কৃষিতে বাংলাদেশের যেমন সফলতা ও সম্ভাবনা আছে তেমনি আছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো- কৃষি শ্রমিকের সংকট, কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্যের অনিশ্চয়তা, সংগ্রহোত্তর অপচয়, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অভাব, পরিবহন ও সুষ্ঠু বাজারব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য পুঁজি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ক্ষুদ্র কৃষি জমি ও যান্ত্রিকীকরণের অপ্রতুলতা। এছাড়া রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার, গুণগতমানের বীজের অভাব, কৃষির প্রতি তরুণ প্রজন্মের অনীহা, কৃষি বীমার ব্যবস্থা না থাকা, কৃষি জমি হ্রাস, কৃষি বিনিয়োগে অনাগ্রহ, ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোর গড়িমসি এবং সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃষক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ের ঘাটতির মতো বিষয়গুলো।
জাপানের সাথে বাংলাদেশের অনেক বিষয়ে মিল আছে। জাপানিরা ভাত-মাছ খায়। দেশটির জনসংখ্যা ১২ কোটি ৬০ লাখ, আমাদের ১৬ কোটি ৫০ লাখ। জাপানে মোট জন সংখ্যার শতকরা ৪ ভাগ ও আমাদের ৪০ ভাগ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। জাপানের জিডিপিতে কৃষির অবদান শতকরা ২ ভাগ এবং আমাদের অবদান শতকরা ১৩ দশমিক ৬৫ ভাগ। বাংলাদেশে মোট জমির ৫৮ শতাংশ এবং জাপানে মোট জমির ১৩ শতাংশ চাষযোগ্য। ওই জমির একটি বড় অংশ আবার পাহাড়ি খাড়া অঞ্চল। সেখানে তাকের মতো স্তরে স্তরে কেটে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয়। দেশটির আবহাওয়া কৃষি উপযোগী। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয় এবং মাটিও উর্বর। অনুকূল আবহাওয়া, জমির উৎপাদক শক্তি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প জমি থেকে অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে জাপান। কৃষিতে বাংলাদেশের ও সফলতাও কম নয়; স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বাংলাদেশে কৃষিতে ঘটেছে এক নীরব বিপ্লব। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বে ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে দশম। এ সফলতার পেছনে রয়েছে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ।
জাপানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অল্প সময়ে কৃষক একাই অনেক বেশি পরিমাণ জমি চাষাবাদ করতে পারেন। জমি চাষ, চারা তৈরি, চারা রোপণ, ফসল কাটা, মাড়াই এবং বাজারজাতকরণের উপযোগী করা- সব কিছুই কৃষক যন্ত্রের সাহায্যে করতে পারেন। এটাই হলো আধুনিক জাপানি কৃষির বৈশিষ্ট্য। জাপানে হেক্টর প্রতি চালের উৎপাদনও আমাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। আমাদের দেশে হেক্টর প্রতি চালের গড় উৎপাদন ২ দশমিক ২০ টন, জাপানে হেক্টর প্রতি চালের উৎপাদন ৬ দশমিক ৫৪ টন। তারপরও জাপানকে প্রচুর খাদ্য শস্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
উৎপাদন বৃদ্ধি, খরচ হ্রাস এবং কৃষি শ্রমিকের সংকট উত্তরণের মাধ্যমে কৃষিকে টেকসই করতে হলে কৃষি যন্ত্রপাতির বিকল্প নেই।বিকল্প নেই কৃষিতে বৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। এজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য বড় ধরনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে ৫১ হাজার ৫০০ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মতো কম সময়ে জমি চাষ, চারা রোপণ, ফসল কাটা, মাড়াই করতে পারবেন কৃষক। ফলে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সংগ্রহত্তোর অপচয় হ্রাস, ৫০ ভাগ সময় এবং ২০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। কৃষিযন্ত্রে হাওর এলাকায় ক্রয় মূলের শতকরা ৭০ এবং অন্যান্য স্থানে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দেবে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধান ও গমের জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, রিপার বাইন্ডার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, সিডার, পাওয়ার থ্রেসার, মেইজ শেলার, ড্রায়ার প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পাওয়ার স্প্রেয়ার, উইডার, ডিগার, ক্যারেট ওয়াশার এবং আলুর চিপস তৈরির যন্ত্র কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। এসব যন্ত্রে ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ হবে ২ হাজার ৫৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা প্রকল্পের প্রায় ৮৬ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। যন্ত্রপাতি সরবরাহ ছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ মেকানিক, কৃষি কর্মকর্তা, যৌথ জমি ব্যবহারকারী কৃষক এবং যন্ত্র উপযোগী ধানের চারা উৎপাদন কৌশল সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সফলতার সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষি ক্ষেত্রে এক নব দিগন্তের সৃষ্টি হবে। তবে এই কৃষিযন্ত্র যেন দেশের ৮২% ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ব্যবহারের সুযোগ পান, কোনো মহল যেন কৃষকদের প্রতারিত করতে না পারে এবং খুচরা যন্ত্রাংশ এবং মেরামত সেবা যাতে সহজে ও সুলভে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ থেকে ২২ বছর আগে জাপানে কৃষি কাজে ২০ লাখ ট্রাক্টর এবং ১২ লাখ কম্বাইন হারভেষ্টার ব্যবহার হতো। এসব কৃষি যন্ত্রপাতির বর্তমানে তেমন চাহিদা নেই। জাপানে এখন বয়স্ক কৃষকদের শ্রম লাঘবের জন্য ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত মানুষ্য বিহীন স্বয়ংক্রীয় কৃষি যন্ত্রপাতি। কারণ সেখানকার শিক্ষিত তরুণেরা আর সার্বক্ষণিক কৃষি কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে চায় না। প্রায় একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালেও দারিদ্র্য ছিল জাপানি কৃষকদের নিত্যসঙ্গী। দেশটির কৃষি জমির পুরোটাই কুক্ষিগত ছিলো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী সামান্য সংখ্যক জমিদার ও ভূস্বামীদের হাতে। অতীতে জমিদার ও ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কৃষক যেমন আন্দোলন করে, তেমনি জমিদার ও ভূস্বামীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বহুবার বিদ্রোহ করে জাপানি কৃষক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান হেরে গেলেও জয়ী হয় ক্ষুদ্র কৃষক। ১৯৪৬ থেকে ৫২ সাল পর্যন্ত জাপানে দখল বজায় রেখে দেশটির অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাকআর্থার প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে বেশি উপকৃত হয় ক্ষুদ্র কৃষক। ম্যাকআর্থার প্রশাসন জাপান সরকারকে দিয়ে মোট কৃষি জমির দুই-তৃতীয়াংশ কিনিয়ে তা কম দামে ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে। সংস্কারে আগে জাপানে মোট কৃষি জমির ২৩ শতাংশের মালিকানা ছিল কৃষকের এবং সংস্কার পরবর্তীতে দেশটির মোট জমির পুরোটার মালিক হন কৃষক।
চিরতরে জমিদারি প্রথা বন্ধে কৃষি জমির মালিকানার ওপর সীমা আরোপ করে জাপান সরকার। এ কারণে দীর্ঘ ৫০ বছর জাপানের কৃষিতে বেসরকারি করপোরেশনগুলোর বিনিয়োগের কোনো সুয়োগ ছিল না। ১৯৯৪ সালের দিকে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেডের (গ্যাট) আয়োজিত উরুগুয়ে সম্মেলনের পর থেকেই জাপানে কৃষিতে আর এক দফা পরিবর্তন সূচিত হয়। ১৯৯৯ সালের মৌলিক কৃষি আইনে যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলোকে কৃষিতে বিনিয়োগের অধিকার দেয়া হয়। এতে কৃষকের নেতৃত্বাধীন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ পায় যৌথ কোম্পানিগুলো। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের সংশোধিত কৃষি জমি আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে কৃষি জমি ভাড়া করে কৃষি কাজের অধিকার দেয়া হয়।
সিনজো আবের সরকার অকৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কৃষিতে মূলধন বিনিয়োগের সীমা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি করে। শিনজো আবের ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার সময় কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছিল ১১ হাজারা। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজারের ওপর। ২০১৬ সালের মে মাসে দেশটির ন্যশনাল স্ট্যাটেজিক স্পেশাল জোন আইনের আওতায় বেসরকারি খাতের করপোরেশনগুলিকে ইয়াকু শহরাঞ্চলে কৃষি জমির শত ভাগ মালিকানা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়।
