাজাতীয় সবজি চাষ করা যায়। এছাড়া জমি থেকে আলু তোলার পর পরই সে জমিতে বিনা চাষে ভুট্টার চাষ করা যায়। অনেক এলাকায় ধান কাটার পর পরই সে জমিতে বিনা চাষে একটি স্বল্পমেয়াদি ডালজাতীয় ফসল চাষ করা যায়। এর মাধ্যমে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি মাটিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানেরও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়। 

কৃষিই খাদ্যের আধার। তাই কৃষি ব্যবস্থার নিরন্তর উন্নয়ন আবশ্যক। আর এ উন্নয়ন সাধনে উত্তরোত্তর উচ্চতর গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের এক বড় শিকার বাংলাদেশ। এ কারণে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি খরা, লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, নদীভাঙন প্রভৃতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ফসলের জাত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধী অধিক ফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহনশীল ও উত্তরাঞ্চলের জন্য খরা সহনশীল লাগসই ফসলজাত উদ্ভাবন প্রয়োজন। পাশাপাশি গবেষণা মাঠে প্রাপ্ত ফলনের সঙ্গে কৃষকের মাঠে প্রাপ্ত ফলনের তফাৎ কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হলে কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দেয়া আবশ্যক। উদ্ভিদ ও প্রাণীর উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতির উন্নয়ন, যন্ত্রের ব্যবহার, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির আধুনিকায়নে উদ্ভাবন জরুরি।

আমরা বলে থাকি কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি। কৃষকরাই এ দেশের প্রাণ। অন্যদিকে দেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের কম। এ বর্ধিত তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করতে হলে কৃষিতে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমরা খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন করেছি, এখন আমাদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অধিকতর মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। কৃষি নিয়ে আমাদের স্বপ্ন অনেক। এ দেশের মাটি ও মানুষ আমাদের সম্পদ। এ সম্পদকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। 

আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ: চেয়ারম্যান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আরও