উদ্যোক্তা উন্নয়নসংক্রান্ত কার্যক্রমের বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই অত্যন্ত নাজুক; প্রায়ই যা থাকে একশর নিচে। গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন), গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ মনিটর (জিইএম) প্রভৃতি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জরিপে কখনই বাংলাদেশের অবস্থান একশর ওপরে উঠে আসতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ডিজিটাল অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সিস্টেমের ওপর যে র্যাংকিং প্রকাশ করেছে, সেখানেও ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ৯৬, আর এডিবির ২১ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ১৮তম। ওই শেষ জরিপ অনুযায়ী, প্রায়ই যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা হয়ে থাকে সেই ভিয়েতনাম, ভারত ও শ্রীলংকার অবস্থান হচ্ছে যথাক্রমে ৬৩, ৭৫ ও ৮২।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ নাজুক অবস্থা আজ বহু বছর ধরেই চলছে। কোনো সুনির্দিষ্ট, পেশাধারী ও গভীর চিন্তাভাবনা ছাড়াই উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি বা বিদ্যমান সামর্থ্য ব্যবহারের উদ্যোগ না নিয়ে রাষ্ট্র খাতে একের পর এক নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে, যেগুলোর প্রতিটিরই মুখ আবার ঊর্ধ্বমুখী। অর্থাৎ মাঠের উদ্যোক্তাদের প্রবেশাধিকারের আওতার মধ্যে না থেকে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে রাষ্ট্রের অতিকেন্দ্রীভূত সর্বোচ্চ স্তরের জনবিচ্ছিন্ন কেন্দ্রগুলোকে ভিত্তি করে, যেখানে উদ্যোক্তাদের প্রবেশের ন্যূনতম কোনো সুযোগও নেই—সেবা পাওয়া তো অনেক পরের কথা। দু-একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেতে পারে।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য ২০১৬ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় চালু করা হয়েছে ‘কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা বিনিয়োগ কর্মসূচি’ (Skills for Employment Investment Program-SEIP)। তো, পৃথিবীর কোথাও কোনো দেশে এমন কোনো দৃষ্টান্ত কি আছে যে অর্থ মন্ত্রণালয় সরাসরি উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য কাজ করছে? অর্থ মন্ত্রণালয়ই যদি সরাসরি উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য কাজ করে, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ নিয়ে মাঠপর্যায়ে যারা উদ্যোক্তা অনুসন্ধান ও উন্নয়নের জন্য বিধিবদ্ধভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা কী করবে? ওইসব প্রতিষ্ঠান তো বিলুপ্ত করা হয়নি বা তাদের কাছ থেকে দায়িত্বও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়নি! তার চেয়েও বড় কথা, খোদ কেন্দ্রে বসে অর্থ মন্ত্রণালয় কীভাবে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, কীভাবে তাদের সেবা দেবে বা সেটি দেয়া কি আদৌ সম্ভব? মোটেও সম্ভব নয় এবং এসইআইপি তা করছেও না বা করতে পারছেও না বা সেটি তাদের পক্ষে করা সম্ভবও নয়।
মাঠপর্যায়ে এসইআইপির নিজস্ব কোনো জনবল কাঠামো না থাকায় (না থাকাটাই স্বাভাবিক) তাদের আওতাধীন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তারা শরণাপন্ন হচ্ছে অন্য নানা প্রতিষ্ঠানের ওপর। তা অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই যদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সরাসরি সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে জোরদার করলেই তো হতো এবং বস্তুত সেটা করাই উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে সুবিধা (পদ, বাড়তি আর্থিক সুবিধা, গাড়িঘোড়া, দেশ-বিদেশে ভ্রমণ ইত্যাদি) ভাগাভাগির জন্য যা করা হচ্ছে তাকে সুবিধা ভাগাভাগির আমলাতান্ত্রিক আয়োজন ছাড়া আর কিই-বা বলা যেতে পারে? তাছাড়া একই কাজ একাধিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পন্ন করতে গেলে সেক্ষেত্রে সম্পদ, সময় ও শ্রমের অপচয়ের পাশাপাশি সমন্বয়হীনতার যে ঝুঁকি থাকে, এক্ষেত্রে সেটাও পুরোপুরিই বহাল আছে এবং সত্যি কথা বলতে কী, জনগণের কষ্টার্জিত করের পয়সার সে অপচয়ই এখন নিরন্তর ঘটে চলেছে এবং সে ধারায় বাড়ছে সমন্বয়হীনতাও।
প্রায় একই উদ্দেশ্য অর্থাৎ উদ্যোক্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ-দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় ২০১৯ সালে গড়ে তোলা হয়েছে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (National Skill Development Council-NSDA)। তো, দেশে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও এ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই কি সবচেয়ে উপযুক্ত কেন্দ্র? দক্ষতা উন্নয়ন ও সমন্বয় তো মাঠপর্যায়ের কাজ এবং সে দায়িত্ব পালনের জন্য যথেষ্টসংখ্যক প্রতিষ্ঠান মাঠের পরিধিতেই রয়েছে। তাহলে কেন কোন যুক্তিতে উদ্যোক্তার দক্ষতা উন্নয়নসংক্রান্ত মাঠপর্যায়ের একটি কাজের দায়িত্ব ক্ষমতা ও প্রশাসনের একেবারে সর্বোচ্চ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা এনএসডিএর কার্যক্রমের চৌহদ্দিতে বসে আদৌ কি কোনো উদ্যোক্তাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব? মোটেও নয়। ফলে এসইআইপির মতো এনএসডিএকেও নিজস্ব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। আসলে এক্ষেত্রেও সেই একই কথা—সুবিধার বিলিবণ্টন।
শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আর্থিক সহায়তায় গ্রামীণফোন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডিএ) কেন্দ্রে রেখে ‘ফিউচার নেশন’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামীণফোনের কাজ নিশ্চয় উদ্যোক্তা উন্নয়ন নয়। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, এ কার্যক্রমে তাদের সংশ্লিষ্টতা স্রেফ বাণিজ্যিক। অন্যদিকে বিআইডিএর মূল কাজ হচ্ছে বৈদেশিক বিনিয়োগ উন্নয়ন এবং এ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায়। ফলে এটি কিছুতেই বোধগম্য নয় যে বৈদেশিক বিনিয়োগ উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথাকথিত ‘ফিউচার নেশন’ কর্মসূচি সারা দেশের আনাচে-কানাচে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত করবে? আর এর সঙ্গে গ্রামীণফোনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম যুক্ত থাকলে উদ্যোক্তা উন্নয়নেই-বা এ কর্মসূচি কতটা কাজে আসবে? ইউএনডিপির মতো একটি জাতিসংঘ সংস্থাও কি তাহলে গোষ্ঠী বিশেষকে বাণিজ্যিক সুবিধাদানের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তাদানের নামে জনস্বার্থবিমুখ কাজে জড়িয়ে গেল? বিনিয়োগ বোর্ডের তো মাঠপর্যায়ে কোনো কার্যালয় নেই। ফিউচার নেশন প্রকল্প ঢাকার ইউএনডিপি কার্যালয় বা বিআইডিএর দপ্তরে বসে সারা দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা বানাবে? উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য মাঠপর্যায়ে কর্মরত আর কি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই?
আসলে উন্নয়ন সহযোগীদের আগ্রহ ও পছন্দে এ দেশে ফিউচার নেশনসহ এ জাতীয় যেসব প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তার অধিকাংশই যতটা না দেশের স্বার্থে, তারচেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিজেদের চাকরি-বাকরি ও পরামর্শক পদ সৃষ্টি বা সৃষ্ট পদ টিকিয়ে রাখার জন্য। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে চীন-ভারতসহ পৃথিবীর সবাই মিলেও যদি আন্তরিক ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়, তাহলেও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) কর্মকর্তারা চাইবেন রোহিঙ্গারা যেন আরো কিছু বছর বাংলাদেশে থেকে যায় এবং তাদের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের বিষয়টি তো সাম্প্রতিক সময়ে কূটনৈতিক ও গণমাধ্যমের সূত্রে অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। ফলে উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের স্বার্থরক্ষার এসব কর্মসূচি ও প্রকল্পের মাধ্যমে আর যা-ই হোক, দেশের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রমকে জোরদার করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলোয় দক্ষিণ এশিয়ার একটি বিশেষ দেশের প্রাধান্য সৃষ্টি হওয়ার ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে তারা তাদের নিজ দেশের লোকজনদের টেনে আনতে চায় বলেও অনেক সময় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তোলা এসব প্রতিষ্ঠান এবং গৃহীত এসব প্রকল্প ও কর্মসূচি উদ্যোক্তাদের বিচরণ পরিধিতে তথা মাঠপর্যায়ে না হয়ে ক্রমাগতভাবেই হয়ে ওঠছে অতিকেন্দ্রীভূত আমলা অভিমুখী। আর সম্পূর্ণ অপেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গড়ে তোলা এসব প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার পরিবর্তে বরং রাষ্ট্রের পরিচালন ব্যয় ও সমন্বয়হীনতাকেই বাড়িয়ে তুলছে; এবং এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা উন্নয়নের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের আরো অবনমন ঘটবে বলেই ধারণা করা চলে। আর র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় কথা, দেশের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে যে আগ্রহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র হিসেবে আমরা সেটির সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হব। অথচ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে সেটির সদ্ব্যবহার শুধু জরুরিই নয়; বরং বলা প্রয়োজন যে এটি করতে না পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা ব্যাপকভাবে শ্লথ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিশেষে বলব, পেশাগত চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নমুখী যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে, তার সঙ্গে আইসিটি প্রযুক্তির কল্যাণে সমগ্র বিশ্ববাজারকে একসঙ্গে কাছে পাওয়ার সুবিধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে রীতিমতো একটি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। আর তার সঙ্গে প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার একটি বিশাল স্থানীয় বাজার, প্রতিবেশী দেশের সাত রাজ্যের প্রায় সমচরিত্রের পাঁচ কোটি জনসংখ্যার ভোক্তাগোষ্ঠী, প্রবাসে বসবাসকারী প্রায় দেড় কোটি এ দেশীয় মানুষ (যারা সব সময়ই বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য পেতে চায়) তো সম্ভাবনা হিসেবে রয়েছেই। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক আমলারা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনীতিকরা যেখানে শিখণ্ডি মাত্র, সে সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পথে কি হাঁটবেন? তাদের সাম্প্রতিক নানা দুর্বল, ভ্রান্তিপূর্ণ ও স্বার্থকেন্দ্রিক আচরণ দেখে তেমনটি হবে বলে তো মনে হয় না।
উদ্যোক্তা উন্নয়নসংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য জনগণের দেয়া করের অর্থ থেকে রাষ্ট্র নিয়তই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে খুবই সামান্য। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশে বিরাজমান সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর পরিবর্তে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা বরং সেগুলোকে নিজেদের স্বার্থ সম্প্রসারণে ব্যবহারের প্রতিই অধিক মনোযোগী হয়েছেন। আর তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এ কাজে ক্রমাগতভাবে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, যার কিছু উদাহরণ ওপরে উল্লেখ করা হলো। উপরোক্ত আলোচনায় বিশেষ বিশেষ কার্যক্রম ও কর্মসূচির দুর্বলতা ও অন্যায্যতাগুলো তুলে ধরতে গিয়ে কিছু কিছু অপ্রিয় সত্যকেও সামনে আনা হয়েছে। কিন্তু তা কোনোক্রমেই কোনো প্রতিষ্ঠান বা কাউকে সমালোচনা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং দেশে যাতে একটি শক্তিশালী উদ্যোক্তা সহায়ক গণমুখী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে উঠতে পারে, সেটিই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। আর এর সারসংক্ষেপ এই যে এক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান নয়, প্রয়োজন হচ্ছে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা ও সামর্থ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ। আর তা করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠা অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিলুপ্তিকেও মেনে নিতে হবে।
আবু তাহের খান: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত