আলোকপাত

গ্রামে উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণ ও তা মোকাবেলায় করণীয়

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত গত ফেব্রুয়ারির মূল্যস্ফীতিবিষয়ক প্রতিবেদনে দেখা যায়, টানা পাঁচ মাস পর একদিকে যেমন সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে শহরের চেয়ে গ্রামে এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি মাত্রায়। গত ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে, যা গত জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারিতে যখন শহরে সার্বিক

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত গত ফেব্রুয়ারির মূল্যস্ফীতিবিষয়ক প্রতিবেদনে দেখা যায়, টানা পাঁচ মাস পর একদিকে যেমন সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে শহরের চেয়ে গ্রামে এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি মাত্রায়। গত ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে, যা গত জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারিতে যখন শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশে, তখন গ্রামে এ হার ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় দিক থেকেই গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে শহরে যখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, তখন গ্রামে তা ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। শহরের চেয়ে এ হার দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। আর শহরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬১ শতাংশের বিপরীতে গ্রামে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে এ হার দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। গ্রামাঞ্চলের মানুষের আয়ের উৎস খুবই সীমিত। তাই মূল্যস্ফীতির উচ্চহার তাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে উচ্চমূল্যস্ফীতি কীভাবে সেখানকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে এবং কীভাবে তা কিছুটা লাঘব করা যেতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

গ্রামে উচ্চমূল্যস্ফীতির জন্য যেসব কারণকে দায়ী করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—এক. গ্রামে উৎপাদিত নিত্যপণ্য মজুদ রাখার ব্যবস্থার অভাব: কৃষিভিত্তিক নিত্যপণ্য গ্রামে উৎপাদন হলেও সেখানে এসব নিত্যপণ্য মজুদ রাখার সুবিধার অভাবে মজুদ গড়ে উঠছে শহরে। উৎপাদনের পর পরই সেগুলোর বেশির ভাগই কৃষকের হাত থেকে চলে যাচ্ছে শহুরে মজুদদারদের নিয়ন্ত্রণে। তারা কম দামে কিনে বেশি দামে গ্রামের মানুষের কাছে বিক্রি করছে। এতে পরে নিজের উৎপাদিত পণ্যই বাড়তি দামে কিনছেন কৃষকসহ গ্রামের জনগণ। 

দুই. রেমিট্যান্সের অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়: প্রবাসী শ্রমিকদের বেশির ভাগ দেশের গ্রামাঞ্চলের। রেমিট্যান্সের অর্ধেকের বেশি যাচ্ছে গ্রামে। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, গ্রামে আসা রেমিট্যান্সের ৫৩ শতাংশই ভোগবিলাসে ব্যবহার হচ্ছে। এ থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। 

তিন. গ্রামে সঞ্চয়ের প্রবণতা হ্রাস ও ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মোট সঞ্চয়ের মধ্যে গ্রামে ছিল ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ। এক বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা ২১ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ওই সময়ে শহরে আমানত বেড়েছে। অন্যদিকে মোট ঋণের মধ্যে গ্রামে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা বেড়ে ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে শহরে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৮৮ দশমিক ২৭ শতাংশ হয়েছে। 

এখন দেখা যাক, উচ্চমূল্যস্ফীতি কীভাবে গ্রামের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে গ্রামে উৎপাদিত নিত্যপণ্য মজুদ রাখার সুবিধার অভাবে মজুদ গড়ে উঠছে শহরে এবং গ্রামের মানুষ নিজেদের উৎপাদিত পণ্য পরে বেশি দামে কিনছেন। এ যুক্তির সমর্থনে দেশের প্রধান খাদ্য চালের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। খাদ্যের বেশ কয়েকটি উপাদান থাকলেও বাংলাদেশে খাদ্য বলতে মূলত চাল থেকে তৈরি ভাতকে বোঝায়। শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেশি পরিমাণে ভাত খায়। বিবিএসের সর্বশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১৬ থেকে দেখা যায়, জাতীয় পর্যায়ে মাথাপিছু দৈনিক চাল ভোগের পরিমাণ ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম। আর শহরে যখন মাথাপিছু দৈনিক চাল ভোগের পরিমাণ ৩১৬ দশমিক ৭ গ্রাম, তখন গ্রামে এর পরিমাণ ৩৮৬ দশমিক ১ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে মাথাপিছু দৈনিক চাল ভোগের পরিমাণ বেশি হওয়ার হওয়ার পেছনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক. আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের পক্ষে আমিষজাতীয় খাদ্য, যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূল প্রয়োজন অনুযায়ী সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব, মার্কিন ডলারের তুলনায় দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতির উচ্চহার ইত্যাদি কারণে এ অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৯ মার্চ প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে মাংস খাওয়া কমিয়েছে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার। মাছ খাওয়া কমিয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ পরিবার। ডিম খাওয়া কমিয়েছে ৭৭ শতাংশ পরিবার। তৈলাক্ত খাবার কমিয়েছে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ পরিবার। এতে পরিবারে চালের ওপর নির্ভরশীলতা আরো বাড়ছে। খ. চাল আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গম। বিবিএসের হায়েস ২০১৬ অনুযায়ী, দেশে জাতীয় পর্যায়ে মাথাপিছু দৈনিক গমের ব্যবহার ১৯ দশমিক ৮ গ্রাম। শহর ও গ্রামে এর পরিমাণ যথাক্রমে ২৬ দশমিক ২ ও ১৭ দশমিক ৪ গ্রাম। ২০০৫ সালের হায়েসে জাতীয় পর্যায়ে মাথাপিছু দৈনিক খাদ্য হিসেবে গমের ব্যবহার ছিল ১২ দশমিক ১ গ্রাম। শহর ও গ্রামে এ হার ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫ ও ৮ গ্রাম। গমের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যসচেতনতা, মোটা চালের তুলনায় গমের কম দাম এবং গমের আটা-ময়দা থেকে তৈরি বিস্কুট, কেক প্রভৃতি বিদেশে রফতানি। দেশে গমের মোট চাহিদার (কমবেশি ৭০ লাখ টন) ৮০ শতাংশের বেশি মেটাতে হয় আমদানির মাধ্যমে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনসহ কৃষ্ণ সাগরীয় দেশগুলো থেকে পণ্যটির রফতানি একসময় ব্যাহত হওয়া, বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রভাব এবং দেশে ডলারের তুলনায় টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গমের দাম ৬০ শতাংশের বেশি বেড়ে যাওয়ায় (এক কেজি মোটা চালের দাম যখন ৫০ টাকা, তখন এক কেজি আটার দাম ৬০ টাকা) গমের ভোক্তারা চালের দিকে ঝুঁকছেন। গ. গ্রামের অধিকাংশ মানুষকে জীবিকা নির্বাহের জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। ভাত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের অন্যতম প্রধান উৎস হওয়ায় এটি তাদের শারীরিক পরিশ্রমের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়।

গ্রামে ধান উৎপাদিত হলেও আমন ও বোরো ধান কাটা-মাড়াই মৌসুমে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে কম দামে বাজারে ধান ক্রয় করেন। এক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুনে ধানের মজুদে বড় ও মাঝারি কৃষকের অংশ ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের ঘরে মৌসুম শেষে বিক্রির জন্য কোনো ধান থাকে না বিধায় তাদের এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাকি ৮০ শতাংশের মধ্যে ৬০ শতাংশের কিছুটা বেশি মজুদ ছিল চালকল মালিকদের কাছে। অবশিষ্ট কমবেশি ২০ শতাংশ মজুদ ছিল ধান ব্যবসায়ীদের কাছে। ধান কাটা মৌসুমে গ্রাম থেকে কম দামে ধান কিনে মজুদ করেন এবং মৌসুম শেষে চালে রূপান্তরিত করে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন। এ চালের বেশির ভাগ ক্রেতা গ্রামে বসবাসকারী দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। এভাবে গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যটি কাটা-মাড়াই মৌসুমে কম দামে বিক্রি করে পরে উচ্চ দামে কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যারা আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে প্রয়োজনীয় চাল কিনতে পারছেন না, তাদের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে হায়েস ২০১৬ অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মসিক মোট ব্যয়ের ৪৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ব্যয় হয় খাদ্যে। গ্রামে খাদ্যে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে ব্যয় হয় ৪২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গ্রামের সাধারণ মানুষ খাদ্যে যে ব্যয় করেন তার কমবেশি ৮০ শতাংশ চালে। তাই চালের মূল্যস্ফীতিতে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষকে খাবারের চাল সংগ্রহ করতে বেশি পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য বিরাট আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

খাদ্যবহির্ভূত পণ্যাদির জন্য গ্রামের মানুষকে পুরোপুরি শহরের ওপর নির্ভর করতে হয়। পরিবহনসহ অদৃশ্য খাতে ব্যয়ের জন্য শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যাদির দাম বেশি। উদাহরণস্বরূপ, বিবিএসের তথ্যানুযায়ী গ্রামে যখন কাপড় ও জুতার দাম বেড়েছে ১৯ শতাংশ, তখন শহরে বেড়েছে ১৪ শতাংশ। গণপরিবহন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতে মূল্যস্ফীতির হার গ্রামে দশমিক ২৭ শতাংশ, শহরে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। বিনোদন খাতে গ্রামে বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ, শহরে বেড়েছে দশমিক ১৯ শতাংশ। বিবিধ খাতে গ্রামে বেড়েছে ৪১ শতাংশ, শহরে বেড়েছে ২২ শতাংশ। 

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে গ্রামের মানুষের আয়ের উৎস শহরবাসীর তুলনায় অনেক কম। তাই শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির উচ্চহার উদ্বেগের বিষয়। এ সমস্যা মোকাবেলায় যা প্রয়োজন তা হলো গ্রামের মানুষের আয় বাড়ানো। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের আবাসস্থল গ্রামে। বেশি পরিমাণে সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। কৃষি খাতের, বিশেষ করে শস্য উপখাতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে খাদ্যশস্যের প্রবৃদ্ধি হার বাড়াতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামের মানুষের, বিশেষ করে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসার উদ্যোগ সৃষ্টিতে সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। দেশের জিডিপিতে এখন সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে এটি এখন পর্যন্ত মূলত শহরকেন্দ্রিক। গ্রামে সেবা খাতের কার্যক্রম, বিশেষ করে ব্যবসা, পরিবহন, টেলিকম, রিয়াল এস্টেট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির ব্যাপক প্রসারের ব্যবস্থা নিতে হবে। রেমিট্যান্সের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’—সরকারের এ ধারণা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা গেলে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির উচ্চহার মোকাবেলায় অনেকটা সক্ষম হবে।

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক সচিব

আরও