এত কিছুর পরও জাপানের কৃষি খাতের সংকোচন রোধ করা যাচ্ছিল না। ১৯৬৫ সালে দেশটিতে কৃষকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লাখ। ৫০ বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২০ লাখেরও নিচে। দেশটিতে কৃষি খাতে দুশ্চিন্তার আর এক বড় কারণ হলো কৃষকের বয়স। জাপানের কৃষি খাতে বর্তমানে প্রতি ১০ জন কৃষকের মধ্যে ৬ জনেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর। অন্যদিকে তরুণদের মধ্যেও কৃষিকে সার্বক্ষণিক পেশা হিসেবে গ্রহণে অনীহা দেখা দিচ্ছে। তবে এরই মধ্যে কৃষিতে করপোরেট অংশ গ্রহণ এবং ব্যাপক যান্ত্রিকীকরণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অনেকটা আশার আলো সঞ্চার করেছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দেশটির কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। বৃহৎ পরিসরে ধান ও সবজি উৎপাদন এবং বিনিয়োগে নিয়োজিত রয়েছে ইয়োন সুপার মার্কেটিং চেইন, লসন ও সেভেন অ্যান্ড আই হোল্ডিংস- এর মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো। জাপানে কৃষি উৎপাদন খাতে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হলো ফুজিতসু। ২০১২ সালে ক্লাউড ভিত্তিক তথ্য ব্যবস্থাপনা সেবা আকিসাই চালুর মাধ্যমে এখাতে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ইয়োনের ফার্মিং ডিভিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আকিসাইয়ের গ্রাহক। এছাড়া এখাতে বিনিয়োগ করেছে এইসি, হিটাসি, তোশিবা ও টয়োটার মতো জায়েন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
কনসাই অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে প্যানাসনিক উদ্ভাবিত ‘প্যাসিভ হাউজ’ নামে এক ধরনের গ্রিনহাউজ ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় আলো, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ব্যত্যয় ঘটলেই সেন্সরে ধরা পড়ে এবং স্বয়ংক্রীয়ভাবে তা সমন্বয় হয়ে হয়। কৃষি যন্ত্রপাতির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কুবোতা সম্প্রতি তাদের কৃষি কার্যক্রম আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। চারটি খামার দিয়ে এর এই কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে খামারের সংখ্যা ২০ অতিক্রম করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির কৃষি জমি রয়েছে এক হাজার হেক্টরের বেশি। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতিতে জিপিএস, সেন্সর ও ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ নিশ্চিতে টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান এনটিটিসির সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে কুবোতা।
ইতিমধ্যে মনুষ্যবিহীন স্বয়ংক্রীয় কৃষি যন্ত্রপাতি বাজারে নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোবোতার টার্গেট কৃষিতে অনভিজ্ঞ তরুণ প্রজন্ম ও বয়স্ক কৃষক। কিয়োটোভিত্তিক স্টার্টআপ মাইফার্মের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে কৃষি জমি বিক্রি বা ভাড়া সংক্রান্ত ডাটাবেজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে আর এক টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। শিনজে আবের সর্বশেষ সংস্কার এ ধরনের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য কৃষিতে বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছে। এছাড়া ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানিক সব পর্যায়েই কৃষিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে। ফলে দেশটিতে কৃষি সংকোচনের কালো ছায়া কিছুটা হলেও অপসৃত হয়েছে এবং কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া জাপানে ভার্টিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতিও ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতিতে গ্রিনহাউজে একের পর এক তাকে ফসল ফলানো হয়। কিয়াটো ও টোকিও অঞ্চলে এ ধরনের চাষ পদ্ধতির দেখা যায় বেশি। কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দিয়ে দেশটির কৃষিকে করে তোলা হয়েছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর, বাণিজ্যিক ও স্মার্ট। অন্যান্য শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতির কারণে জাপানের অর্থনীতিতে কৃষি এখন অত্যন্ত গৌণ খাত। তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় একটি জায়গা হতে পারে জাপানের সম্ভাবনাময় আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি খাত।
সাবেক মহাব্যবস্থাক (কৃষি)
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লি.
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন